Just In
রাশি অনুসারে কোন দেবতার পুজো করলে মনের সব ইচ্ছা পূরণ হয় জানা আছে?
শাস্ত্র মতে রাশি অনুযায়ী দেবদেবীদের পুজো করা উচিত। এমনটা করলে তবেই মনের সব ইচ্ছা পূরণ হয়। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে হোক কি পারিবারিক জীবন, সবক্ষেত্রেই সুখ এবং শান্তি বজায় থাকে।
দেখুন আমরা মানি আর না মানি, একথার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে মনের সব ইচ্ছা পূরণ করার জন্যই আমারা দেব-দেবীদের পুজো করে থাকি। কিন্তু পুজো করলেই যে মনের সব ইচ্ছা পূরণ হয়, এমন নয়। অনেক ক্ষেত্রেই হাজারো বার, হাজারো দেব দেবীর পুজো করার পরও মনইচ্ছা অপূর্ণই থেকে যায়। কিন্তু এমনটা কেন হয় জানা আছে?
শাস্ত্র মতে রাশি অনুযায়ী দেবদেবীদের পুজো করা উচিত। এমনটা করলে তবেই মনের সব ইচ্ছা পূরণ হয়। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে হোক কি পারিবারিক জীবন, সবক্ষেত্রেই সুখ এবং শান্তি বজায় থাকে। শুধু তাই নয়, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথ প্রশস্থ হতেও সময় লাগে না। তাহলে আর অপেক্ষা কেন, জেনে নেওয়া যাক কোন রাশি অনুযায়ী কোন দেবদেবীদের পুজো করা উচিত?
১. মেষরাশি:
আপনি যদি এই রাশির জাতক-জাতিকা হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার রাশির রুলিং প্ল্যানেট হল মঙ্গল। তাই প্রতিদিন আপনাকে ভগবান শিবের পুজো করতে হবে। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে মেষরাশির অধাকারিরা যদি নিয়মিত দেবাদিদেবের পুজো করেন, তাহলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি লাভের সম্ভাবনা তো বাড়েই, সেই সঙ্গে নানাবিধ জটিল রোগও ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। শুধু তাই নয়, পরিবারিক শান্তি দূরে পালানোর সম্ভাবনাও হ্রাস পায়।
২.বৃষরাশি:
এই রাশির রুলিং প্ল্যানেট হল শুক্র। তাই তো জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞরা বৃষরাশির জাতক-জাতিকাদের নিয়মিত মা লক্ষ্মীর পুজো করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। প্রসঙ্গত, এই নিয়মটি যদি মেনে চলতে পারেন, তাহলে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়, সেই সঙ্গে অর্থ, সমৃদ্ধি এবং পজেটিভ এনার্জিও প্রিয় বন্ধু হয়ে ওঠে। আর একথা কে না জানে বলুন, যে একবার গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির প্রভাব যদি বাড়তে শুরু করে, তাহলে চরম উন্নতির স্বাদ পেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে জীবনে চলার পথে নানাবিধ বাঁধার সম্মুখিন হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
৩. মিথুনরাশি:
এই রাশিকে নিয়ন্ত্রণ করে বুধ গ্রহ। আর এই গ্রহটিকে যদি শান্ত রাখতে হয়, তাহলে ভগবান বিষ্ণুর পুজো করা উচিত। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে বালাজি মহারাজের মূর্তি বা ছবি এনে নিয়মিত যদি ধূপ-ধুনো সহকারে পুজো করা হয়, তাহলে দারুন সুফল মেলে। এক্ষেত্রে দুঃখের জালে জড়িয়ে পরার আশঙ্কা যায় কেম, সেই সঙ্গে বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হতেও সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, বালাজি মহারাজের ছবি যদি জোগাড় করতে না পারেন, তাহলে জগন্নাথ দেবের মূর্তি এনেও পুজো করতে পারেন। এমনটা করলেও সমান উপকার পাওয়া যায়।
৪. কর্কটরাশি:
এই রাশির জাতক-জাতিকাদের উপর যেহেতু চাঁদের প্রভাব বেশি মাত্রায় থাকে, তাই এরা বেজায় হাসি-খুশি প্রকৃতির হন। শুধু তাই নয় মজা করতে করতে জীবনের পথে এগিয়ে যেতে এরা বেজায় পছন্দ করে। তবে একটাই সমস্যা। কর্কটরাশির জাতকরা বেজায় ইমোশমনাল হন। তাই তো এদের নিয়মিত মা দূর্গা বা তাঁর কোনও অবতারের পুজো করা উচিত। এমনটা করলে মনের সব ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে সুখে-শান্তিতে বাঁচার স্বপ্নও পূরণ হয়।
৫. সিংহরাশি:
এই রাশির জাতক-জাতিকাদের মেজাজ সব সময়ই তুঙ্গে থাকে। শুধু তাই নয়, লার্জার দেন লাইফ লিড করতে এরা বেশি পছন্দ করে। আর কেন করবেন নাই বা বলুন। সিংহরাশিকে নিয়ন্ত্রণ করে সূর্য। আর এই নক্ষত্রটির তেজ কত, তা নিশ্চয় কারও অজানা নেই। এই কারণেই তো এই রাশির জাতক-জাতিকারা বেজায় তেজিয়াল হয়ে থাকেন। সেই কারণেই তো সিংহরাশির জাতক-জাতিকাদের নিয়মিত ভগবান শিবের পুজো করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এক মনে যদি দেবাদিদেবর পুজো করা যায়, তাহলে গুডলাকের সন্ধান পাওয়া যায়। ফলে কর্মক্ষেত্রে সফলতার স্বাদ পেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে পদন্নতিও হয় চোখে পরার মতো। প্রসঙ্গত, সিংহরাশির জাতক-জাতিকার সারা দিন ধরে যদি "ওম নমঃ শিবায়", এই মন্ত্রটি জপ করতে পারেন, তাহলে আরও বেশি মাত্রায় ফল মেলে।
৬. কন্যারাশি:
মিথুনরাশির মতো এই রাশির জাতক-জাতিকাদের উপরও বুধের প্রভাব থাকে। তাই তো এদের নিয়মিত বালাজি মহারাজের পুজো করা উচিত। আর যদি এমনটা না করতে পারেন, তাহলে ভগবান বিষ্ণুর পুজো শুরু করা উচিত। এই নিয়মটি মানলে সুফল পেতে সময় লাগে না।
৭. তুলারাশি:
শুক্র গ্রহের প্রভাব এই রাশির জাতক-জাতিকাদের উপর বেশি মাত্রায় থাকে। তাই তো তুলারাশির অধিকারিদের নিয়মিত মা লক্ষ্মীর পুজো করা উচিত। এমনটা করলে খারাপ শক্তির প্রভাব কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে প্রজেটিভ শক্তির মাত্রা, যার প্রভাবে সাফল্য এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি রোজের সঙ্গী হয়। শুধু তাই নয়, গৃহস্থে সুখ-শান্তির বাতাবরণ বজায় থাকে।
৮. বৃশ্চিকরাশি:
চটজলদি মনের ইচ্ছা পূরণ হোক, এমনটা যদি চান, তাহলে মঙ্গল গ্রহকে বন্ধু বানিয়ে রাখতে হবে। কারণ এই গ্রহটি বৃশ্চিকরাশির জাতক-জাতিকাদের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। আর মঙ্গলকে বাগে আনবেন কীভাবে? খুব সহজ! নিয়মিত ভগবান শিবের পুজো শুরু করুন। দেখবেন সুফল মিলবে একেবারে হাতেনাতে!
৯. ধনুরাশি:
এই রাশিটিকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে জুপিটার। তাই তো ধনুরাশির জাতক-জাতিকাদের শ্রী দক্ষিণামূর্তির পুজো করা উচিত। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে ইনি হলেন ভগবান শিবেরে অবতার। অর্থাৎ শ্রী দক্ষিণামূর্তিকে পুজো করার অর্থ হল ভগবানের শিবের পুজো করা। এমনটা যদি নিয়মিত করতে পারেন, তাহলে খারাপ সময়ের প্রভাব কমতে শুরু করে। ফলে সুখ-শান্তিতে ভরে ওঠে জীবন।
১০. মকররাশি:
এই রাশির রুলিং প্ল্যানেট হল মঙ্গল। তাই তো মকররাশির জাতক-জাতিকাদের নিয়মিত ভগবান শিবের পুজো করতে হবে। এমনটা করলে মঙ্গলের খারাপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা কমবে। ফলে কঠিন সময়ের সম্মুখিন হওয়ার আশঙ্কা কমবে। সেই সঙ্গে সফলতা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি রোজের সঙ্গী হবে।
১১. কুম্ভরাশি:
এই রাশির জাতিক-জাতিকাদেরও নিয়ন্ত্রণ করে মঙ্গল গ্রহ। তাই এদেরও নিয়মিত ভগবান শিবের পুজো করা উচিত। সেই সঙ্গে সারা দিন ধরে যদি "ওম নমঃ শিবায়", এই মন্ত্রটি যদি জপ করতে পারেন, তাহলে আরও বেশি মাত্রায় সুফল পাওয়া যায়।
১২. মীনরাশি:
জুপিটারের নিয়ন্ত্রণে থাকার কারণে এই রাশির জাতক-জাতিকাদের নিয়মিত শ্রী দক্ষিণামূর্তির পুজো করা উচিত। এমনটা যদি করা যায় তাহলে অর্থনৈতিক উন্নতির স্বাদ পেতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি ছোট-বড় নানা রোগের খপ্পর থেকেও মুক্তি মেলে।