Just In
- 27 min ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 1 hr ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 5 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 6 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
শাস্ত্রে লেখা শিব ঠাকুরের এই উপাদেশগুলি মেনে চললে দেখবেন জীবনে কখনও কষ্ট পেতে হবে না!
শিবায়" মন্ত্রটি জপ করতে করতে শিবের নাম নিলে বাস্তবিকই নানা উপকার পাওয়া যায়। তবে এর থেকেও বেশি উপকার মেলে "শিব পুরান" এবং অন্যান্য প্রাচীন শাস্ত্রে উল্লেখিত দেবাদিদেবের নানা মতাদর্শ মেনে চললে।
শাস্ত্রে বলে সোমবার হল দেবাদিদেব মহাদেবের পুজো করার দিন। এদিন শিব ঠাকুরের অরাধনা করলে নাকি মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হয়। এমনকি নানাবিধ সমস্যা নাকি মিটে যেতে সময় লাগে না...!
একথা ঠিক যে প্রতি সোমবার "ওম নম শিবায়" মন্ত্রটি জপ করতে করতে শিবের নাম নিলে বাস্তবিকই নানা উপকার পাওয়া যায়। তবে এর থেকেও বেশি উপকার মেলে "শিব পুরান" এবং অন্যান্য প্রাচীন শাস্ত্রে উল্লেখিত দেবাদিদেবের নানা মতাদর্শ মেনে চললে। শাস্ত্রে নিয়ে যারা ঘাঁটাঘাটি করেন তাদের মতে সমগ্র জীবনকালে সর্বশক্তিমান এমন সব ঘটনা ঘটিয়েছিলেন, যা বাস্তবিকই উদাহরণ স্বরূপ। এবং সেই ঘটনাগুলি থেকে যে শিক্ষা পাওয়া যায়, তা যদি কেউ মনে রেখে জীবন পথে এগিয়ে চলেন, তাহলে এই মানব জীবনের প্রতিটি দিন যে অফুরন্ত অনন্দে ভরে ওঠে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই! তাই তো বলি বন্ধু এমন প্রতিযোগিতাময় জীবনে প্রিয় মানুষদের সঙ্গে নিয়ে সুখে-শান্তিতে যদি বাকি জীবনটা কাটাতে হয়, তাহলে এই লেখায় আলোচিত নিয়মগুলি মেনে চলতে ভুলবেন না যেন! আর এমনটা যদি করতে পারেন, তাহলে মনের মতো ফল যে পাবেই পাবেন, সে কথা হলফ করে বলতে পারি।
প্রসঙ্গত, সুখ-শান্তিতে ভরা জীবন পেতে শিব ঠাকুরের বলে যাওয়া যে যে নিয়মগুলি মেনে চলা একান্ত প্রয়োজন, সেগুলি হল...
১. জীবনে ভুলেও কখনও খারাপ কাজ কাজকে সাপোর্ট করবেন না:
যখনই খারাপ শক্তি মাথা চাড়া দিয়েছে তখনই নানা অবতারে সেই খারাপের বিনাশ ঘটিয়েছেন দেবাদিদেব। তিনি মনে করতেন খারাপ শক্তিকে ধ্বংস করারই ভালর একমাত্র লক্ষ হওয়া উচিত। আর এমনটা করলে মানসিক শান্তি যেমন পাওয়া যায়, তেমনি সুখ-শান্তিতে থাকার পথটাও প্রশস্ত হয়। তাই পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, খারাপকে ভুলেও সাপোর্ট তখনও করবেন না বন্ধু। বরং মাথা তুলে দাঁড়িয়ে তার প্রতিবাদ করুন। দেখবেন বাকি জীবনটা শান্তিতে কেটে যাবে।
২. আত্মনিয়ন্ত্রণ জরুরি:
খেয়াল করে দেখুন আজকের যুব সামজের অধিকাংশেরই জীবনে কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই! সেই কারণেই তো কম বয়সেই নানা রোগ যেমন এদের শরীরে এসে বাসা গেড়ে বসছে, তেমনি মানসিক শান্তির দেখাও কেউ পায় না। কেন পাবেই বা বলুন! অনিয়ন্ত্রিত জীবন কখনও সুখের সন্ধান দিতে পারে না। তাই তো সবারই শিব ঠাকুরের পথ অনুসরণ করা উচিত। আর কী সেই পথ? মনে রাখতে হবে জীবন একটাই, তাই আনন্দ তো করবেনই। কিন্তু তা করতে হবে নিয়ন্ত্রিত ভাবে। সেই সঙ্গে রাগকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে হবে। তাহলেই দেখবেন মন এবং মস্তিষ্ক এতটাই ঠান্ডা থাকবে যে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা কমবে। আর জীবন পথে চলতে চলতে নেওয়া বেশিরভাগ সিদ্ধান্তই যখন ঠিক হয়, তখন জীবনের ছবিটা বদলে যেতে যে সময় লাগে না, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে।
৩. স্ট্রেসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে:
চিকিৎসকেরা বলেন আজকের পরিস্থিতিতে যদি স্ট্রেস বা মানসিক চাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, তাহলে অর্ধেক যুদ্ধ জিতে নেওয়া সম্ভব হয়। শুধু তাই নয়, একথাও জেনে রাখা জরুরি যে স্ট্রেস হল সেই বিষ, যা ধীরে ধীরে আমাদের শরীর এবং মনকে ধ্বংস করে দেয়। শুধু তাই নয়, অনন্দ এবং খুশির অনুভূতি থেকে শতহস্ত দূরে করে দেয় আমাদের। তাই তো শিব ঠাকুর যেমন ধ্যান এবং প্রাণায়মের মাধ্যমে নিজেকে সারাক্ষণ শান্ত রাখতেন, সেই ভাবে আমাদেরও প্রতিদিন প্রাণায়ম করা উচিত। এমনটা করলে স্ট্রেস লেভেল তো কমবেই, সেই সঙ্গে মন-মেজাজও শান্ত থাকবে। কমবে উদ্বেগ। ফলে অফুরন্ত অনন্দের সন্ধান মিলবে চোখের পলকে।
৪. টাকা নয় সম্পর্কের পিছনে দৌড়ান:
পরিসংখ্যান বলছে আজকের দিনে কেউই খুশি নন। সবাই কোনও না কোনও কারণে কেঁদেই চলেছে। কিন্তু এমন পরিস্থিতির পেছনে কারণটা কী? সমাজতত্ত্ব নিয়ে যারা চর্চা করেন তাদের মতে আজ আমরা সবাই টাকার পিছনে ছুটছি। অনেক টাকা হলে দামি-দামি জাম-কাপড় কেনা যাবে। ভাল ফ্ল্যাটে থাকা যাবে। দামি গাড়ি চাপা যাবে। আর এই সব পেলেই আমরা খুশি! কিন্তু আমরা এটা বুঝে উঠতে পারি না যে টাকা দিয়ে কেনা জিনিস আমাদের সাময়িক অনন্দ দেয়, যেখানে প্রিয় মানুষটির সঙ্গে কাটানো বিশেষ মুহূর্ত আমাদের সারা জীবন মুখে হাসি ফোটায়, আনন্দ দেয়। তাই সময় থাকতে থাকতে সম্পর্কে বিনিয়োগ করুন। শুধু টাকার পিছনে ছুটবেন তো নিঃসঙ্গতাই হয়ে উঠবে আপনার চিরসঙ্গী।
৫. "ইগো" বড়ই ধ্বংসাত্মক:
শাস্ত্রে বলে মহাদেব সারাক্ষণ তাঁর ত্রিশুলটিকে হাতে রাখেন। কারণ এটিই তাঁর "ইগো"কে ধ্বংস করে। আর এমনটা হওয়াই তো জরুরি। কারণ "আমিই সেরা"। "আমার থেকে বড় কেউ নেই", এমন ধরনের চিন্তা আমাদের শুধু ধ্বংসই করে। তাই তো দেবাদিদেবের মতো আমায়িক হন। যতই ক্ষমতার অধিকারী হোন না কেন, নিজের থেকে দুর্বল মানুষদের কাছে টেনে নিন। দেখবেন এত সম্মান এবং ভালবাসা পাবেন যে দুঃখ আপনাকে ছুঁতেও পারবে না।
এত দূর পড়ার পর নিশ্চয় ভাবছেন সোমবার এত জ্ঞান কেন! তাই তো? আসলে বন্ধু সপ্তাহের শুরুতেই যদি ঠিক পথটা ধরে নেওয়া যায়, তাহলে খারাপ কিছু হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি দুঃখ এবং অশান্তি ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। তাই সিদ্ধান্ত আপনার, শিব ঠাকুরের দেখানো পথে চলবেন নাকি...!