Just In
মকর সংক্রান্তি ২০২১ : জেনে নিন এবছরের পৌষ সংক্রান্তির দিন-ক্ষণ ও পূণ্যস্নানের সময়সূচী
মকর সংক্রান্তি দিয়েই নতুন বছরে উৎসবের সূচনা হয়, অর্থাৎ নতুন বছরের প্রথম উৎসব হল মকর সংক্রান্তি। বাঙালি সংস্কৃতিতে এই উৎসবকে 'পৌষ পার্বণ' বা 'পৌষ সংক্রান্তি'-ও বলা হয়। পৌষ মাসের শেষ দিন এই উৎসব পালন করা হয়। ভারতের প্রায় প্রতিটি জায়গাতেই বিভিন্ন নামে পালিত হয় মকর সংক্রান্তি। হিন্দু ধর্মে এই উৎসবের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে।
যখন সূর্য ধনু রাশি থেকে মকর রাশিতে প্রবেশ করে, তখন তাকে মকর সংক্রান্তি বলা হয়। এই দিনে ভগবান সূর্যের বিশেষ পূজা করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, এই দিন গঙ্গাস্নান এবং দান-ধ্যান করলে শুভ ফল প্রাপ্তি হয়। তাহলে জেনে নিন এই বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে মকর সংক্রান্তির দিন-ক্ষণ সম্পর্কে।
মকর সংক্রান্তি ২০২১ তারিখ
ইংরাজী ক্যালেন্ডার অনুয়ায়ী, ২০২১ সালে মকর সংক্রান্তি ১৪ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার পড়ছে। 'মকর সংক্রান্তি' শব্দটির মধ্য দিয়ে নিজ কক্ষপথ থেকে সূর্যের মকর রাশিতে প্রবেশকে বোঝানো হয়ে থাকে। ভারতীয় জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী 'সংক্রান্তি' একটি সংস্কৃত শব্দ, এর দ্বারা সূর্যের এক রাশি থেকে অন্য রাশিতে প্রবেশ করাকে বোঝানো হয়। ১২টি রাশি অনুযায়ী এরকম সর্বমোট ১২টি সংক্রান্তি রয়েছে।
মকর সংক্রান্তির পূণ্যকাল
এই বছর মকর সংক্রান্তির পূণ্যকাল সকাল ৮টা ৩০ থেকে বিকেল ৫টা ১৩ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। এরপর মহাপূণ্যকাল রয়েছে সকাল ৮টা ৩০ থেকে সকাল ১০টা ১৮ মিনিট পর্যন্ত। এই দিন মকর রাশিতে সূর্য ছাড়া, চাঁদ, শনি, বুধ এবং গুরু গ্রহ-ও উপস্থিত থাকবে। এই কারণে, এই বছরের মকর সংক্রান্তি খুব শুভ ফল দেবে। এই দিনে, পবিত্র নদীতে স্নান করা এবং প্রভুর ধ্যান করা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। সংক্রান্তির দিন নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী দরিদ্র ও অভাবীদের দান করুন।
মকর সংক্রান্তি সম্পর্কিত কিছু বিষয় যা বেশ অভূতপূর্ব
বাংলায় পৌষ পার্বণ
পশ্চিমবাংলায় পৌষসংক্রান্তি-তে মূলত নতুন ফসলের উৎসব 'পৌষ পার্বণ' উদযাপিত হয়। নতুন ধান, খেজুরের গুড় এবং পাটালি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী পিঠে-পুলি তৈরি করা হয়। এর জন্য প্রয়োজন হয় চালের গুঁড়ো, নারকেল, দুধ এবং খেজুরের গুড়। এই দিনে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার অন্তর্গত গঙ্গাসাগর বা সাগরদ্বীপে মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে কপিল মুনির আশ্রমকে কেন্দ্র করে পুণ্যস্নান ও বিরাট মেলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবছর এই দিন সহস্রাধিক পুণ্যার্থী ও অন্যান্য রাজ্য থেকে আগত দর্শনার্থীদের সমাগম হয় এই মেলায়। বিহার-উত্তরপ্রদেশ থেকে আগত অবাঙালি পুণ্যার্থীদের ভিড়ই হয় সর্বাধিক।