Just In
- 5 hrs ago রাতে খারাপ এবং ভয়ের স্বপ্ন আসে? সহজ জ্যোতিষী সমাধান স্বস্তি দেবে
- 7 hrs ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 7 hrs ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 1 day ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
Don't Miss
Guru Purnima 2022 : এ বছর গুরু পূর্ণিমা কবে পড়েছে? জেনে নিন তিথি, শুভক্ষণ ও তাৎপর্য
গুরুকে শ্রদ্ধা, ভক্তি ও সম্মান জানানোর বিশেষ দিনই হল গুরু পূর্ণিমা। এ দিন গুরুর পূজা করার প্রথা রয়েছে। হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মে এই দিনটির গুরুত্ব অসীম। গুরুদেবই আমাদের মনের অন্ধকার কাটিয়ে আলোর জ্ঞান প্রদান করেন।
আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিতেই প্রতি বছর গুরু পূর্ণিমা পালন করা হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক, গুরু পূর্ণিমার তিথি, সময়, গুরুত্ব ও পৌরাণিক কাহিনী সম্পর্কে।
গুরু পূর্ণিমা তিথি ও সময়
ইংরাজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ২০২২ সালে গুরু পূর্ণিমা পড়েছে ১৩ জুলাই, বুধবার।
পূর্ণিমা তিথি শুরু - ১৩ জুলাই, ভোর ৪টে
পূর্ণিমার তিথি শেষ - ১৪ জুলাই, মধ্যরাত ১২টা ০৬ মিনিটে
গুরু পূর্ণিমার তাৎপর্য
গুরু পূর্ণিমায় গুরু পূজার প্রথা বহু শতাব্দী প্রাচীন। এই দিনে, যাকে আপনি আপনার গুরু বলে মনে করেন, তাঁর পূজা করা হয়। প্রাচীনকাল থেকেই এই দেশে গুরুদের সম্মানজনক স্থান দেওয়া হয়েছে। গুরুর স্থান সবার উপরে। গুরুই আমাদের পরম জ্ঞান দান করেন। তাই, তাঁদের ঈশ্বরতুল্য বলে মনে করা হয়।
গুরু পূর্ণিমা হল একটি বৈদিক প্রথা, যার মধ্য দিয়ে শিষ্য তার গুরুকে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন। 'গুরু' শব্দটি 'গু' এবং 'রু' এই দুটি সংস্কৃত শব্দ দ্বারা গঠিত। 'গু' শব্দের অর্থ 'অন্ধকার' বা 'অজ্ঞতা' এবং 'রু' শব্দের অর্থ 'অন্ধকার দূরীভূত করা'। 'গুরু' শব্দটি দ্বারা এমন ব্যক্তিকে নির্দেশ করা হয় যিনি অন্ধকার দূরীভূত করেন, অর্থাৎ যিনি অন্ধকার থেকে আলোয় নিয়ে যান তিনিই গুরু। গুরু আমাদের মনের সব সংশয়, সন্দেহ, অন্ধকার দূর করেন এবং নতুন পথের দিশা দেখান। গুরুর দেখানো পথে চললে জীবনে সুখ, শান্তি, আনন্দ ও মোক্ষ প্রাপ্তি হয়। গুরুকে শ্রদ্ধা জানাতে বৈদিক যুগ থেকেই গুরু পূর্ণিমা পালিত হয়ে আসছে।
রাশি মেনে দান করুন গুরু পূর্ণিমায়, সব কাজে সাফল্য আসবেই!
পৌরাণিক কাহিনী
গুরু পূর্ণিমার পূণ্য তিথিতেই মুনি পরাশর এবং মাতা সত্যবতীর গৃহে জন্মগ্রহণ করেন মহাভারত রচয়িতা মহর্ষি বেদব্যাস। তাই এই দিনে মহর্ষি বেদব্যাসের জন্ম জয়ন্তীও পালন করা হয়। মনে করা হয়, তিনিই চারটি বেদের ব্যাখ্যা করেছেন। বেদ বিভাজনের শ্রেয় তাঁকেই দেওয়া হয়েছে। তাই তাঁর নাম বেদব্যাস। ১৮টি পুরাণ ছাড়াও তিনি রচনা করেন মহাভারত ও শ্রীমদ্ভগবত। এই কারণে গুরু পূর্ণিমাকে ব্যাস পূর্ণিমাও বলা হয়। হিন্দু ধর্মে, মহর্ষি বেদব্যাসকে সর্বশ্রেষ্ঠ গুরু মানা হয়।
আবার হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, মহাদেব হলেন আদি গুরু। দেবাদিদেব মহাদেব এই তিথিতে সপ্তর্ষির সাত ঋষিকে মহাজ্ঞান প্রদান করেন। আদিযোগী শিব এই তিথিতে আদিগুরুতে রূপান্তরিত হন।
এছাড়া, বৌদ্ধ ধর্মেও গুরু পূর্ণিমার গুরুত্ব অসীম। বলা হয়, ভগবান বুদ্ধ বোধিজ্ঞান লাভের পর গুরু পূর্ণিমাতেই প্রথম মহা উপদেশ দান করেছিলেন। মহাবীরও এই পূণ্য তিথিতে তাঁর প্রধান শিষ্যকে দীক্ষা দেন।
Disclaimer : এই আর্টিকেলটি সাধারণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা। বোল্ডস্কাই বাংলা এর সত্যতা যাচাই করেনি বা কাউকে মানতে বাধ্য করছে না৷ এই তথ্য ধর্মীয় আস্থা ও লৌকিক মান্যতার উপর আধারিত।