For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

গণেশ চতুর্থি: কাল দেবের পুজো করার সময় কী কী মন্ত্র পাঠ করলে ঠাকুরের আশীর্বাদ মিলবে জানেন কি?

আগামী কাল কী কী মন্ত্র পাঠ করার মধ্যে দিয়ে দেবের আরাধনা করলে নানা সুফল মিলতে পারে, সে সম্পর্কে জানা আছে কি?

|

হিন্দু ক্যালেন্ডারে আগামী কালের মাহাত্ম বলে বোঝানোর নয়! কারণ যে কানও দেব-দেবীর অরাধনা করার আগে যার পুজো করা মাস্ট, সেই গণেশ দেবের আগমণ ঘটতে চলেছে কাল। "গণপতি বাপ্পা মরিয়া" ধ্বনিতে আকাশ-বাতাস যখন ভরে যাবে, তখন বাড়িতে বাড়িতে আগমণ ঘটবে গজাননের। কিন্তু কী কী মন্ত্র পাঠ করার মধ্যে দিয়ে দেবের আরাধনা করলে নানা সুফল মিলতে পারে, সে সম্পর্কে জানা আছে কি?

দেবকে প্রসন্ন করার মধ্যে দিয়ে নিজের মনের নানা ইচ্ছাকে যদি পূরণ করতে হয়, তাহলে এই প্রবন্ধে চোখ রাখতেই হবে। কারণ এই লেখায় যে যে মন্ত্রগুলির সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, সেগুলির মধ্যে কোনও একটি যদি দেবের অরাধনা করার সময় পাঠ করা হয়, তাহলে শুধু মনের সব ইচ্ছাই পূরণ হয় না, সেই সঙ্গে আরও নানাবিধ উপকার মেলে। তাই তো বলি বন্ধু, আগামী কাল গণেশ বন্দনায় সামিল হয়ে যদি দেবের মন জয় করতে চান, তাহলে যে যে মন্ত্রগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়াটা জরুরি, সেগুলি হল...

১. শক্তি বিনায়ক মন্ত্র:

১. শক্তি বিনায়ক মন্ত্র:

"ওম হ্রিং গ্রিং হ্রিং ", শক্তি বিনায়ক মন্ত্র নামে পরিচিত এই স্তোত্রটি ১০৮ বার পাঠ করলে শরীর এতটাই চাঙ্গা হয়ে ওঠে যে ছোট-বড় সব রোগ দূরে পালায়। সেই সঙ্গে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। আর একবার ভাগ্য ফিরে গেলে জীবনের ছবিটা বদলে যেতে যে সময় লাগে না, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে! তবে এখানেই শেষ নয়, বেশ কিছু জ্ঞানি মানুষের মতে এই মন্ত্রটি শুধু গণেশ চতুর্থির দিন নয়, নিয়মিত যদি পাঠ করা যায়, তাহলে কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতা লাভের সম্ভাবনা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগতেও সময় লাগে না।

২. বক্রতুন্ডা মহাকায়া শ্লোক মন্ত্র:

২. বক্রতুন্ডা মহাকায়া শ্লোক মন্ত্র:

জীবন পথে চলতে চলতে সামনে আসা যে কোনও বাঁধার পাহাড় সরে যাক, সেই সঙ্গে মিটে যাক সব সমস্যাও, এমনটা যদি চান তাহলে আগামী কাল এই বিশেষ মন্ত্রটি পাঠ করে দেবের অরাধনা করতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, এমনটা অনেকে বিশ্বাস করেন যে গণেশ পুজোর দিন এই মন্ত্রটি এক মনে ১,২৫,০০০ বার পাঠ করলে জ্ঞান এবং বুদ্ধির বিকাশ ঘটতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি আরও অনেক উপকার পাওয়া যায়। যেমন ধরুন- গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে, টাকা-পয়সা সংক্রান্ত নানা ঝামেলা মিটে যায় এবং কর্মক্ষেত্রে চটজলদি পদন্নতির সম্ভবনা বাড়ে। মন্ত্রটি হল-"বক্রতুন্ডা মহা কায়া সূর্য কোটি সমপ্রভ নির্ভিগ্নাম কুরু মে দেবা সর্ব কার্য সমপ্রভা।"

৩. সিদ্ধি বিনায়ক মন্ত্র:

৩. সিদ্ধি বিনায়ক মন্ত্র:

"ওম নমো সিদ্ধি বিনায়ক সর্ব কার্য কার্তারায় সর্ব বিগ্ন প্রশমনায় সর্বরাজ্যয়া বিশয়াকর্নায়া সর্বজন সর্বস্ত্র পুরুষ আকর্ষনায় ওম সোয়াহা", এই মন্ত্রটিকেই সিদ্ধি বিনায়ক মন্ত্র নামে ডাকা হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, গণেশ পুজোর দিন এক মনে ১০৮ বার এই মন্ত্রটি পাঠ করলে দেব এতটাই প্রসন্ন হন যে সর্বশক্তিমানের আশীর্বাদে পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে সামাজিক ক্ষত্রে সম্মানও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।

৪. গণেশ মোলা মন্ত্র:

৪. গণেশ মোলা মন্ত্র:

গণেশ ঠাকুরের অরাধনা করার সময় সাধারণত যে যে মন্ত্রগুলি পাঠ করা হয়ে থাকে, সেগুলির মধ্যে সবথেকে শক্তিশালী মন্ত্র হল এটি। তাই তো হিন্দু ধর্মের উপর লেখা বেশ কিছু বইয়ে গণেশ মোলা মন্ত্রকে বীজ মন্ত্র নামেও ডাকা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গণেশ চতুর্তির দিন দেবের পুজো শেষে এক মনে এই মন্ত্রটি পাঠ করলে গৃহস্থে দেবের আগমণ ঘটে। আর যে বাড়িতে গণেশ দেব বিরাজমান হন, সেখানে কোনও বিপদ যেমন ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না, তেমনি সারা বাড়িতে পজেটিভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে খারাপ শক্তির প্রভাব কমে যায়। ফলে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও আর থাকে না। সেই সঙ্গে দেবের আশীর্বাদে শারীরিক ক্ষমতার উন্নতি ঘটতেও সময় লাগে না। মন্ত্রটি হল-"ওম শ্রীম হ্রিম ক্লিমগ্লম গামগানাপতায়ে ভারা ভারাদ সর্বজন জন্মে ভশমান্যায় সোওয়াহা, তাৎপুরুষায় ভিদমাহে বক্রতুন্ডা ধিমাহি তানো দান্তি প্রাচোদায়াত, ওম শান্তি শান্তি শান্তু!"

৫. ঋণ হার্তা মন্ত্র:

৫. ঋণ হার্তা মন্ত্র:

সংস্কৃতে ঋণ কথার অর্থ হল দেনা এবং হার্তা কথার অর্থ হল নিকেশ ঘঠা। অর্থাৎ এই গণেশ মন্ত্রটি পাঠ করলে টাকা-পয়সা সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যা মিটে যেতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি ধার-দেনার বোঝাও কমে। শুধু তাই নয়, এমনও বিশ্বাস রয়েছে যে গণেশ চতুর্থির দিন এই মন্ত্রটি পাঠ করলে একদিকে যেমন অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে, তেমনি পরিবারে সুখ-শান্তি এবং সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগতেও সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল-"ওম গণেশ ঋন্নাম চিন্ধি ভারেন্যাম হং নমহ ফুট।"

৬. গণেশ মন্ত্র:

৬. গণেশ মন্ত্র:

"ওম শ্রিং হ্রিং ক্লিং গ্লং গং গণপাতায়ে ভার ভারাদ কর্ব জন্মায় বশমনায় থা থা", এই মন্ত্রটি পাঠ করার পরেই সাধারণত গণেশ ঠাকুরের পুজো শুরু হয়। প্রসঙ্গত, এই গণেশ মন্ত্রটি এক মনে পাঠ করলে দেব এতটাই খুশি হন যে সর্বশক্তিমানের আশীর্বাদে কর্মজীবনে চরম সফলতা লাভের পথ যেমন প্রশস্ত হয়, তেমনি যে কোনও সমস্যা মিটে যেতেও সময় লাগে না। ফলে জীবনের প্রতিটি দিন আনন্দে ভরে ওঠে।

৭. গণপাতায়ে মন্ত্র:

৭. গণপাতায়ে মন্ত্র:

"ওম গাম গণপাতায়ে নমহ", গণেশ উপনিষদে এই মন্ত্রটিকে অন্যতম শক্তিশালী গণেশ মন্ত্র হিসেবে বিবেচিত করা হয়েছে। এমন বিশ্বাস রয়েছে যে গণেশ চতুর্থির দিন এই মন্ত্রটি পাঠ করলে মনের সব ইচ্ছা পূরণ হয়। সেই সঙ্গে যে কোনও কাজে সফলতা লাভের সম্ভাবনাও যায় বেড়ে। শুধু তাই নয়, দেবের আশীর্বাদে স্ট্রেস এবং মানসিক আশান্তি যেমন দূরে পালায়, তেমনি অনেক অনেক টাকায় পকেট ভরে উঠতেও সময় লাগে না।

গণেশ পুজোর আগের নিয়ম:

গণেশ পুজোর আগের নিয়ম:

আগামী কাল সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে নিতে হবে। আর খেয়াল করে স্নানের জলে অল্প করে গঙ্গা জল মিশিয়ে নিতে ভুলবেন না যেন! আর স্নানের সময় মনে মনে "গঙ্গেচ জমুনেচ গোদাবরি সরস্বতী নর্মদা সিন্ধু কাভেরি জলেসমিন সননিদ্ধম কুরু", এই মন্ত্রটি জপ করা মাস্ট! স্নান শেষে পরিস্কার জামা-কাপড় পরে ঠাকুর ঘর ভাল করে পরিষ্কার করে নেবেন। তারপর ফুল-মালা দিয়ে দেবকে সাজিয়ে শুরু করবেন পুজো। তবে তার আগে দেবের সামনে মোদক, লাডডু এবং পাঁচ রকমের ফল নিবেদন করতে ভুলবেন না যেন!

Read more about: ধর্ম
English summary

Miraculous benefits of Ganesha mantra

There are various chants or mantras associated with Lord Ganesha like the Ganesh Maha Mantra, Ganesha Mool mantra or Ganesha Beeja Mantra, the Shaktivinayak Mantra, the Rinn harta mantra, Trailokya Mohan Kar Ganesha Mantra, Haridra Ganesh Mantra etc. When you are wondering how to make Lord Ganesha happy, the Ganesh Mantras will take you one step closer to your aim in life and always shower Lord Ganesha’s blessings upon you. Some of the most powerful Ganesha Mantras are...
Story first published: Wednesday, September 12, 2018, 11:31 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion