Just In
প্রত্যেকেরই ঘুম থেকে উঠে হাতের তালুর দিকে তাকিয়ে কারাগ্রে ভাসাতে লক্ষ্মী মন্ত্র পাঠ করা উচিত কেন?
এই লেখায় আজ এমন একটি পদ্ধতির সন্ধান দেওয়া হবে, যাকে কাজে লাগালে শারীরিক উপকার তো মিলবেই, সেই সঙ্গে আরও এমন অনেক উপকার পাওয়া যাবে, যা সম্পর্কে হয়তো আপনি স্বপ্নেও কখনও ভাবেননি!
হাজার হাজার বছর আগে হিন্দু শাস্ত্রের উপর লেখা নানা পুঁথির দিকে নজর ফেরালে আপনি অবাক হতে বাধ্য। কারণ হিন্দু ধর্মের যা গভীরতা, তা দেখে যে কারও চোখ কপালে উঠে যেতে পারে এবং এমন বৃহত এক জ্ঞানের ভান্ডারের দশ শতাংশও আমরা জানি কিনা, সে সম্পর্কে সন্দেহ থেকেই যায়। কারণ আমাদের কাছে ধর্ম মানে শুদু পুজা-অর্চনা। কিন্তু তার বাইরেও শাস্ত্রে এমন অনেক মন্ত্র, এমন অনেক স্পিরিচুয়াল পদ্ধতির উল্লেখ পাওয়া যায়, যা আমাদের জীবনের ছবিটাকে এতটাই রঙিয়ে তুলতে পারে যে দুঃখ ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগও পাবে না। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল সে সম্পর্কে সিংহভাগই খবর রাখেন না। তাই তো বন্ধু এই প্রবন্ধটি লেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া।
আসলে এই লেখায় আজ এমন একটি পদ্ধতির সন্ধান দেওয়া হবে, যাকে কাজে লাগালে শারীরিক উপকার তো মিলবেই, সেই সঙ্গে আরও এমন অনেক উপকার পাওয়া যাবে, যা সম্পর্কে হয়তো আপনি স্বপ্নেও কখনও ভাবেননি! তবে ভাববেন না এত সব উপকার পেতে হাতি-ঘোড়া কিছু করতে হবে! বরং সকালে ঘুম থেকে ওটার পর দু-হাতের তালুর দিকে তাকিয়ে শুধু কারাগ্রে ভাসাতে লক্ষ্মী মন্ত্রটি পাঠ করতে হবে। তাহলেই দেখবেন কেল্লা ফতে! প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল- "কারাগ্রে ভাস্তে লক্ষ্মী, কারা মধ্যে সরস্বতী, কারা মূলে স্তিস্থা গৌরী, মঙ্গলাম কারা দর্শনাম"। অর্থাৎ এই মন্ত্রের অর্থটা হল- তালুর একেবারে উপরে অবস্থান করছেন মা লক্ষ্মী, মধ্যে সরস্বতী এবং একেবারে নিচে মা গৌরি। তাই তো ঘুম থেকে ওঠার পর এই মন্ত্রটি জপ করলে মা লক্ষ্মী, সরস্বতী এবং মা দুর্গা বেজায় প্রসন্ন হন। ফলে মায়েদের আশীর্বাদে একের পর এক উপকার মেলার সম্ভাবনা যায় বেড়ে। যেমন ধরুন...
১. অনেক অনেক টাকায় পকেট ভরে ওঠে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতিদিন সাকলে ঘুম থেকে উঠে এই মন্ত্রটি পাঠ করলে মা লক্ষ্মী এতটাই প্রসন্ন হন যে দেবীর আগমণ ঘটে গৃহস্থে। আর যে বাড়িতে মা নিজ আসন পাতেন, সেখানে ধন দেবাতে কুবেরেও প্রবেশ ঘটে। ফলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদে কোনও ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে।
২. সারা দিনটা আনন্দে কাটে:
সকাল সকাল এই মন্ত্রটি পাঠ করলে আমাদের আশেপাশে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে খারাপ শক্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। ফলে সারাটা দিন যেমন অনন্দে কাটে, তেমনি কর্জকর্মও ঠিক মতো হয়। শুধু তাই নয়, শুভ শক্তির প্রভাবে লাক আপনার সঙ্গে থাকার কারণে কোনও বিপদ ঘটার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি মনের যে কোনও ইচ্ছা পূরণ হতেও সময় লাগে না।
৩. জ্ঞান এবং বুদ্ধির বিকাশ ঘটে:
শাস্ত্র মতে মা সরস্বতী যখন কারও উপর সদয় হন, তখন যে কোনও সমস্যা কমে যেতে সময় লাগে না। ফলে হারিয়ে যাওয়া মানসিক শান্তি যেমন ফিরে আসে, তেমনি কর্মক্ষেত্রে এবং পড়াশোনায় তুমুল উন্নতির পথও প্রশস্ত হয়। শুধু তাই নয় দেবীর আশীর্বাদে কর্মক্ষেত্রে তো বটেই, তার পাশাপাশি সামাজিক ক্ষেত্রেও সম্মান বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। তাই তো বলি বন্ধু, এই মানব জীবনকে যদি সার্বিক দিক থেকে সার্থক বানাতে হয়, তাহলে সকাল সকাল এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন!
৪. মনের জোর বাড়ে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্ত্রটি পাঠ করা মাত্র মা দুর্গার নেক নজর পরে তার ভক্তের উপর। ফলে মাতৃশক্তির প্রভাবে মনের জোর তো বাড়েই। সেই সঙ্গে যে কোনও ধরনের ভয়ও দূর হয়। আর ভয় দূরে পালালে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত যে অফুরন্ত অনন্দে ভরে ওঠে, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে! প্রসঙ্গত, এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করলে মা দুর্গার আশীর্বাদে কালো যাদুর প্রভাব যেমন কেটে যায়, তেমনি খারাপ শক্তির প্রভাবও কমে। ফলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যায় কমে।
৫. পরিবারের অন্দরে সুখ-শান্তি বজায় থাকে:
বাকি জীবনটা যদি শান্তিতে কাটাতে চান, তাহলে নিয়মিত কারাগ্রে ভাসাতে লক্ষ্মী মন্ত্রটি পাঠ করতে ভুলবেন না যেন! কারণ এমনটা করলে গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে কোনও ধরনের কলহ বা ঝামেলা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি পরিবারের অন্দরে সুখের ঝাঁপি খালি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও দূর হয়। ফলে অনন্দে ভরে ওঠে প্রতিটা দিন।
৬. হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে:
ঘুম ভাঙার পরে হঠাৎ করে উঠে খাট থেকে নেমে গেলে আচমকাই শরীরের প্রতিটি শিরা-উপশিরা চুপসে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের উপর মারাত্মক চাপ পরে। আর এমনটা দিনের পর দিন হতে থাকলে হৃদপিন্ডের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা যে বাড়ে, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে! তাই তো বলি বন্ধু, ঘুম থেকে ওঠার পর কিছুক্ষণ বিছানায় বসে এই মন্ত্রটি জপ করুন। এমনটা করলে হার্টের উপর অযাচিত চাপ পরার আশঙ্কা যেমন কমবে, তেমনি শরীরির সার্বিক ক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে।
৭. মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে দিনের এই বিশেষ সময়ে এই বিশেষ মন্ত্রটি জপ করা শুরু করলে নিউরনের ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে বাড়ে স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগ ক্ষমতাও। শুধু তাই নয়, ব্রেন পাওয়ার বাড়লে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বুদ্ধির ধারও বাড়ে চোখে পরার মতো। আর আজকের দুনিয়ায় নিরাপদে থাকতে এবং চরম সফলতার স্বাদ পেতে বুদ্ধিমান হওয়াটা যে কতটা জরুরি, তা নিশ্চয় আর আলাদা করে বলে দিতে হবে না!