For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

নিয়মিত শ্রী নরসিমার মন্ত্র জপ করলে কত উপকার পাওয়া যায় জানা আছে?

ভগবান বিষ্ণুর অবতার হলেন শ্রী নরসিমা। অত্যাচারি রাজা হিরণ্যকশিপুরের হাতে থেকে তাঁর ছেলে প্রল্লাদকে বাঁচাতে এই ধরাধামে আর্বিভূত হয়েছিলেন ভগবান বিষ্ণু।

|

ভগবান বিষ্ণুর অবতার হলেন শ্রী নরসিমা। অত্যাচারি রাজা হিরণ্যকশিপুরের হাতে থেকে তাঁর ছেলে প্রল্লাদকে বাঁচাতে এই ধরাধামে আর্বিভূত হয়েছিলেন ভগবান বিষ্ণু। তিনি সে সময় রূপ নিয়েছেন নরসিমার, যার শরীর মানুষের মতো হলেও মুখ ছিল সিংহের ন্যায়। প্রসঙ্গত, হিন্দু ধর্মের উপর লেখা একাধিক প্রাচীন বই অনুসারে নিয়মিত শ্রী নরসিমার মন্ত্রচ্চারণ করলে যে কোনও পাপের হাত থেকে রক্ষা মেলে। সেই সঙ্গে আরও অনেক উপকার পাওয়া যায়।

পৃথিবীবাসিদের পাপের অন্ধকার থেকে রক্ষা করতে নানা সময় নানা অবতারে আবির্ভাব ঘটেছিল ভগবান বিষ্ণুর, কখনও রাম হিসেবে তিনি রাবণের বধ করেছিলেন, তো কখনও কৃষ্ণ রুপে পাপ-পূর্ণের ভারসাম্য রক্ষা করেছিলেন কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে। এসেছিলেন আরও অনেক রূপে, কখনও কচ্ছপের বেশে, তো কখনও মৎস রূপে। তবে যে অবতারেই তাঁর পুজো করা হোক না কেন, তিনি ভক্তের উপর সদা নেকদৃষ্টি রেখে যান। তাই তো শ্রী নরসিমার আরাধনা করলে একদিকে যেমন হারিয়ে যাওয়া সুখ-শান্তি ফিরে আসে, তেমনি মেলে আরও বেশ কিছু উপকার। যেমন...

১. কবজ হিসেবে কাজ করে:

১. কবজ হিসেবে কাজ করে:

শাস্ত্র মতে নিয়মিত শ্রী নরসিমার মন্ত্র পাঠ করলে খারাপ শক্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে গৃহস্থের অন্দরে এক মাত্রায় পজেটিভ শক্তির বিকাশ ঘঠে যে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে সাফল্য পেতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে এই শ্রী নরসিমার নামচ্চারণ করলে দেবের আশীর্বাদ সব সময় ভক্তের সঙ্গে থাকে। ফলে খারাপ কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।

২. ভয় দূর হয়:

২. ভয় দূর হয়:

টানা ৫ দিন এই মন্ত্র পাঠ করলে মনের অন্দরে জমতে থাকা ভয় দূরে পালায়। সেই সঙ্গে আত্মবিশ্বাস এতটা বেড়ে যায় যে, যে কোনও ধরনের বাঁধার পাহাড় পেরতে সময়ই লাগে না। শুধু তাই নয়, সারাক্ষণ মনের মধ্য়ে দাপাদাপি করতে থাকা খারাপ চিন্তা থেকেও মুক্তি মেলে। ফলে জীবনে কখনো শান্তির অভাব হয় না।

৩. স্ট্রেস কমবে:

৩. স্ট্রেস কমবে:

আজকের ডেটে যুব সমাজের একটা বড় অংশ ক্রণিক স্ট্রেসের শিকার। যে কারণে গত কয়েক দশকে আমাদের দেশে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল এবং হার্টের রোগের মতো মারণ রোগের প্রকোপ এত মাত্রায় বেড়েছে। এমন কোনও ভয়ঙ্কর রোগে যদি আক্রান্ত হতে না চান, তাহলে স্ট্রেসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে এই মন্ত্র। শাস্ত্র মতে নিয়মিত দেবের আরাধনা করলে মন শান্ত হয়। ফলে একদিকে যেমন স্ট্রেস লেভেল কমতে থাকে, তেমনি রাগের মাত্রাও কমে চোখে পরার মতো।

৪. আয়ু বাড়বে:

৪. আয়ু বাড়বে:

হিন্দু শাস্ত্র মতে নিয়মিত শ্রী নরসিমার আরাধনা করলে দেহের অন্দরে নানা পরিবর্তন হতে শুরু করে। যার প্রভাবে ছোট-বড় সব রোগই দূরে পালায়। ফলে আয়ু বাড়ে চোখে পরার মতো। তাই তো সুস্থ শরীরে, শান্ত মনে দীর্ঘদিন যদি বাঁচতে চান, তাহলে শ্রী নরসিমার নাম জপ করতে ভুলবেন না যেন!

৫. কালো যাদুর হাত থেকে রাক্ষা করে:

৫. কালো যাদুর হাত থেকে রাক্ষা করে:

নিয়মিত যদি সর্বশক্তিমানের নাম জপ করতে পারেন, তাহলে কালো যাদুর প্রভাবে খারাপ কিছু ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, একথা তো মানবে যে আজকের ডেটে অনেকেই ইর্ষান্বিত হয়ে আপনার ক্ষতি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, কেউ কেউ তো ব্ল্যাক ম্যাজিকের সাহায্যও নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের যে কোনও ধরনের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে এই মন্ত্রপাঠ যে জরুরি, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে!

৬. অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটবে চোখে পরার মতো:

৬. অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটবে চোখে পরার মতো:

এক মনে প্রতিদিন দেবের নাম নিলে অর্থনৈতিক সমস্যা কমতে সময় লাগে না। ফলে পকেট ভর্তি টাকার মালিক হওযার স্বপ্ন পূরণ হয় চোখের পলকে। তবে এখানেই শেষ নয়, শাস্ত্র মতে শ্রী নরসিমার নাম করলে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়। ফলে কর্মজীবনে সাফল্য মেলে। প্রসঙ্গত, মনের মতো চাকরি পাওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতেও এই মন্ত্রটি বিশেষ ভাবে সাহায্য করে থাকে।

৭. পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে:

৭. পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে টানা ৩০ দিন শ্রী নরসিমার মন্ত্র জপ করলে গৃহস্থের অন্দরে থাকা নেগেটিভ এনার্জির প্রকোপ কমতে শুরু করে। ফলে কোনও দিনই সুখের ঝাঁপি খালি হয় না।

৮. শ্রী নরসিমার মন্ত্রটি হল:

৮. শ্রী নরসিমার মন্ত্রটি হল:

এক্ষেত্রে দুটি মন্ত্র জপ করতে পারে। এক- নরসিমা গায়েত্রী মন্ত্র এবং দুই- শ্রী নরসিমা মহা মন্ত্র। প্রসঙ্গত, নরসিমা গায়েত্রী মন্ত্রটি হল- "ওম নরশিমায়াহা ভিদমাহেবাজরা নখায়া ধিমাহি।" আর শ্রী নরসিমা মহা মন্ত্রটি হল- "ওগ্রাম ভিরাম মহা বিষ্ণু জাভালান্তাম সার্বাতো মুখম।"

Read more about: ধর্ম
English summary

ভগবান বিষ্ণুর অবতার হলেন শ্রী নরসিমা। অত্যাচারি রাজা হিরণ্যকশিপুরের হাতে থেকে তাঁর ছেলে প্রল্লাদকে বাঁচাতে এই ধরাধামে আর্বিভূত হয়েছিলেন ভগবান বিষ্ণু। তিনি সে সময় রূপ নিয়েছেন নরসিমার, যার শরীর মানুষের মতো হলেও মুখ ছিল সিংহের ন্যায়।

Many are the devotees worship Lord Narasimha with great reverence at homes and in temples, while some observe fast till dusk, on the day of his advent. It is firmly believed that offering prayers to this Lord can bestow one with a variety of benefits like mitigating sins, curing diseases, warding off negative influences of planets and also evil forces, fulfillment of honest desires in respect of longevity, wealth, success etc. and leading towards liberation.
Story first published: Monday, March 26, 2018, 11:14 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion