Just In
Ganesh Chaturthi: গণেশ পুজোয় ভুল করেও ব্যবহার করবেন না এই জিনিসগুলি, ক্রুদ্ধ হতে পারেন তিনি
হিন্দু ধর্মে ভগবান গণেশকে প্রথম দেবতা হিসেবে পূজা করা হয়। কোনও কাজ শুরু করার আগে ভগবান গণেশের পূজা ও তাঁর আশীর্বাদ নেওয়া হয়ে থাকে। হিন্দু শাস্ত্র মতে, প্রতি মাসে দুটি চতুর্থী পড়ে। বছরের সমস্ত চতুর্থী তিথিই গণপতিকে উৎসর্গ করা হয়।
তবে ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এই দিনটি গণেশ চতুর্থী বা বিনায়ক চতুর্থী নামে পরিচিত। এই দিন গণেশের জন্মোৎসব উদযাপন করা হয়।
প্রতি বছর মহা আড়ম্বড়ে দেশজুড়ে গণেশ উৎসব পালিত হয়। দশ দিন ধরে চলা এই উৎসবের বিশেষ কিছু নিয়মও আছে, যেগুলি অবশ্যই মেনে চলা উচিত। এমন কিছু জিনিস আছে, যেগুলি গণেশ চতুর্থীর সময় ভগবান গণেশের পুজোয় ব্যবহার করা একেবারেই নিষিদ্ধ। আসুন জেনে নেওয়া যাক এ সম্পর্কে।
কেতকি এবং সাদা ফুল
গণেশের আরাধনায় কখনও শুকনো ফুল ব্যবহার করবেন না। এটি অশুভ বলে বিবেচিত হয় এবং পরিবারের সু্খ-সমৃদ্ধিতে বাধা পড়ে। এছাড়াও, গণেশ পূজায় সাদা রঙের ফুল এবং কেতকি ফুল দেওয়াও নিষেধ। সাদা ফুল চন্দ্র দেবতার সাথে সম্পর্কিত। একবার চন্দ্র ভগবান গণেশকে নিয়ে বিদ্রূপ করেছিলেন, এই কারণে সাদা ফুল বা সাদা জিনিস গণপতি পূজায় নিষিদ্ধ।
তুলসী
গণেশ পূজায় তুলসী ব্যবহারও নিষিদ্ধ। গণপতিকে কখনোই তুলসী প্রদান করা হয় না।
শুকনো এবং ভাঙা অক্ষত
অক্ষত মানে হল, গণেশের পূজায় চালের ব্যবহার করা হয়। কিন্তু কখনোই ভাঙা এবং শুকনো অক্ষত প্রদান করবেন না। গণেশ পুজোয় সর্বদা গোটা চাল একটু ভিজিয়ে দেওয়া উচিত। এই নিয়মের সাথে যুক্ত বিশ্বাস অনুযায়ী, গণেশের একটি দাঁত ভাঙা এবং চাল ভিজিয়ে তাঁকে অর্পণ করলে তিনি তা সহজেই গ্রহণ করেন।
সাদা সুতো এবং সাদা কাপড়
কখনোই ভগবান গণপতিকে সাদা সুতো অর্পণ করবেন না। সাদা সুতো দেওয়ার আগে হলুদ লাগিয়ে হলুদ করে নিন। ভগবান গণেশকে সাদা পোশাক পরানো বা সাদা বস্ত্র দেওয়া থেকেও বিরত থাকুন।
সাদা চন্দন
গণপতি বাপ্পার পূজায় ভুলেও সাদা চন্দন ব্যবহার করবেন না, পরিবর্তে হলুদ চন্দন রাখুন।