Just In
ঠাকুর ঘরে রুপো বা তামার তৈরি হনুমানজির গদা রাখলে কী কী উপকার পাওয়া যায় জানা আছে?
ছোট্ট একটা, লকেটের সাইজের হলেও চলবে, গদার মূর্তি এনে রাখলে বাড়ির অন্দরে বিশেষ কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে। যার প্রভাবে একের পর এক উপকার মিলতে থাকে, যে সম্পর্কে এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
শাস্ত্র মতে সপ্তাহের প্রতিটা দিন কোনও না কোনও দেবতার জন্য বরাদ্দ রয়েছে। যেমন ধরুন সোমবার হল দেবাদিদেব মহাদেবের দিন, তেমনি মঙ্গলবার হল হনুমানজির আরাধনা করার দিন। তাই তো আজ বাড়িতে হনুমানজি গদা এনে তার পুজো শুরু করলে দারুন সব উপকার পাওয়া যায়। তবে ভাববেন না যে প্রমাণ সাইজের গদা এনে রাখতে হবে! ছোট্ট একটা, লকেটের সাইজের হলেও চলবে, গদার মূর্তি এনে রাখলে বাড়ির অন্দরে বিশেষ কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে। যার প্রভাবে একের পর এক উপকার মিলতে থাকে, যে সম্পর্কে এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
এখন প্রশ্ন হল গদার মধ্যে এমন কি শক্তি রয়েছে, যা আমাদের জীবনের ছবিটাই বদলে দিতে পারে! আসলে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে হনুমানজির সর্বক্ষণের সঙ্গী এই অস্ত্রটির অন্দরে দেবের অপার শক্তি মজুত থাকে। তাই তো বাড়ির ঠাকুর ঘরে হনুমানজির ছবির সামনে তাঁর গদা রাখলে গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির মাত্রা বাড়তে শুরু করে, সেই সঙ্গে আমাদের শরীর এবং মস্তিষ্কের উপরও এর প্রভাব পরে। ফলে বাস্তবিকই জীবনের ছবিটা বদলে যেতে সময় লাগে না।
প্রসঙ্গত, হনুমানজির গদার শক্তিতে সাধারণত যে যে উপকারগুলি মেলে, সেগুলি হল...
১. যে কোনও সমস্যা কেটে যেতে সময় লাগে না:
প্রতি মঙ্গলবার একটা অশ্বত্থ গাছের পাতার উপর "হনুমাতায়ে নামাহঃ" লিখে দেবের ছবি এবং গদার সামনে রেখে যদি হনুমান চল্লিশা পাঠ করতে পারেন, তাহলে জীবন পথে চলতে চলতে সামনে আসা যে কোনও বাঁধা এবং সমস্যা কমে যেতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে টানা এক বছর এইভাবে দেবের অরাধনা করলে জীবনে কোনও দিন কষ্টের সম্মুখিন হতে হয় না। আর যদি কোনও সময় হতেও হয়, তাহলে সেই কষ্ট কমে যেতে সময় লাগে না।
২. সফলতা রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে:
প্রতি মঙ্গলবার লাল কাপড়ের উপর গাদাটা রেখে তাতে অল্প করে সিঁদুর লাগিয়ে নিতে হবে। তারপর অল্প পরিমাণ সিঁদুর নিয়ে হনুমানজির মূর্তি বা ছবিতে লাগিয়ে এক মনে হনুমান চাল্লিশা পাঠ করতে হবে। এইভাবে প্রতি মঙ্গলবার হনুমানজির আরাধনা করলে গৃহস্থের অন্দরে শুভ শক্তির মাত্রা বাড়বে, যার প্রভাবে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে উঠবে। ফলে কর্মক্ষেত্রে সফলতা লাভের পথ যেমন প্রশস্ত হবে, তেমনি সামাজিক সম্মানও বৃদ্ধি পাবে চোখে পরার মতো।
৩. অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটবে:
অল্প সময়ে যদি অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে উঠতে চান, তাহলে হনুমানজির গদা, তার সঙ্গে শ্রী হনুমান, শ্রী রাম, লক্ষণ এবং মা সীতার ছবি বাড়িতে এনে রাখতে ভুলবেন না যেন! কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি মঙ্গলবার ১১ টি অশ্বত্থ গাছের পাতাতে "রাম-রাম" লিখে শ্রী হনুমান এবং ভগবান রামের সামনে রেখে হনুমান চল্লিশা পাঠ করলে বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ তো হয়ই, সেই সঙ্গে যে কোনও ধরনের অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখিন হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে। প্রসঙ্গত, যে ১১ টি পাতায় রাম-রাম লিখেছেন, সেগুলি সূর্যাস্তের পরে জলে ভাসিয়ে দিলে আরও উপকার পাওয়া যায়।
৪. কালা যাদুর প্রভাব কমে:
আজও যে একদল সাধু টাকার লোভে কোনও মানুষের কথা শুনে অনেকের ক্ষতি করার জন্য কালো যাদুর প্রয়োগ করে থাকে, সে বিষয়ে নিশ্চয় জানা আছে। আর আজকের প্রতিযোগিতাময় দুনিয়ায় যেখানে পিছনের জন সামনের জনকে মেরে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় লেগে রয়েছে, সেখানে কেউ যে প্রতিনিয়ত আপনার ক্ষতি করার চেষ্টা করচে না, সে বিষয়ে কি আপনি নিশ্চিত! তাই তো বলি বন্ধু খারাপ শক্তির প্রভাবে যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, তা সুনিশ্চিত করতে প্রতিদিন হনুমানজির গদার পুজো করা শুরু করুন। এমনটা করলে দেখবেন খারাপ শক্তি ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না। প্রসঙ্গত, শাস্ত্র মতে প্রতি মঙ্গলবার হনুমানজির মন্দিরে গিয়ে তার শরীরে লাগানো সিঁদুর কানের পিছনে লাগিয়ে সেই একই সিঁদুর দিয়ে যদি বাড়ির কোনও দেওয়ালে রাম-রাম লিখতে পারেন, তাহলেও খারাপ শক্তি গৃহস্তের অন্দরে প্রবেশ করতে পারে না।
৫. প্রতিপক্ষরা ধুলোয় মিশে যায়:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি মঙ্গলবার "ওম হাম হানুমাতায়ে নামাহঃ", এই মন্ত্রটি জপ করতে করতে যদি গদার পুজো করা যায়, তাহলে প্রতিপক্ষদের বিনাশ ঘটতে সময় লাগে না। আর যদি গদাটি পুজো করার পর নিজের সঙ্গে সারাদিন রাখতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই! তবে শাস্ত্র মতে রুপোর দিয়ে বানানো গদার লকেট পরা একেবারেই উচিত নয়। কারণ এমনটা করলে সে ভাবে উপকার পাওযা যায় না। প্রসঙ্গত, প্রতি মঙ্গলবার গদার পুজো করার মধ্যে দিয়ে হনুমানজির অরাধনা করতে হবে সকাল ৯-১১ টার মধ্যে। যদি এমনটা করতে পারেন, তবেই কিন্তু মিলবে নানাবিধ উপকার।
৬. শনির প্রকোপ কমে যায়:
শাস্ত্র মতে প্রতি মঙ্গলবার হনুমানজির ছবি এবং তার গদার সামনে নটি প্রদীপ জ্বালিয়ে, মিষ্টি নিবেদন করে যদি হনুমান চল্লিশা পাঠ করা যায় এবং মনে মনে শ্রী রামের নাম নেওয়া যায়, তাহলে শনি দেবের বক্র দৃষ্টি পরার আশঙ্কা কমে, সেই সঙ্গে শনির সাড়ে সাতির প্রকোপ কমে যেতেও সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু, যাদের কুষ্টিতে শনি গ্রহের অবস্থান একেবারেই ঠিক নেই, তারা দেবের অরাধনা করতে ভুলবেন না যেন!