Just In
Ganesh Chaturthi: কেন করা হয় গণেশ পুজো? জেনে নিন এই উৎসবের তাৎপর্য
মহেশ্বর ও দেবী পার্বতীর দ্বিতীয় পুত্র ছিলেন গণেশ। হিন্দুদের অন্যান্য পুজোগুলির মধ্যে আরেকটি অত্যন্ত জনপ্রিয় হল গণেশ পুজো। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, এইদিন গণেশ তাঁর ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করতে মর্ত্যে অবতীর্ণ হন। এই বছর ১৯ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার গণেশ চতুর্থী।
মহারাষ্ট্র, গোয়া-সহ ভারতের দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে খুবই জনপ্রিয় এই গণেশ পুজো। অত্যন্ত ধুমধামের সহিত এই পুজো করা হয়। শিব ও পার্বতী পুত্র গজানন গণেশ বুদ্ধি, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যের সর্বোচ্চ দেবতা। ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে নানা বিপত্তি থেকে মুক্তি পেতে ভক্তরা এই পুজো করেন। শ্রী গণেশের বাহন হল মূষিক।
গণেশ পুজো বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পরিচিত। সংস্কৃত, কন্নড়, তামিল ও তেলেগু ভাষায় এই উৎসব বিনায়ক চতুর্থী বা বিনায়ক চবিথি নামে পরিচিত। কোঙ্কণি ভাষায় এই উৎসবের নাম চবথ। অন্যদিকে, নেপালি ভাষায় এই উৎসবকে বলে চথা।
হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী ভাদ্রমাসের শুক্লা চতুর্থী তিথিতে গণেশ পুজোর আয়োজন করা হয়। দশদিনব্যাপী এই উৎসবের সমাপ্তি হয় অনন্ত চতুর্দশীর দিন। কথিত আছে, সমস্ত শুভ কাজের শুরু শ্রী গণেশের নাম নিয়ে করলে তা সফল হয়। গণেশ পুজো বাদ দিয়ে কোনও পুজোই সম্পূর্ণ হয় না। দেবতাদের মধ্যে তাঁকেই প্রথম পূজ্য বলে গণ্য করা হয়।
গণেশের প্রায় ১০৮টি নাম আছে। এর মধ্যে গণপতি, গজানন, বিনায়ক এবং বিঘ্নরাজ এগুলি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও, গণেশ হলেন সমৃদ্ধির প্রতীক। তাই তাঁর আর এক নাম হল সিদ্ধিদাতা গণেশ।
পৌরাণিক কাহিনী:
পুরাণ অনুসারে, দেবী পার্বতী গণেশের সৃষ্টি করেছিলেন এবং তাঁকে পার্বতীর দরজা পাহারা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। শিব ফিরে এসে পার্বতীর ঘরে ঢুকতে গেলে গণেশ তাঁকে বাধা দেন। একটি ছোট ছেলের এই আস্পর্ধা দেখে শিব রেগে যান। শিবের সঙ্গে গণেশের যুদ্ধও শুরু হয়। তখন রাগের মাথায় শিব গণেশের মাথা কেটে ফেলেন। গণেশকে মুণ্ডহীন দেহ দেখে পার্বতী কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁর সন্তানকে ফিরিয়ে দিতে বলেন শিবকে। শিব তখন অন্য দেবতাদের নির্দেশ দেন উত্তর দিকে গিয়ে যার মাথা আগে দেখতে পাবে সেই মাথাই কেটে নিয়ে আসতে। দেবতারা প্রথমেই একটি হাতি পেয়ে তারই মাথা নিয়ে আসে। সেই মাথাটিই গণেশের দেহে বসিয়ে দেন শিব।
এই পুজোর বিশেষ খাদ্য:
গণেশ যে খেতে ভালোবাসেন তা সকলেরই জানা। বিশেষ করে লাড্ডু আর মোদক তাঁর অত্যন্ত প্রিয়। মোদক হল চালের গুঁড়ো দিয়ে নারকেলের পুর দিয়ে তৈরি বিশেষ মিষ্টি। গণেশ পুজোর ঠিক আগে মিষ্টির দোকানে এই মোদকের নানান বৈচিত্র্য দেখতে পাওয়া যায়।