For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

নিয়মিত হনুমান চল্লিশা পাড়ার উপকার সম্পর্কে জানা আছে?

ভগবান রামের এক ভক্ত, আরেক ভক্তের শক্তি এবং মহিমা সম্পর্কে যা লিখে গেছেন, তাই আজেকর ডেটে হনুমান চল্লিশা নামে খ্যাত।

By Nayan
|

ভগবান রামের এক ভক্ত, আরেক ভক্তের শক্তি এবং মহিমা সম্পর্কে যা লিখে গেছেন, তাই আজেকর ডেটে হনুমান চল্লিশা নামে খ্যাত।

৪০ অধ্যায় এই বইটির রচনা করেন রামভক্ত তুলসি দাস। তিনি একদিন মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের দরবারে গিয়েছিলেন। লেখককে দেখে সম্রাট আদেশ দেন, "আমি ভগবানের সাক্ষাৎ পেতে চাই।" উত্তরে তুলসি দাস জানান, ভক্তির চুরান্ত উচ্চতায় না পৌঁছালে ভগবান রামের দেখা পাওয়া সম্ভব নয়। উত্তরটা লেখক এমনভাবে দিয়েছিলেন যা ঔরঙ্গজেবের একেবারেই পছন্দ হয়নি। ফল কারাদন্ড! অন্ধকার কারা কুঠিরে সময় কাটানোর সময় তুলসি দাস হনুমানের সম্পর্কে যা অনুভাব করতেন তা লেখা শুরু করেন। ধীরে ধীরে লেখকের ভাবনা, শব্দের সন্ধান পেতে শুরু করল। দেখতে দেখতে শব্দবন্ধ মাত্রা ছাড়াল। জন্ম হল এক শক্তি কুন্ডের, যার নাম হনুমান চল্লিশা। জানা আছে কি ওই জেলখানার কষ্টকর জীবন কাটাতে তুলসি দাসের কোনও কষ্টই হয়নি। কারণ তার সঙ্গে ছিল হনুমান চল্লিশা। তাই তো বলা হয় জীবন থেকে কষ্টের চিহ্ন মেটাতে এই বইয়ের স্বরনাপন্ন হওয়া একান্ত প্রয়োজন। শুধু তাই নয়, একথা প্রামাণিত হয়ে গেছে যে প্রতিদিন সকালবেলা স্নান সেরে যদি হনুমান চল্লিশা পাঠ করা যায়, তাহলে সব ধরনের কষ্ট কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে মেলে আরও নানাবিধ উপকার। যেমন...

১. শনির প্রভাব কমতে থাকে:

১. শনির প্রভাব কমতে থাকে:

একথা তো সবারই জানা আছে যে শনির মহাদশা চললে জীবনে কোনও কিছুই ঠিক মতো চলে না। একের পর এক বাঁধায় দুর্বিসহ হয়ে ওঠে জীবন। এমন পরিস্থিতিতে সুখের সন্ধান দিতে পারে একমাত্র হনুমান। বিশেষজ্ঞরা বলেন নিয়মিত হনুমান চল্লিশা পড়া শুরু করলে শনির দশা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে নানাবিধ বাঁধার জাল থেকেও মুক্তির সন্ধান মেলে।

২. নেগেটিভ শক্তি কোনও ক্ষতি করতে পারে না:

২. নেগেটিভ শক্তি কোনও ক্ষতি করতে পারে না:

একথা অনেকেই বিশ্বাস করেন যে আমাদের চারপাশে ঘোরাফেরা করা আত্মা বা নেগেটিভ এনার্জি নানাভাবে আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা চালিয়ে যায়। এমন ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে নিয়মিত হনুমান চল্লিশা পড়া উচিত। কারণ হনুমানের ভয়ে যে কোনও ধরনের নেগেটিভ শক্তি দূরে থাকতে বাধ্য হয়। শুধু তাই নয়, আমাদের বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়-স্বজনদের খারাপ দৃষ্টি থেকে বাঁচতেও হনুমান চল্লিশা সাহায্য করে থাকে। এবার বুঝতে পরেছেন তো দৈনন্দিন জীবনের টানাপোড়েনের মাঝেও সুখে থাকতে হনুমানের সঙ্গ নেওয়ার প্রয়োজন কতটা!

৩. খারাপ কর্মের ফল থেকে বাঁচায়:

৩. খারাপ কর্মের ফল থেকে বাঁচায়:

যেমন কর্ম, তেমন ফল! লোকেরা ভাল করবেন তো আপনার সঙ্গেও ভাল হবে, আর যদি খারাপ করেন, তাহলে শাস্তির জন্যও প্রস্থুত থাকতে হবে। কিন্তু নিজের ভুল বুঝে খারাপ কর্মের ফল থেকে যদি নিস্তার পেতে চান, তাহলে নিয়মিত রাত্রে বেলা ভাল করে হাত-পা ধুয়ে হনুমান চল্লিশার প্রথম ধাপটা কম করে ৮ বার পড়া শুরু করুন। নিয়মিত এমনটা করলে দেখবেন আপনার কোনও ক্ষতি হবে না। সেই সঙ্গে মুক্তি মিলবে পাপের জাল থেকেও।

৪. বাঁধা সরতে থাকবে:

৪. বাঁধা সরতে থাকবে:

কথায় বলে জীবনে যত বাঁধা আসে, তত মানুষ দিসেবে আমাদের উন্নতি ঘটে। কিন্তু কখনও কখনও এমন বাঁধা আসে যে সে সময় কী করা উচিত, তা ভেবে পাওয়া যায়। এমন পরিস্থিতিতে হনুমান চল্লিশা পড়া যদি শুরু করতে পারেন, তাহলে বাঁধার পাহাড় সরতে সময়ই লাগে না। তাই যদি কোনও সমস্যায় বহুদিন ধরে ফেঁসে থাকেন, তাহলে আজ থেকেই হনুমান চল্লিশা পড়া শুরু করুন। দেখবেন হাতে-নাতে ফল পাবেন।

৫. স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদ কমে:

৫. স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদ কমে:

পরিসংখ্যানের দিকে নজর ফেরালে দেখতে পাবেন আজকের ডেটে যে যে মারণ রোগের প্রকোপ চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পয়েছে, সেই সবকটি রোগের সঙ্গে স্ট্রেসের সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই সুস্থভাবে যদি বাঁচতে চান, তাহলে স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদকে বাগে আনতেই হবে। আর এই কাজটি করবেন কীভাবে? খুব সহজ! নিয়মিত হনুমান চল্লিশা পড়া শুরু করুন। দেখবেন স্ট্রেস লেভেল তো কমবেই, সেই সঙ্গে মনও খুশিতে ভরে উঠবে।

৬. যে কোনও জার্নি সুন্দরভাবে শেষ হবে:

৬. যে কোনও জার্নি সুন্দরভাবে শেষ হবে:

রোড ট্রিপে যাওয়ার প্ল্যান করছেন? তাহলে জার্নিতে বেরনোর আগে একবার হানুমান চাল্লিশা পড়ে নিতে ভুলবেন না। আর সঙ্গে যদি হনুমানজির একটা ছোট ছবি রাখতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই! কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে যে কোনও জার্নিকে সফল বানাতে এই অভ্যাস দারুনভাবে কাজে আসে।

Read more about: ধর্ম
English summary

ভগবান রামের এক ভক্ত, আরেক ভক্তের শক্তি এবং মহিমা সম্পর্কে যা লিখে গেছেন, তাই আজেকর ডেটে হনুমান চল্লিশা নামে খ্যাত।

Hanuman Chalisa was composed by legendary poet Tulsidas who was also an ardent devotee of Lord Rama. It has 40 poetic verses, hence the name ‘Chalisa.’ It is widely believed that Hanuman Chalisa has some sort of clandestine divinity associated with it. Anybody can recite the godly 40 verses, irrespective of the age and after a few recitals it automatically registers itself in the memory. Read on to know some unknown facts and benefits related to the Hanuman Chalisa…
Story first published: Saturday, February 17, 2018, 15:15 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion