For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

দয়া করে সপ্তমীর দিন হনুমানজির অরাধনা করতে ভুলবেন না যেন! কিন্তু কেন জানেন?

শাস্ত্রে মতে সপ্তমীর দিনটি হল বেজায় শুভ দিন, উপরন্তু মঙ্গলবার। তাই তো এদিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে যদি এক মনে হনুমানজির পুজো করা যায়, তাহলে গৃহস্থে আগমণ ঘটে স্বয়ং মারুথির।

|

দুর্গা পুজোর সময় হনুমানজির পুজো, এ কেমন কথা...! জানি বন্ধু শুনতে হয়তো আজব লাগছে। কিন্তু এমনটা করা একান্ত প্রয়োজন। কারণ শাস্ত্রে মতে সপ্তমীর দিনটি হল বেজায় শুভ দিন, উপরন্তু মঙ্গলবার। তাই তো এদিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে যদি এক মনে হনুমানজির পুজো করা যায়, তাহলে গৃহস্থে আগমণ ঘটে স্বয়ং মারুথির। আর যে বাড়িতে হনুমানজি নিজ আসন পাতেন, সেখনার প্রতিটি কোণায় পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব কমতে সময় লাগে না। ফলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যেমন কম, তেমনি আরও নানাবিধ উপকার মেলে। যেমন ধরুন...

১. মনোযোগ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

১. মনোযোগ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই বিশেষ দিনে হনুমান চাল্লিশা পাঠ করতে করতে যদি মারুথির অরাধনা করা হয়, তাহলে মনের জোড় তো বাড়েই, সেই সঙ্গে মনোযোগ ক্ষমতার বিকাশ ঘটতেও সময় লাগে না। আর যখন একাগ্রতা এবং মনোবল একত্রিত হয়, তখন জীবন পথে সামনে আসা যে কোনও বাঁধা পেরতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি যে কোনও স্বপ্ন পূরণের সম্ভাবনাও প্রশস্ত হয়। তাই তো বলি বন্ধু, এই মানব জীবনকে যদি সব দিক থেকে সার্থক বানাতে হয়, তাহলে সপ্তমীর দিন হনুমানজির পুজোর আয়োজন করতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, এদিন দেবের পুজো আরাধনা করলে নাকি ছাত্রী-ছাত্রীদেরও পড়াশোনায় বেজায় উন্নতি ঘটে। ফলে ভাল রেজাল্ট হওয়ার সম্ভাবনা যে বাড়ে, তা কি বলার অপেক্ষা রাখে!

২. অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে:

২. অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে:

হনুমান জি তাঁর ভক্তদের বেজায় ভালবাসেন। তাই তো এই বিশেষ দিনে তাঁর পুজো করলে দেবের আশীর্বাদ লাভ করতে সময় লাগে না। আর যার মাথার উপর মারুথির হাত থাকে, তাকে সফলতার সিড়ি চড়তে এজীবনে কেউ আটকাতে পারে না। শুধু তাই নয়, শাস্ত্র মতে এই বিশেষ দিনে সর্বশক্তিমানের আরাধনা করলে আরও একটি উপকার পাওয়া যায়, আর তা হল দেবের আশীর্বাদে যে কোনও ধরনের অর্থনৈতিক কষ্ট কমে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে ওঠার স্বপ্ন যেমন পূরণ হয়, তেমন পরিবারে সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধির আগমণ ঘটে। শুধু তাই নয়, কু-দৃষ্টির প্রভাব কাটতেও সময় লাগে না।

৩. মনের অন্দরে জমতে থাকা যে কোনও ইচ্ছা পূরণ হয়:

৩. মনের অন্দরে জমতে থাকা যে কোনও ইচ্ছা পূরণ হয়:

স্বপ্ন তো আমরা সবাই দেখি। কিন্তু কজনেরই বা সেই স্বপ্ন পূরণ হয় বলুন! তবে আপনি যদি চান, তাহলে কিন্তু আপনার সব স্বপ্ন পূরণ হতে পারে। কিন্তু কীভাবে এমনটা সম্ভব, তাই ভাবছেন নিশ্চয়! আসলে বন্ধু আগামী মঙ্গলবার, মানে সপ্তমীর দিনটা বেজায় শুভ। শাস্ত্র মতে এদিন যদি হনুমানজির অরাধনা করা যায়, তাহলে এত মাত্রায় পজেটিভ শক্তির বিকাশ ঘটে যে তার প্রভাবে মনের সব ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না।

৪. বুদ্ধির বিকাশ ঘটে:

৪. বুদ্ধির বিকাশ ঘটে:

শাস্ত্র মতে এই বিশেষ দিনে হনুমান জির পুজো করলে ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে বুদ্ধির বিকাশ ঘটতেও সময় লাগে না। আর বুদ্ধির ধার বাড়তে শুরু করলে চাকরি হোক কী ব্যবসা, যে কোনও ক্ষেত্রেই সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা যে বাড়ে, তা কি বলার অপেক্ষা রাখে!

৫. খারাপ সময় কেটে যায়:

৫. খারাপ সময় কেটে যায়:

আগামী মঙ্গলবার হনুমান জির পুজোর আয়োজন করলে খারাপ সময় তো কেটে যাবেই, সেই সঙ্গে গুড লাকও রোজের সঙ্গী হয়ে উঠবে। আর লাক একবার আপনার সঙ্গ নিলে জীবনের প্রতিটি দিন যে অফুরন্ত আনন্দে ভরে উঠবে, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে! তাই তো বলি বন্ধু, বাকি জীবনটা যদি সুখ-শান্তিতে এবং নিরাপদে কাটাতে চান, তাহলে সপ্তমীর দিন মারুথির পুজো করতে ভুলবেন না যেন!

৬. মনের মতো চাকরি মিলবে:

৬. মনের মতো চাকরি মিলবে:

একেবারেই ঠিক শুনেছেন বন্ধু! এমনটা কিন্তু সত্যিই সম্ভব, যদি এই বিশেষ দিনে হনুমানজি পুজো করা যায় তো! তাই তো বলি বন্ধু, হাজারো চেষ্টার পরেও যদি মনের মতো চাকির না পেয়ে থাকেন, তাহলে মারুথির শরণাপন্ন হতে দেরি করবেন না যেন!

৭. পাপের হাত থেকে মুক্তি মেলে:

৭. পাপের হাত থেকে মুক্তি মেলে:

বিশ্বাস করুন বা না করুন একথা মানতেই হবে যে এ জীবনে করা প্রতিটি পাপের শাস্তি এই জীবনকালে পেয়ে, তবেই আমাদের পরকালের দিকে যাত্রা শুরু হয়। আর পাপের শাস্তি যে খুব একটা সহজ হয় না, তা তো বলাই বাহুল্য! তাই তো বলি বন্ধু, আপনাদের মধ্যে যারা বহু মানুষের চোখের জলের জন্য দায়ি, তারা যদি বাকি জীবনটা সুখে-শান্তিতে কাটাতে চান, তাহলে আগামী মঙ্গলবার হনুমানজির পুজো করতে ভুলবেন না যেন! কারণ এদিনে দেবের অরাধনা করলে পাপের হাত থেকে কিন্তু মুক্তি মিলবে!

৮. বৈবাহিক জীবন সুখে-শান্তিতে কাটবে:

৮. বৈবাহিক জীবন সুখে-শান্তিতে কাটবে:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এমন বিশেষ দিনে বায়ু পুত্রের অরাধনা করলে দেব এতটাই প্রসন্ন হন যে সর্বশক্তিমানের আশীর্বাদে পরিবারের অন্দরে কোনও ধরনের ঝামেলা বা কলহ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার সম্পর্কেরও উন্নতি ঘটতেও সময় লাগে না।

সপ্তমী পুজোর নিয়ম নীতি:

সপ্তমী পুজোর নিয়ম নীতি:

এদিন সকাল সকাল উঠে স্নান সেরে, পরিষ্কার জামা-কাপড় পরে প্রথমে ভাল করে ঠাকুরের আসন এবং ঠাকুর ঘরটা পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর হনুমানজির মূর্তি বা ছবি প্রতিষ্টা করে গঙ্গা জল দিয়ে তা ভাল করে মুছে নিতে হবে, সম্ভব হলে দেবের মূর্তি বা ছবিকে স্নানও করাতে পারেন। এবার দেবরে সামনে সিঁদুর, লাল কাপড় এবং ফুল নিবেদন করে শুরু করতে হবে হনুমান চল্লিশা পাঠ। প্রসঙ্গত, কম করে সাত বার হনুমান চল্লিশা জপ করার পর অরুতি করে শেষ করতে হবে পুজো। তবে তার আগে দেবকে প্রসাদ নিবেদন করতে ভুলবেন না যেন!

আরও কিছু নিয়ম:

আরও কিছু নিয়ম:

শাস্ত্র মতে উপরে আলোচিত নিয়মগুলি মানার পাশাপাশি যদি এই নিয়মগুলিও মেনে চলা যায়,তাহলে আরও বেশি মাত্রায় উপকার মেলে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে যে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখা জরুরি, সেগুলি হল...

১. এদিন স্নান করার সময় ভাল করে চুল ধুয়ে নিতে ভুলবেন না যেন! সম্ভব হলে শ্যাম্পুও করতে পারেন!

২. দেবের পুজো করার সময় ১০৮ টা বেল পাতা এবং পাঁচ ধরনের ফল নিবেদন করলে ভাল হয়।

৩. এদিন উপোস করে দেবের অরাধনা করার পর নিরামিষ খাবার খেয়ে উপোস ভাঙতে হবে। শুধু তাই নয়, পুরো দিন ভুলেও আমিষ খাবার ছোঁয়া চলবে না!

৪. হনুমানজির পুজো করার সময় দেবের পায়ের সামনে পাঁচটি কলা নিবেদন করতে হবে। আসলে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই ফলটি নিবেদন করে সর্বশক্তিমানের অরাধনা করলে নাকি মারুথি এতটাই প্রসন্ন হন যে নানাবিধ সুফল মিলতে সময় লাগে না।

৫. হনুমানজির পুজো করার সময় সম্ভব হলে দেবকে উত্তর-পূর্ব দিকে প্রতিষ্টা করবেন।

Read more about: ধর্ম
English summary

hanuman puja benefits during navratri durga puja

Lord Hanuman is known as one of the most powerful gods of all time and it is said that praying to this Lord during navaratri make you strong and powerful.
X
Desktop Bottom Promotion