Just In
- 11 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 13 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 16 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 18 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
Maha Shivratri 2023: মহাশিবরাত্রিতে ভুলেও এই দু'টি জিনিস দিয়ে মহাদেবের পূজা করবেন না! জানুন কারণ
মহাদেবের পূজা করার জন্য সবচেয়ে শুভ দিন হল মহাশিবরাত্রি। শিব ভক্তদের কাছে 'মহাশিবরাত্রি' সবচেয়ে বড় উৎসব। এই শুভ দিনে নিষ্ঠাভরে শিবের পূজা করা হয় ও ভক্তরা এই দিন উপবাস করে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এই দিনে পার্বতীর সঙ্গে মহাদেবের বিয়ে হয়েছিল। প্রতি বছর, ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয় মহাশিবরাত্রি।
ভোলেনাথকে তুষ্ট করার জন্য জল-দুধ, ধুতুরা, বেলপাতা অর্পণ করা হয়। তবে নির্দিষ্ট কিছু জিনিস শিবের পূজায় একেবারেই নিষিদ্ধ, যেমন - কেতকী ফুল এবং তুলসী পাতা। আসুন জেনে নেওয়া যাক, শিব পূজায় কেন এই দুটি জিনিস নিষিদ্ধ।
মহাদেবকে কেন তুলসী পাতা দেওয়া হয় না?
বিশ্বাস করা হয় যে, পূর্বজন্মে তুলসী-র নাম ছিল বৃন্দা। তিনি জলন্ধর নামক এক রাক্ষসের স্ত্রী ছিলেন। সেই রাক্ষস বৃন্দা-র উপর প্রচুর অত্যাচার করতেন। তাই জলন্ধরকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য ভগবান শিব বিষ্ণুকে অনুরোধ করেন। তখন বিষ্ণু কৌশল করে বৃন্দা-র পতিব্রতা ধর্ম ভেঙে দিয়েছিলেন। পরে যখন বৃন্দা জানতে পারল যে, ভগবান বিষ্ণু তাঁর পতিব্রতা ধর্ম ভেঙে দিয়েছেন, তখন তিনি ভগবান বিষ্ণুকে অভিশাপ দিয়েছিলেন যে, আপনি পাথর হয়ে যাবেন। ভগবান বিষ্ণু তুলসীকে বলেছিলেন যে, আমি তোমাকে জলন্ধরের কাছ থেকে রক্ষা করেছিলাম, এখন আমি তোমাকে অভিশাপ দিচ্ছি যে, তুমি কাঠ হয়ে যাবে। এই অভিশাপের পরে, বৃন্দা তুলসী উদ্ভিদে পরিণত হয়েছিল।
কেন ভগবান শিবকে কেতকী ফুল দেওয়া হয় না?
পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে - একবার ভগবান বিষ্ণু ও ব্রহ্মা, কে বড় এবং কে ছোট এই কথার বিচার করতে মহাদেবের কাছে যান। এরপর, ভগবান শিব একটি শিবলিঙ্গ প্রকট করে তাঁদের এর সূচনা ও সমাপ্তি সন্ধান করতে বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, যে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে তিনিই সবার বড়। এরপরে, বিষ্ণু উপরের দিকে চলে গেলেন এবং অনেকদূর যাওয়ার পরেও খুঁজে পেলেন না। অন্যদিকে, ব্রহ্মা নীচের দিকে চলে গেলেন এবং তিনিও কোনও শেষ খুঁজে পেলেন না। নীচের দিকে যাওয়ার পথে তিনি কেতকী ফুল দেখেন, যা তাঁর সাথেই চলছিল। তিনি কেতকী ফুলকে ভগবান শিবের কাছে মিথ্যা কথা বলতে রাজি করেছিলেন। ব্রহ্মা যখন ভগবান শিবকে বলেন যে, আমি সন্ধান পেয়েছি এবং কেতকী ফুলকে দিয়েও মিথ্যা সাক্ষ্য দেন, তখন মহাদেব ব্রহ্মা এবং কেতকী ফুলের মিথ্যা কথা ধরতে পেরে যান। সেই সময়ে তিনি ব্রহ্মার যে মাথা মিথ্যা কথা বলেছিলেন সেই মাথা কেটে দিয়েছিলেন এবং তাঁর পূজায় কেতকী ফুল ব্যবহারও নিষিদ্ধ করেন।