Just In
- 7 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 9 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 12 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 14 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
প্রতি মঙ্গলবার উপোস করে হনুমানজির পুজো করা উচিত কেন জানা আছে?
শাস্ত্রে বলে প্রতি মঙ্গলবার উপোস করে হনুমান জির পুজো করলে সর্বশক্তিমান তো প্রসন্ন হনই। সেই সঙ্গে মঙ্গল গ্রহের দোষও কাটতে শুরু করে।
শাস্ত্রে বলে সপ্তাহের এই বিশেষ দিনে উপোস করে হনুমান জির পুজো করলে সর্বশক্তিমান তো প্রসন্ন হনই। সেই সঙ্গে মঙ্গল গ্রহের দোষও কাটতে শুরু করে। ফলে জীবন পথে চলতে চলতে যে কোনও ধরনের বাঁধার সম্মুখিন হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে আরও সব উপকার পাওয়া যায়, যে সম্পর্কে এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তবে একটা কথা নিশ্চিত করে বলা যেতেই পারে যে এই প্রবন্ধে আলোচিত নিয়মগুলি মেনে যদি একাগ্রতার সঙ্গে মঙ্গলবার উপোস করতে পারেন, তাহলে কিন্তু জীবনের ছবিটাই বদলে যাবে। কেন এমন কথা বলছি তাই ভাবছেন নিশ্চয়?
এই প্রশ্নের উত্তর পাবেন। তবে তার আগে কী কী নিয়ম মেনে মঙ্গলবার উপোস এবং পুজো করতে হবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যে জরুরি। শাস্ত্র মতে এদিন সকাল সকাল উঠে স্নান সেরে লাল রঙের কাপড় পরে পুজোয় বসতে হবে। তবে তার আগে কতগুলি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমন ধরুন, স্নানের আগে ঠাকুর ঘর ভাল করে পরিষ্কার করে চারিদিকে গঙ্গা জল ছিটিয়ে হনুমান জিকে লাল কাপড় পরিয়ে তার সামনে ফুল রাখতে হবে। এরপর দেবের সামনে চাল, ২১ ধরনের মিষ্টি এবং সিঁদুর রেখে পরিষ্কার জামা কাপড় পরে শুরু করতে হবে পুজো। এ সময় এক মনে হানুমান চল্লিশা পাঠ করতে করতে দেবের নাম নিতে নিতে। এমনটা প্রতি সপ্তাহে করতে থাকলে দেখবেন ধীরে ধীরে সব ধরনের সমস্যা কমে যাবে। সেই সঙ্গে মনের জোর বাড়বে, পরিবারে সুখ-শান্তির পরিবেশ বজায় থাকবে এবং মিলবে আরও অনেক উপকার।
এখন প্রশ্ন হল হঠাৎ করে মঙ্গলবার উপোস করার প্রথা শুরু হল কেন? হিন্দু শাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক প্রাচীন বই অনুসারে মঙ্গলবারের উপোস শুরু হওয়ার পিছনে একটি গল্প আছে। কী সেই গল্প...
কয়েক হাজার বছর আগে উত্তর ভারতের গভীর জঙ্গলে নন্দা নামে এক সন্ন্যাসী এবং তাঁর স্ত্রী সুনন্দা বাস করতেন। সুনন্দাই যিনি প্রথম মঙ্গলবার উপোস করা শুরু করেন। প্রতি মঙ্গলবার এক মনে তিনি সারা দিন না খেয়ে হনুমানজির আরাধনা করতেন। কিছু পাওয়ার আশায় যে এমনটা তিনি করতেন, তা যদিও নয়। কতটা মন থেকেই তিনি প্রথা শুরু করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎই একদিন তিনি অতিরিক্ত কাজের চাপে মঙ্গলবার উপোস করতে ভুলে যান। যখন এই বিষয়ে তাঁর মনে পরে, তখন প্রায় দিন শেষে হতে চলেছে। উপোস করতে না পারার দুঃখে সুনন্দা সিদ্ধান্ত নেন পরের সপ্তাহের মঙ্গলবার আসার আগে পর্যন্ত তিনি খাবারের একটা দানাও মুখে ছোঁয়াবেন না। সেই মতো শুরু হয় দীর্ঘ সাত দিনের উপোস। সুনন্দাকে এমনটা করতে দেখে হনুমানজি এতটাই প্রসন্ন হন যে দেবীর এক মেয়ে সন্তান হবে এবং সেই মেয়ের শরীর থেকে প্রতিদিন সোনার অলঙ্কার বেরতে থাকবে, এমন আশীর্বাদ করেন।
কিছু মাস পরে সুনন্দা এক মেয়ে সন্তানের জন্মে দেন, যার শরীর থেকে বাস্তবিকই প্রতিদিন সোনার অলঙ্কার বেরতে শুরু করে। সব ঠিকই চলছিল। কিন্তু প্রতিদিন মুঠো মুঠে সোনার অলঙ্কার পেতে পেতে সুনন্দা এতটাই লোভী হয়ে ওঠেন যে মেয়ের কোনও দিন বিয়ে দেবেন না এমন সিদ্ধান্ত নেন। এদিকে ভাগ্য চক্রে সোমেশ্বর নামে এক ভাল পাত্রের সন্ধান মেলে। তাই সন্ন্যাসী আর অপেক্ষা না করে বেশ ঘটা করেই তাঁর মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেন সোমেশ্বরের সঙ্গে। এদিকে সোনার লোভ কিছুতেই ছাড়তে পারেন না সুনন্দা। এক সময় এমন পরিস্থিতি হয় যে লোভের খপ্পরে পরে সুনন্দা তাঁর জামাইকেই মেরে ফেলেন। এদিকে স্বামীকে হারিয়ে স্বর্ণলতার এমন হাল হয় যে খাওয়া-দেওয়া ছেড়ে স্বামীর জীবন ফেরাতে পুজোর ঘরে নিজেকে বন্দি করে ফেলেন। কয়েক মাস এমন চলতে থাকে। এক সময় মঙ্গলদেব স্বর্ণলতার এমন অবস্থা দেখে তাঁর সামনে এসে অনুরোধ করে যে তিনি যদি জলপান করেন, তাহলে মঙ্গলদেব তাঁকে দুটি বর দেবেন। স্বামীর জীবন ফিরে পাওয়ার আশায় স্বর্ণলতা জল পান করেন এবং মঙ্গলদেবকে তার স্বামীর জীবন ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। আর দ্বিতীয় বর হিসেবে অনুরোধ করেন, যেই কেউ মঙ্গলবার উপোস করবেন, তার জীবন অনন্দে ভরে উঠবে এবং মিলবে আরও অনেক উপকার। যেমন ধরুন...
১.প্রচুর অর্থের সন্ধান মিলবে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি মঙ্গলবার এক মনে হনুমানজির পুজো করার পাশাপাশি যদি উপোস করা যায়, তাহলে অল্প সময়ে অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে জীবন কখনও অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখিন হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পাবে।
২. রোগ-ব্যাধি দূরে পালাবে:
নানাবিধ রোগের আক্রমণে জীবন কি দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে? তাহলে বন্ধু প্রতি মঙ্গলবার উপোস করা শুরু করুন। দেখবেন সব রোগ দূরে পালাবে। সেই সঙ্গে মঙ্গল দেবের আশীর্বাদে শরীর এতটাই চাঙ্গা হয়ে উঠবে যে আয়ু বাড়বে চোখে পরার মতো।
৩. খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা কমবে:
শাস্ত্র বলে প্রতি মঙ্গলবার হনুমানজির পুজো করলে গৃহস্তের প্রতিটি কোণায় পজেটিভ শক্তির বিকাশ ঘটতে শুরু করে। যার প্রভাবে একদিকে যেমন কোনও ধরনের খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা কমে, তেমনি পরিবারে সব সময় সুখ-সমৃদ্ধির পরিবেশ বজায় থাকে।
৪. কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতার স্বাদ মিলবে:
শুনতে আজব লাগলেও এই ধরণার মধ্যে সত্যিই কোনও ভুল নেই যে প্রতি মঙ্গলবার উপোস করে হনুমান জির পুজো করা শুরু করলে কর্মক্ষেত্রে যে কোনও ধরনের বাঁধা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে চটজলদি পদন্নতির পাওয়ার পথও প্রশস্ত হয়। ফলে কর্মজীবনে দ্রুত সফলতার সিঁড়ি চড়ার স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না।
এবার নিশ্চয় বুঝে গেছেন বন্ধু কেন প্রবন্ধের শুরুতে বলেছিলাম যে মঙ্গলবার উপোস করা শুরু করলে জীবনের ছবিটাই বদলে যাবে...