Related Articles
-
কুম্ভ মেলার তাৎপর্য কী?
-
প্রতি শুক্রবার সবারই এই প্রবন্ধে আলোচিত শুক্র মন্ত্রগুলি পাঠ করা উচিত কেন জানা আছে?
-
নিয়মিত এই শক্তিশালী কৃষ্ণ মন্ত্রগুলি পাঠ করলে দেখবেন দুঃখ কোনও দিন আপনাকে ছুঁতেও পারবে না!
-
প্রতি বুধবার ওম শ্রী গণেশায় নমহ মন্ত্রটি জপ করলে কী কী উপকার মিলতে পারে জানা আছে?
-
রাত্রি বেলা ঘুমতে যাওয়ার আগে হনুমান চল্লিশা পাঠের উপকারিতা সম্পর্কে জানা আছে?
-
হঠাৎ করে অ্যাক্সিডেন্টের খপ্পরে পরতে যদি না চান তাহলে এই মন্ত্রগুলির কোনওটি নিয়মিত পাঠ করতে হবে!
এই মন্ত্রগুলি পাঠ করলে কখনও দুঃখের মুখ দেখতে হবে না! সেই সঙ্গে বড়লোক হওয়ার স্বপ্নও পূরণ হবে!
আজ মঙ্গলবার। শাস্ত্র মতে সপ্তাহের এই দিনটা হনুমানজির পুজো করার দিন। তাই তো এই লেখায় আজ এমন কিছু শক্তিশালী হনুমান মন্ত্রের বিষয়ে আলোচনা করা হবে, যা যে কোনও ব্যক্তির মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ তো করবেই, সেই সঙ্গে মারুথির আশীর্বাদে অনেক অনেক টাকায় ভরে উঠবে পকেট। শুধু তাই নয়, এই মন্ত্রগুলি এতটাই শক্তিশালী যে পাঠ করা মাত্র আরও নানাবিধ উপকার মেলার সম্ভাবনা যাবে বেড়ে, যে সম্পর্কে এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
যদি প্রশ্ন করেন এই সব মন্ত্রের এত ক্ষমতা যে জপ করা মাত্র এত উপকার পাওয়া যাবে! তাহলে উত্তর বলবো বন্ধু, মন্ত্র হল সেই শক্তি বীজ, যা পাঠ করা মাত্র তা থেকে এমন এক শক্তি উৎপন্ন হয়, যা আমাদের শরীর এবং মস্তিষ্ককে চাঙ্গা তো করে তোলেই, সেই সঙ্গে আমাদের আশেপাশে শুভ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করে, যে কারণে খারাপ সময় তো কেটে যায়ই, তার পাশেপাশি নানাবিধ উপকার মেলার পথও প্রশস্ত হয়, যেমন ধরুন-টাকা পয়সা সংক্রান্ত নানাবিধ সমস্যা মিটে যেতে শুরু করে, মনের জোর বাড়ে, খারাপ শক্তির প্রভাব কমে, কালো যাদুর প্রভাব কমে যেতে শুরু করে, কোনও ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় কমে, মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হয়, মনের মতো চাকরি মেলে, কর্মক্ষেত্রে উন্নতির পথ প্রশস্ত হয় এবং আরও অনেক সুফল মেলে। তবে এত সব উপকার পেতে যে যে হনুমান মন্ত্রগুলি পাঠ করা জরুরি, সেগুলি হল...
১. হনুমান মুলা মন্ত্র:
"ওম হানুমাতে নমহ", শাস্ত্রে এই মন্ত্রটিই হনুমান মুলা মন্ত্র নামে পরিচিত। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্ত্রটি নিয়মিত পাঠ করা শুরু করলে যে কোনও সমস্যা মিটে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে শারীরিক ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। এমনকি শারীরিক দুর্বলতা দূর হতেও সময় লাগে না।
২. হনুমান বীজ মন্ত্র:
মারুথির আর্শীবাদে মনের সব ইচ্ছা পূরণ হোক, এমনটা যদি চান তাহলে নিয়মিত "আম আইম ব্রিম হানুমাতে, শ্রী রাম দুত্ নমহ", এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, হনামুন বীজ মন্ত্র নামে পরিচিত এই স্ত্রোত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে পাঠ করা মাত্র উপকার মিলতে শুরু করে। তাই তো বলি বন্ধু, বাকি জীবনটা যদি সুখে-শান্তিতে এবং আনন্দে কাটাতে হয়, তাহলে এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন!
৩. হনুমান গায়েত্রী মন্ত্র:
"ওম অঞ্জনীয়া ভিদমাহে বায়ুপুত্রয় ধিমাহে। তানো হানুমাতে প্রাচোদায়াত", এই মন্ত্রটি নিয়মিত হনুমানজির ছবি বা মূর্তির সামনে বসে ১০৮ বার পাঠ করলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে মনের জোরও বাড়ে। শুধু তাই নয়, এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে পাঠ করা মাত্র মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতেও সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু, যে কোনও ভয় দূর করে, আনন্দের সঙ্গে বাকি জীবনটা যদি কাটাতে হয়, তাহলে নিয়মিত এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন!
৪. অঞ্জনী মন্ত্র:
হাজারো চেষ্টা করেও মনের মতো চাকরি মিলছে না? এদিকে মন দিয়ে কাজ করেও পাচ্ছেন না প্রমোশন? তাহলে বন্ধু নিয়মিত অঞ্জনী মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন! আসলে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্ত্রটি প্রতিদিন পাঠ করলে দেব এতটাই প্রসন্ন হন যে তাঁর আশীর্বাদে মনের মতো চাকরি পেতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি একের পর এক পদন্নতি লাভের পথও প্রশস্ত হয়। প্রসঙ্গত, এই শক্তিশালী হনুমান মন্ত্রটি কোনও এক মঙ্গলবার থেকে পাঠ করা শুরু করতে হবে এবং টানা ১১ বার জপ করতে হবে। এমনটা করলে দেখবেন উপকার মিলতে সময় লাগবে না।
৫. ভক্ত হনুমান মন্ত্র:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করলে হনুমানজি আশীর্বাদ সদা তাঁর ভক্তদের উপর থাকে। আর মারুথির নেক দৃষ্টি যার উপর রয়েছে, তার ধারে কাছেও যে কোনও দুঃখ ঘেঁষতে পারে না, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে। শুধু তাই নয়, হনুমানজির আশীর্বাদে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কাও যায় কমে। এক কথায় এই মন্ত্রটি পাঠ করা মাত্র আমাদের আশেপাশে একটা সুরক্ষা বলয় তৈরি হয়ে যায়। ফলে কোনও বিপদ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল-"অঞ্জনী- গর্ভা সমভূতা কপি-ইন্দ্র সচিভো- ইত্তমা। রাম প্রিয় নমস- তুভ্যাম হানুমান রাকসা সর্বদা"।
৬. হনুমান মন্ত্র:
এটি হল সবথেকে শক্তিশালী মন্ত্র। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্ত্রটি পাঠ করা মাত্র দ্রুত ফল মেলে। তাই তো বলি বন্ধু, মনের কোন ইচ্ছা যদি চটজলদি পূরণ করতে হয়, তাহলে সেই মুহূর্তে "হং হনুমাতে রুদ্রাৎমাকায় হাং ফট", এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন!
৭. রোগ নিরামক হনুমান মন্ত্র:
শাস্ত্র মতে এই মন্ত্রটি নিয়মিত ২১০০০ বার পাঠ করলে দেবের আশীর্বাদে ছোট-বড় যে কোনও রোগ দূরে পালাতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি ভূত-প্রেতেরাও ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। শুধু তাই নয়, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে পাঠ করা মাত্র কালো যাদুর প্রভাবও কমে যায়। ফলে কোনও অশুভ শক্তির প্রভাবে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যায় কমে। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল- "ওম নমো ভগবতে অঞ্জনীয়া মহাবলয় সোয়াহা।।"