Just In
সেপ্টেম্বরে উদযাপিত হবে গণেশ উৎসব ও বিশ্বকর্মা পূজা, শুরু হবে পিতৃপক্ষ, দেখুন এই মাসের উৎসবের সম্পূর্ণ তালিকা
ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর হল বছরের নবম মাস। এই মাসে অনেক বড় বড় উৎসব উদযাপিত হতে চলেছে। গণেশ চতুর্থী, বিশ্বকর্মা পূজার মতো উৎসব পালিত হবে সেপ্টেম্বর মাসে। তবে এছাড়াও এই মাসে আরও অনেক বিশেষ উৎসব পালিত হবে।
তাহলে জেনে নিন, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে কোন কোন ব্রত ও উৎসব উদযাপিত হবে এবং তাদের সঠিক তারিখ সম্পর্কে।
৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ : অজা একাদশী
ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথি অজা একাদশী নামে পরিচিত। এই বছর অজা একাদশী ৩ সেপ্টেম্বর পালিত হবে। এই দিনে সঠিক বিধি মেনে ভগবান বিষ্ণুর পূজা করা হয়।
৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ : শনি প্রদোষ ব্রত
প্রদোষ ব্রতের দিন ভগবান শিবের পূজা করা হয়। প্রদোষ ব্রত পালন করলে সেই ব্যক্তির কোষ্ঠীতে চন্দ্রের অবস্থান শক্তিশালী হয়, এমনটাই বিশ্বাস। এবার ৪ সেপ্টেম্বর শনি প্রদোষ ব্রত পালন করা হবে।
৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ : মাসিক শিবরাত্রি, শিক্ষক দিবস
ভগবান শিবের আশীর্বাদ পেতে মাসিক শিবরাত্রির তারিখ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে মহাদেবের পূজা করা হয় সম্পূর্ণ বিধি মেনে। এছাড়া, প্রতিবছর ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস পালিত হয়।
১০ সেপ্টেম্বর ২০২১ : গণেশ চতুর্থী
ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তারিখ থেকে গণেশ উৎসব শুরু হবে। ১০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই উৎসব দশ দিন ধরে চলে এবং ১৯ সেপ্টেম্বর অনন্ত চতুর্দশীর দিন গণেশ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই উৎসব।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ : রাধাষ্টমী
কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর ১৫ দিন পর রাধাষ্টমী উৎসব পালিত হয়। এই দিনটি শ্রীকৃষ্ণের প্রিয় রাধারানীর জন্মোৎসব হিসেবে পালিত হয়। এবছর এই উৎসব ১৪ সেপ্টেম্বর পালিত হবে।
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ : পরিবর্তনী একাদশী, বিশ্বকর্মা পূজা
১৭ সেপ্টেম্বর পরিবর্তনী একাদশী ব্রত পালন করা হবে। সারাদিন নারায়ণের নাম স্মরণ করা হবে। এছাড়া, ভাদ্র মাসের একাদশী তিথিতে ভগবান বিশ্বকর্মারও পূজা করা হয়। এই দিনে মহাধূমধাম করে তাঁর পূজা করা হয়।
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ : অনন্ত চতুর্দশী (গণেশ বিসর্জন)
দশ দিনব্যাপী গণেশ উৎসব শেষ হবে এই দিনে। অনন্ত চতুর্দশীর দিন গণপতি বাপ্পাকে বিদায় দেওয়া হয়।
২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ : পিতৃপক্ষ শুরু
এই বছর পিতৃপক্ষ ২০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে এবং ৬ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। এই সময়, পূর্বপুরুষদের স্মরণ করা হয়। তাঁদের নামে তর্পণ করে, তাঁদের মুক্তির কামনা করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, পূর্বপুরুষরা সন্তুষ্ট থাকলে পরিবারের উপর তাঁদের আশীর্বাদ থাকে।