Just In
- 1 hr ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 3 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
- 3 hrs ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
- 17 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
খারাপ চিন্তা, বাজে স্বপ্ন এবং দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকতে চান তো পাঠ করা শুরু করুন এই মন্ত্রগুলি!
এক মনে "ওম" শব্দটি উচ্চারণ করতে থাকলে ধীরে ধীরে দুশ্চিন্তা দূর হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে লেজুড় হওয়া স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটিও দূরে পালায়।
কথায় বলে যতদিন প্রাণ আছে, ততদিন ভাল সময় যেমন আসবে, তেমনি খারাপ সময়েরও সম্মুখীন হতে হবে। তাই তো যে কোনও পরিস্থিতিতে নিজেকে সামলে রাখতে সদা প্রস্তুত থাকাটা জরুরি। আর খারাপ সময়কে সামনে থেকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে কীভাবে নিজেকে ভিতর থেকে শক্তিশালী করে তুলবেন, সে বিষযে যদি কোনও ধরণা না থাকে, তাহলে এই প্রবন্ধে একবার চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন! কারণ এমনটা করলে আপনার জীবনের প্রতিটি সেকেন্ড যে খুশিতে ভরে উঠবে, সে বিষয়ে কিন্তু কোনও সন্দেহ নেই!
এত দূর পড়ার পর ভাবতে পারেন, কী এমন কথা লেখা রয়েছে এই লেখায় যে তা জীবনের পথ বদলে দিতে পারে! তাহলে উত্তরে বলবো বন্ধু এই প্রবন্ধে এমন কিছু শক্তিশালী মন্ত্রের সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যা নিয়মিত পাঠ করলে অফুরন্ত আনন্দের সন্ধান তো মিলেই, সেই সঙ্গে মনের অন্দরে জমতে থাকা অন্ধকারও কেটে যেতে শুরু করে। অর্থাৎ খারাপ চিন্তার মার থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব হয়। সেই সঙ্গে আশেপাশে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যাবে যে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কাও যায় কমে।
এখন প্রশ্ন করতে পারেন কোনও মন্ত্রের সঙ্গে খারাপ-ভাল চিন্তার যোগটা ঠিক কোথায়? তাহলে উত্তরে বলবো বন্ধু একবার হিন্দু ধর্মের উপর লেখা প্রাচীন সব বই এবং পুরাণ খুলে দেখুন, জানতে পারবেন মন্ত্রের কী শক্তি! আসলে মন্ত্র পাঠ করা মাত্র ব্রেন পাওয়ার তো বাড়েই, সেই সঙ্গে শারীরিক শক্তিরও বিকাশ ঘটতে শুরু করে। তাই তো রোগ-ব্যাধি দূরে পালাতে সময় লাগে না। অন্যদিকে, ডিপ্রেশন, মন খারাপ এবং অ্যাংজাইটির মতো প্রতিপক্ষদের হারাতেও সময় লাগে না। শুধু কি তাই, পজেটিভ শক্তির গুণে গৃহস্থের প্রতিটি কোণায় লুকিয়ে থাকা খারাপ শক্তি পালাতে শুরু করে। ফলে জীবন পথে চলতে চলতে খারাপ সময়ের সম্মুখিন হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে অসফলতার স্বাদ পাওয়ার সম্ভাবনাও কমতে থাকে।
এবার নিশ্চয় বুঝেছেন বন্ধু, এই প্রবন্ধটি পাঠ করা কতটা জরুরি। তাহলে আর অপেক্ষা কেন, যে যে মন্ত্রগুলি জীবনের মানোন্নয়ন করতে পারে, চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে।
১. ওমকার মন্ত্র:
সহজ বাংলায় এই মন্ত্রটিকে আমরা ওম মন্ত্র নামে চিনে থাকে। শাস্ত্র মতে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে শান্ত মনে বসে এক মনে "ওম" শব্দটি উচ্চারণ করতে থাকলে ধীরে ধীরে দুশ্চিন্তা দূর হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে লেজুড় হওয়া স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটিও দূরে পালায়। ফলে জীবনে, আরও একবার আনন্দের আগমণ ঘটতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে ওম মন্ত্রটি প্রতিদিন কম করে ১০৮ বার পাঠ করলে দারুন উপকার মেলে। তাই তো বলি বন্ধু জীবনের ছবিটাকে যদি হাজারো রঙে রঙিয়ে তুলতে চান, তাহলে ওম মন্ত্রের শক্তিকে কাজে লাগাতে ভুলবেন না যেন!
২. গায়েত্রী মন্ত্র:
শুনতে আজব লাগলেও একথা বিশ্বাস করা হয় যে নিয়মিত গায়েত্রী মন্ত্র পাঠ করা শুরু করলে বাড়িতে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে খারাপ কোনও ঘটনা ঘঠার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে খারাপ চিন্তা এবং স্বপ্নের প্রকোপও কমতে শুরু করে। ফলে মুখের হাসি উধাও হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতেও সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল- "ওম ভুর ভুভ সোওয়াহা; তাৎ সাভিতুর ভরেনিয়াম; ভার্গো দেবসায়া ধিমাহী; দিয়ো ইয়ো না প্রাচোদায়াত।"
৩. শক্তিশালী শিব মন্ত্র:
দুর্ঘটনার খপ্পরে পরতে যদি না চান, সেই সঙ্গে অনেক অনেক টাকার মলিক হয়ে ওঠার স্বপ্নও পূরণ হোক, এমনটাও যদি চান, তাহলে নিয়মিত "ওম নমঃ শিবায়", এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন! কারণ শিব পুরান অনুসারে দেবাদিদেব হলেন সর্বশক্তির আধার। তাই তো তাঁকে একবার প্রসন্ন করতে পারলে জীবন সুন্দর হয়ে উঠতে সময় লাগে না। শুধু কি তাই, দেবের আশীর্বাদে মনের সব ইচ্ছা পূরণের পথও প্রশস্ত হয়। ফলে প্রতিটি দিন আনন্দে ভরে উঠতে সময় লাগে না।
৪. হনুমান মন্ত্র:
শাস্ত্র বলে প্রতিদিন সকাল-বিকাল হানুমান চাল্লিশা পাঠ করলে শনির সাড়ে সাতির প্রকোপ কমতে শুরু করে। ফলে দুঃখ-কষ্টের কালো মেঘ সরে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে মনের জোর বাড়ে, খারাপ চিন্তা দূরে থাকে, কোনও ধরনের দুর্ঘটনার খপ্পরে পরার আশঙ্কা যায় কমে, অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে এবং স্ট্রেস লেভেল এত মাত্রায় কমে যায় যে শরীর এবং মনের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার কোনও ধরনের আশঙ্কা থাকে না বললেই চলে।