Just In
প্রতি বৃহস্পতিবার নিয়ম করে লর্ড বিষ্ণুর পুজো করুন দেখবেন বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হবেই হবে!
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে সপ্তাহের এই বিশেষ দিনে দেবের পুজোর আয়োজন করলে গৃহস্থের প্রতিটি কোণায় পজেটিভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে শরীর এবং মস্তিষ্ক চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
শাস্ত্র অনুসারে বৃহস্পতিবার হল ভগবান বিষ্ণুর দিন। তাই তো এদিন সকাল সকাল উঠে ডাল, গুড় এবং লাডডু নিবেদন করে যদি ভগবান বিষ্ণুর পুজো করা হয়, তাহলে দেব এতটাই প্রসন্ন হন যে মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, বিষ্ণু দেব প্রসন্ন হলে গৃহস্থে দেবী লক্ষ্মীর প্রবেশ ঘটতেও সময় লাগে না। আর এমনটা বিশ্বাস করা হয়, যে বাড়িতে মা লক্ষী বিরাজ করেন, সেখানে ধন দেবতা কুবেরও নিজের আসন স্থাপন করেন। ফলে অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি যে কোনও ধরনের অর্থনৈতিক সমস্যা কমে যায় চোখের পলকে। এমনকী কোনও দিন খাবারের অভাব ঘটার আশঙ্কাও কমে যায়। তবে এখানেই শেষ নয়, প্রতি বৃহস্পতিবার নিয়ম করে লর্ড বিষ্ণুর পুজো করলে আরও একাধিক উপকার মেলে। যেমন ধরুন...
১. আয়ু বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে সপ্তাহের এই বিশেষ দিনে দেবের পুজোর আয়োজন করলে গৃহস্থের প্রতিটি কোণায় পজেটিভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে শরীর এবং মস্তিষ্ক এতটাই চাঙ্গা হয়ে ওঠে যে ছোট-বড় সব রোগ দূরে পালাতে সময় লাগে না। ফলে আয়ু বাড়ে চোখে পরার মতো।
২. পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে:
বাকি জীবনটা যদি সুখে-শান্তিতে কাটাতে হয় তাহলে বৃহস্পতিবার ভগবান বিষ্ণু এবং মা লক্ষ্মীর পুজো করতে ভুলবেন না যেন! কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এদিন সর্বশক্তিমানের আরাধনা করলে পরিবারের অন্দরে সুখের ঝাঁপি খালি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। শুধু তাই নয়, কোনও ধরনের কলহ বা অশান্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনাও আর থাকে না। সেই সঙ্গে কোনও বিপাদ ঘটার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়।
৩. কর্মজীবনে পদন্নতি ঘটে চোখে পরার মতো:
অল্প সময়ে অফিসে চরম সফলতার স্বাদ পেতে চান নাকি? উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে বন্ধু প্রতি বৃহস্পতিবার সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ভগবান বিষ্ণুর প্রিয় খাবারগুলি, যেমন ধরুন- ডাল, গুড় এবং লাডডু পরিবেশন করে দেবের পুজো করুন। সেই সঙ্গে বিষ্ণু মন্ত্র জপ করতে ভুলবেন না। এমনটা যদি নিয়মিত করতে পারেন, তাহলে কর্মজীবনে তরতরিয়ে এগিয়ে যেতে দেখবেন কেউ আপনাকে আটকাতে পারবেন না। সেই সঙ্গে প্রতিপক্ষরা শত চেষ্টা করেও কোনও ক্ষতি করে উঠতে পারবে না।
৪. মনের জোর বাড়বে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে দেবাদিদেব এবং হনুমানজির আরাধনা করলে মনের জোর যেমন বাড়ে, তেমনি একই উপকার পাওয়া যায় লর্ড বিষ্ণুর পুজো করলেও। আর একবার মনের জোর আকাশ ছুঁলে জীবন পথে চলতে চলতে সামনে আসা যে কোনও বাঁধা পেরিয়ে যেতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদের মতো রোগ ঘিরে ধরার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
৫. খারাপ শক্তির প্রভাবে কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে:
ভগবান বিষ্ণু হলেন সর্ব শক্তির আধার, তাই তো দেবকে সঙ্গে রাখলে কালো যাদুর প্রভাব পরার আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে প্রতিপক্ষদের কু-দৃষ্টির প্রভাবে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও আর থাকে না। প্রসঙ্গত, আজকের প্রতিযোগিতাময় পরিবেশে যেখানে সবাই সামনের জনকে মেরে আগে যাওয়ার চেষ্টায় লেগে রয়েছে, সেখানে কেউ আপনার উন্নতিতে ইর্ষান্বিত হয়ে ক্ষতি করার চেষ্টা করছে না, সে বিষয়ে আপনি কি নিশ্চিত? তাই তো বলি বন্ধু, নিজেকে এবং পরিবারে বাকি সদস্যদের খারাপ শক্তির প্রভাব থেকে বাঁচাতে প্রতি বৃহস্পতিবার ভগবান বিষ্ণুর পুজো করতে ভুলবেন না যেন!
ভগবান বিষ্ণুর পুজো করার নিয়ম:
বৃহস্পতিবার সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে হলুদ রঙের জামা পরে প্রথমে ঠাকুর ঘর এবং লর্ড বিষ্ণুর ছবি বা মূর্তি ভাল করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর হলুদ ফুল দিয়ে দেবকে সাজিয়ে নিয়ে তার সামনে লাডডু, ডাল এবং গুড় রাখতে হবে। এরপর "বিষ্ণু সহস্রনাম" এবং নারায়ণ মন্ত্র জপ করতে করতে শুরু করতে হবে দেবের পুজো। প্রসঙ্গত, এই মন্ত্র দুটি কম করে ১০৮ বার পাঠ করতে ভুলবেন না যেন!
প্রসঙ্গত, প্রতি বৃহস্পতিবার ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করার পাশাপাশি আরও বেশ কতগুলি নিয়ম আছে, যা মেনে চললে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে চোখে পরার মতো। ফলে নিমেষে পকেট ভরে ওঠে অনেক অনেক টাকায়। এক্ষেত্রে যে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখা জরুরি, সেগুলি হল...
১. উপোস করা মাস্ট!
শাস্ত্র মতে প্রতি বৃহস্পতিবার কলা গাছ এবং বিষ্ণু দেবের পুজো করার পর যদি সারা দিন না খেয়ে থাকা যায় এবং সন্ধ্যা বেলায় নিরামিষ খাবার খেয়ে উপোস ভাঙা যায়, তাহলে পকেট ভর্তি টাকার মালিক হয়ে ওঠার স্বপ্ন দিনের আলো দেখতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, একান্তই যদি উপোস করতে না পারেন, তাহলে সারা দিন নিরামিষ খাবার খাওয়া চেষ্টা করবেন। তাহলেও কিন্তু দারুন সুফল পাবেন।
২. নুন খাওয়া নৈব নৈব চ!
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বৃহস্পতিবার নুন না খেলে ভগবান বিষ্ণু এবং লর্ড বৃহস্পতি খুব খুশি হন। ফলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না।
৩.বৃহস্পতিবার মানেই হলুদের টিকা:
ভগবান বিষ্ণুর পুজো করার পর অল্প পরিমাণে হলুদ নিয়ে তাতে পরিমাণ মতে জল মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর তা থেকে অল্প পরিমাণ নিয়ে কপালে ছোট্ট একটা তিলক কেটে নিন। এমনটা করলে শরীর যেমন ঠান্ডা থাকবে, তেমনি লর্ড বৃহস্পতিও প্রসন্ন হবেন। ফলে কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতা এবং পকেট ভর্তি টাকার মালিক হয়ে উঠতে দেখবেন সময় লাগবে না। প্রসঙ্গত, বাড়িতে যদি জাফরান থাকে, তাহলে তাও জলে গুলে তিলক হিসেবে লাগাতে পারেন। এমনটা করলেও কিন্তু সমান উপকার পাওয়া যায়।
৪. হলুদ লাডডু:
অনেকে এমনটা বিশ্বাস করেন যে বৃহস্পতিবার ভগবান শিবের পুজো করে দেবাদিদেবকে যদি হলুদ লাডডু নিবেদন করা যায়, তাহলে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। আর একবার এমনটা হলে জীবনের ছবিটা বদলে যেতে যে সময় লাগে না, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
৫. হাত খুলে দান করুন:
এমনও বিশ্বাস আছে যে প্রতি বৃহস্পতিবার হলুদ রঙের জামা-কাপড় দান করলে বৃহষ্পতির গতিপথ বদলাতে শুরু করে। সেই সঙ্গে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে সফলতা তো রোজের সঙ্গী হয়ই, সেই সঙ্গে বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্নও পূরণ হয়। শুধু তাই নয়, কোনও ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও কমে। ফলে জীবন আনন্দে ভরে উঠতে সময় লাগে না।
৬. গাঁদা ফুলের মালা:
দেবগুরু বৃহস্পতিকে যদি কুষ্টির ঠিক ঘরে নিয়ে আসতে হয়, তাহলে লর্ড বিষ্ণুকে প্রসন্ন করতে হবে। আর এমনটা করবেন কীভাবে? কিছুই না, প্রতি বৃহস্পতিবার গাঁদা ফুল বা যে কোনও হলুদ রঙের ফুল কিনে এনে দেবের সামনে রেখে এক মনে তাঁর নাম জপ করুন। এমনটা করলেই দেখবেন কেল্লা ফতে!