Just In
- 17 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 18 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 21 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 23 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Snana Yatra 2021 : এবছর স্নানযাত্রা কবে পড়েছে? জেনে নিন দিন-ক্ষণ ও এই উৎসবের তাৎপর্য
হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব স্নানযাত্রা। একে দেবস্নানা পূর্ণিমাও বলা হয়ে থাকে। হিন্দু দেবতা জগন্নাথের ভক্তদের কাছে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎসব। এই দিনটিকে জগন্নাথদেবের জন্মতিথি বলে মনে করা হয়। স্নানযাত্রা উপলক্ষে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা এবং মদনমোহনের বিগ্রহ শোভাযাত্রা সহকারে গর্ভগৃহ থেকে স্নানবেদীতে আনা হয়। সেখানে প্রথাগতভাবে কূপের জল মন্ত্র দ্বারা শুদ্ধ করে ১০৮ কলস জলে বিগ্রহ স্নান করানো হয়। স্নানপর্বের পর গজবেশে সাজানো হয়। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে সবচেয়ে বড় করে এই উৎসব পালিত হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, এই উৎসব কালে জগন্নাথ দর্শন করলে জীবনের সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি মেলে। এই জন্য অসংখ্য ভক্ত স্নানযাত্রা উপলক্ষ্যে পুরীর মন্দির দর্শনে যান। স্কন্দপুরাণ মতে, পুরীর মন্দিরে বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার পর রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন এই অনুষ্ঠান প্রচলন করেন।
২০২১ সালের স্নানযাত্রার দিন ও শুভ ক্ষণ
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে
পূর্ণিমা তিথি শুরু - বাংলার ৮ আষাঢ়, বুধবার।
ইংরেজি - ২৩ জুন, বুধবার।
সময় - রাত ৩টে বেজে ৩৪ মিনিট।
পূর্ণিমা তিথি শেষ - বাংলার ৯ আষাঢ়, বৃহস্পতিবার।
ইংরেজি - ২৪ জুন, বৃহস্পতিবার।
সময় - রাত ১২টা বেজে ১০ মিনিট।
গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে
পূর্ণিমা তিথি শুরু - বাংলার ৮ আষাঢ়, বুধবার।
ইংরেজি - ২৩ জুন, বুধবার।
সময় - রাত ২টো ৪২ মিনিট ২৭ সেকেন্ড।
পূর্ণিমা তিথি শেষ - বাংলার ৯ আষাঢ়, বৃহস্পতিবার।
ইংরেজি - ২৪ জুন, বৃহস্পতিবার।
সময় - রাত ১২টা ২৪ মিনিট ০১ সেকেন্ড।
আরও পড়ুন : Ambubachi 2021 : ২২ জুন থেকে শুরু অম্বুবাচী, কোন সময় শুরু এবং শেষ কবে? জেনে নিন সম্পূর্ণ নির্ঘণ্ট
প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এই স্নানের পরেই জগন্নাথদেব জ্বরে কাবু হয়ে পড়েন। এই সময় তাঁকে রাজবৈদ্যের চিকিৎসাধীনে গোপনে একটি সংরক্ষিত কক্ষে রাখা হয়। জগন্নাথের এই অসুস্থতার পর্যায়টি 'অনসর' নামে পরিচিত। এই সময় ভক্তেরা দেবতার দর্শন পান না। কথিত আছে, রাজবৈদ্যের আয়ুর্বৈদিক 'পাচন' খেয়ে এক পক্ষকালের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন। তারপর ভক্তেরা আবার তাঁকে দর্শন করতে পারেন। সুস্থ হয়ে উঠে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা রাজবেশে সজ্জিত হয়ে রথযাত্রায় মাসির বাড়ি যান।