Just In
Don't Miss
শুভ নববর্ষ : জেনে নিন পয়লা বৈশাখ সম্পর্কে কিছু আকর্ষণীয় তথ্য
আজ পয়লা বৈশাখ। আকাশের সূর্য নতুন শক্তি এবং নতুন চেতনার সঙ্গে উদিত হল আজ। সমস্ত দুঃখ, কষ্ট, অসহায়তাকে দূরে ফেলে নতুনভাবে পথ চলায় অঙ্গীকারবদ্ধ আপামর বাঙালি। এই নববর্ষকে হাতিয়ার করে আনন্দে মেতে ওঠেন বাঙালি পরিবার। কচি পাঁঠার ঝোল থেকে ইলিশ মাছ, পাতে ভরপুর থাকে নানাবিধ খাবার। কারণ, বাঙালির অনুষ্ঠান মানেই কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া-দাওয়া।
কিন্তু এই সব আনন্দে এখন ভাটা পড়েছে। মানুষ দিনটিকে উপভোগ করতে চাইলেও বাঁচার তাগিদে তা দূরে সরিয়েছে। করোনার দৌলতে গৃহবন্দী থেকেই দিনযাপন করছে মানুষ। নববর্ষে একটাই চাওয়া, করোনা মুক্ত পৃথিবী। কিন্তু নববর্ষ সম্পর্কে অনেক তথ্যই হয়তো আমরা অনেকেই জানি না। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই দিন সম্পর্কে কিছু আকর্ষণীয় তথ্য।
১) বাংলা নববর্ষ বা পয়লা বৈশাখের দিনটি কখন শুরু হয় তা অনেক বাঙালিরই অজানা। অনেকেই পয়লা বৈশাখের মধ্যরাতে তাদের পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করে। কিন্তু এটি ইংরেজি দিবস নয় যে রাত ১২টা থেকে শুরু হবে। বাংলা নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ দিনের প্রথম প্রহর থেকে শুরু হয়, যার অর্থ দিনের প্রথম ঘন্টা।
২) জাতি, বর্ণ, ধর্ম এবং আঞ্চলিক বৈচিত্র অনুযায়ী নববর্ষ সকল বাঙালির একটি আনন্দের উৎসব। এই উৎসবটি কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই নয়, বাংলাদেশ, আসাম, ত্রিপুরা, ওড়িশা এবং সারা বিশ্বের বাঙালি সম্প্রদায়গুলিতে দিনটি উদযাপিত হয়।
৩) দিনটিতে সকলে নতুন পোশাক পরে। মহিলারা বিশেষ সাদা-লাল শাড়ি পরে এবং তাদের চুলগুলিকে ফুল দিয়ে সজ্জিত করে, এবং পুরুষরা ধুতি-পাঞ্জাবি পরে।
৪) এই দিনে বাঙালির পাতে থাকে বিশেষ মেনু। যদিও খাবারের ক্ষেত্রে এপার বাংলা এবং ওপার বাংলার একটা সুপ্ত লড়াই থেকেই যায়।
৫) পয়লা বৈশাখে গ্রামীণ সংস্কৃতির ধারা মেনে বিভিন্ন জায়গায় বৈশাখী মেলা শুরু হয়। অন্তত এক সপ্তাহ ধরে চলে এই মেলা। দেশের বিভিন্ন জায়গার নিয়ম অনুযায়ি বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলারও আয়োজন করা হয়।
৬) হালখাতার আচারটি বাংলা নববর্ষের একটি অনুষ্ঠান। পয়লা বৈশাখে ব্যবসায়ীরা, বিশেষত গ্রামীণ অঞ্চলে সমস্ত পুরানো খাতাগুলি বন্ধ করে নতুন খাতা খোলেন। ব্যবসায়ীরা তাদের গ্রাহকদের মিষ্টি ও নববর্ষের বাংলা ক্যালেন্ডার উপহার দেন।
৭) ঐতিহাসিকদের মতে, আকবরের সময়কাল থেকেই পয়লা বৈশাখ উদযাপন শুরু হয়। সেই সময়ে তখন প্রত্যেককে বাংলা চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে হতো। এর পর দিন অর্থাৎ পয়লা বৈশাখে জমির মালিকরা নিজ নিজ অঞ্চলের অধিবাসীদেরকে মিষ্টান্ন দ্বারা আপ্যায়ন করতেন। আর এই উপলক্ষে বিভিন্ন উৎসবের আয়োজনও করা হত। পরবর্তী কালে এই উৎসবটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয়ে বর্তমানে এই পর্যায়ে এসেছে।