Just In
ইস্টার ২০২০ : জেনে নিন এর ইতিহাস ও তাৎপর্য
এইবছর অর্থাৎ ২০২০ সালে ১২ এপ্রিল, রবিবার 'ইস্টার' উদযাপিত হবে। এটি খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে এটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। বিশ্বাস করা হয় যে, গুড ফ্রাইডে অর্থাৎ প্রভু যীশুর ক্রুশবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণের পর ঠিক তিনদিনের মাথায় যীশুখ্রীষ্টের পুনরুত্থান হয়েছিল অর্থাৎ তিনি পুনরায় বেঁচে উঠেছিলেন। তাই, তাঁর বেঁচে ওঠা তথা পুনরুত্থানের অলৌকিক ঘটনাটিকে স্মরণ করার জন্যই পালিত হয় এই উৎসব। পুনরুত্থান পার্বণটি একটি রবিবারে পালন করা হয় বলে এর আরেক নাম পুণ্য রবিবার বা 'ইস্টার সানডে'। তাহলে চলুন এই উৎব সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ইতিহাস
বাইবেলের নববিধান বা নিউ টেস্টামেন্ট অনুসারে, রোমান কর্তৃপক্ষ প্রভু যীশুকে গ্রেপ্তার করেন এবং তাঁকে ক্রুশবিদ্ধকরণের জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর পিছনে কারণ হল যীশুখ্রীষ্ট নিজেকে 'ঈশ্বরের পুত্র' বলে উল্লেখ করেছিলেন। তাই, তাঁকে ঈশ্বরনিন্দার অভিযোগে অভিযুক্ত অপরাধী এবং মৃত্যুর যোগ্য বলে বিবেচনা করা হয়েছিল।
প্রভু যীশুর অন্যতম শিষ্য জুডাস রৌপ্য মুদ্রার জন্য যীশুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। সে প্রভুকে গ্রেপ্তারের জন্য রোমান কর্তৃপক্ষকে যীশুখ্রীষ্টের বিষয়ে সমস্ত তথ্য দিয়েছিল এবং সাহায্য করেছিল। ফলস্বরূপ, প্রভু যীশুখ্রীষ্টকে গ্রেপ্তার করে ক্রুশে দেওয়া হয়।
কিন্তু মশীহ-এর ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে, 'খ্রীষ্ট দুঃখভোগ করিবেন, এবং তৃতীয় দিনে মৃতগণের মধ্য হইতে উঠিবেন।' প্রভু যীশু খ্রীষ্টও তাই করেছিলেন।
কেন এটি একই তারিখে পড়ে না
আপনি হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন যে হ্যালোইন, ক্রিসমাস এবং অন্যান্য অনেক উৎসব একটি নির্দিষ্ট তারিখে পড়ে, কিন্তু ইস্টারের ক্ষেত্রে এটি হয় না। হয়তো আপনি ভাবছেন যে কেন এরকম হয়? এর পিছনে কারণটি হল চতুর্থ শতাব্দীর শাসনকালে, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে বসন্তের প্রথম পূর্ণিমার দিনের পরের প্রথম রবিবার ইস্টার উদযাপিত হবে। তাই, প্রতিবছর ২২ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে ইস্টার পালন করা হয়। এই তারিখগুলির মধ্যে, যখনই পূর্ণিমা দেখা দেয়, তার সামনের রবিবারটি ইস্টার দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
তাৎপর্য
ক) খ্রীষ্টধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ইস্টার খুবই আনন্দ এবং সম্প্রীতির সাথে উদযাপিত হয়। এর পূর্বের রবিবার পাম সানডে হিসেবে পালিত হয়, যা জেরুজালেমে প্রভু যীশুখ্রীষ্টের আগমনকে চিহ্নিত করে।
খ) শনিবার রাতেই বিভিন্ন গীর্জায় উদযাপন শুরু হয়, যা ইস্টার ভিজিল নামে পরিচিত।
গ) সবাই ইস্টার এগ বিনিময় করে। এগুলি প্রকৃতপক্ষে ডিমের আকারে চকলেট, কিংবা জেলি-বিন বা অন্য কোনও মিষ্টি ভিতরে রাখা প্লাস্টিকের রঙিন ডিম। ডিম পুনর্জন্মের প্রতীক। ইস্টারের জন্য ডিমের রং যে লাল করা হয়, তা খ্রীষ্টের রক্তের রূপক হিসেবে।
ঘ) ইস্টারকে স্মরণীয় উপায়ে উদযাপন করতে মানুষ অত্যন্ত আনন্দের সহিত ইস্টার উদযাপন করেন এবং বিভিন্ন খেলাও থাকে। এগ ডেকরেশন, এগ রোলিং এবং অন্যান্য অনেক ধরনের খেলা থাকে।
ঙ) এইদিনে একে অপরকে অনেক উপহারও দেয়।