Just In
- 12 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 13 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 16 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 18 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
হনুমান জয়ন্তী ২০২০ : জেনে নিন এই উৎসবের দিন-ক্ষণ, পূজা বিধি এবং তাৎপর্য সম্পর্কে
হিন্দুধর্মের দেবদেবীদের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভগবান হলেন ভগবান হনুমান। তাই, ভগবান হনুমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিবছর হনুমান জয়ন্তী পালন করা হয়। ভগবান হনুমান হলেন রামায়ণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র, যাকে ভগবান শিবের একাদশতম অবতার বলে মনে করা হয়। প্রতি বছর চৈত্র মাসে শুক্লপক্ষের ১৫তম দিন অর্থাৎ পূর্ণিমার দিন হনুমান জয়ন্তী পালন করা হয়। এই বছর এই উৎসবটি ৮ এপ্রিল গোটা ভারত জুড়ে পালিত হবে। নিম্নে এই উৎসবের ইতিহাস এবং তাৎপর্য সম্পর্কে দেওয়া হল।
শুভ মুহুর্ত
যেহেতু চৈত্র মাসের পূর্ণিমা-তে হনুমান জয়ন্তী উদযাপিত হয়, তাই এবছর ৭ এপ্রিল বেলা ১২টা বেজে ০১ মিনিট নাগাদ পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে এবং ৮ এপ্রিল সকাল ৮টা বেজে ০৪ মিনিট নাগাদ পূর্ণিমা তিথি শেষ হবে। এই শুভ মুহুর্তের সময় ভক্তরা তাঁর পূজা করতে পারেন।
আরও পড়ুন : হনুমান জয়ন্তী ২০২০ : হনুমান সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন!
আচার-অনুষ্ঠান
ক) এই দিনে ভগবান হনুমানের ভক্তরা খুব তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠেন। এরপর, ঘর পরিষ্কার এবং স্নান করেন ও পরিষ্কার পোশাক পরেন।
খ) এই দিন লাল কাপড় পরানো হয় হনুমানের বিগ্রহে এবং ফুল দিয়ে সাজানো হয়।
গ) এরপর, ফুল, গঙ্গা জল, ফল এবং পুজোয় ব্যবহৃত অন্যান্য পবিত্র জিনিস দিয়ে ভগবান হনুমানের উপাসনা করা হয়। নৈবেদ্যতে দেওয়া হয় লাড্ডু, হালুয়া ও কলা। কথিত আছে, এই তিনটিই হনুমানের প্রিয় খাদ্য।
ঘ) ভক্তরা পবিত্র হনুমান চালিশা এবং সঙ্কটমোচন স্তোত্র জপ করে।
ঙ) ভক্তরা গৃহপ্রাঙ্গণে লাল বা কমলা রঙের পতাকা স্থাপন করেন।
চ) এরপরে, নৈবেদ্যগুলি দরিদ্র মানুষ এবং পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
হনুমান জয়ন্তীর তাৎপর্য
ক) বানররাজ কেশরী ও অঞ্জনার পুত্র হলেন হনুমান। হিন্দু পুরাণ মতে, হনুমানের মাতা অঞ্জনার তপস্যায় মহাদেব সন্তুষ্ট হয়ে বর দেন যে, হনুমান রূপ ধরে তিনিই জন্মগ্রহণ করবেন তাঁর গর্ভে। তাই হনুমানকে শিবের অবতার বলা হয়, আবার কেউ কেউ তাঁকে পবন পুত্রও বলেন।
খ) যাঁরা ভগবান রামের ভক্ত, তাঁরাও হনুমানের উপাসনা করেন কারণ তিনি ছিলেন ভগবান রামের শিষ্য।
গ) হনুমানের ভক্তরা এই দিনটিতে কঠোর উপবাস ও ধ্যান করেন এবং তাঁর জন্য বিশেষ পূজার আয়োজন করেন।
ঘ) ভক্তরা একত্রিত হয়ে হনুমান চালিশা জপ করেন। বিশ্বাস করা হয় যে, চালিশা-তে ইতিবাচক শক্তি রয়েছে।
ঙ) যাঁরা ব্রহ্মচারী, কুস্তিগীর এবং ব্যায়ামবীর, বেশিরভাগ তাঁরাই হনুমান জয়ন্তী পালন করেন কারণ তাঁকে শক্তি, সংকল্প, ইচ্ছাশক্তি এবং ক্ষমতার ঈশ্বর হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
চ) ভগবান হনুমানের কাছ থেকে তাঁর আশীর্বাদ প্রার্থনা করার জন্য পবিত্র আরতিও দেওয়া হয়।