For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

রাশি অনুযায়ী দূর্গা ঠাকুরের কোন অবতারের পুজো করলে বেশি উপকার পাওয়া যায় জানা আছে?

জ্যোতিষশাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক বই অনুসারে রাশি অনুযায়ী মা দুর্গার এক একটি রূপের আরাধনা করতে হয়। আর এমনটা যদি করতে পারা যায়, তাহলে জীবনে ছবিটা বদলে যেতে যে সময় সাগে না, তা বলাই বাহুল্য!

|

শুক্রবার হল মা দূর্গার দিন। এদিন মায়ের আরাধনা করলে মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে যে কানও ধরনের বিপদ থেকে বেঁচে থাকাও সম্ভব হয়। শুধু তাই নয়, শাস্ত্র মতে মা একবার প্রসন্ন হলে জীবন পথে সামনে আসা যে কোনও বাঁধার পাহাড় সরে যেতেও সময় লাগে না। তাই তো সুখে-শান্তিতে থাকতে এবং এই মানব জীবনকে সার্থক করে তুলতে প্রতি শুক্রবার মায়ের অরাধনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে একটি বিষয় জেনে রাখা একান্ত প্রয়োজন। তা হল...

জ্যোতিষশাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক বই অনুসারে রাশি অনুযায়ী মা দুর্গার এক একটি রূপের আরাধনা করতে হয়। আর এমনটা যদি করতে পারা যায়, তাহলে জীবনে ছবিটা বদলে যেতে যে সময় সাগে না, তা বলাই বাহুল্য!

এখন প্রশ্ন হল কোন রাশি জাতক-জাতিকাদের মা দুর্গার কোন রূপের আরাধনা করা উচিত?

১. মেষরাশি:

১. মেষরাশি:

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে এই রাশির জাতক-জাতিকাদের "স্কন্দ মাতা"র পুজো করা উচিত। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি শুক্রবার মায়ের এই অবতারের পুজো করলে যে কোনও ধরনের বাঁধার পাহাড় সরে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে আরও নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়। তাই তো বলি বন্ধু বাকি জীবনটা যদি আনন্দে কাটাতে চান, তাহলে মায়ের এই বিশেষ অবতারের আরাধনা করতে ভুলবেন না যেন!

২. বৃষরাশি:

২. বৃষরাশি:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বৃষরাশির অধিকারীরা যদি নিয়মিত "মহাগৌরী" এর পুজো করেন, তাহলে জীবনের ছবিটা বদলে যেতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, মনের মতো জীবনসঙ্গী পাওয়ার ইচ্ছাও পূরণ হয়। প্রসঙ্গত, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে মায়ের আরাধনা করার পাশাপাশি যদি "ললিতা শাস্ত্র" পাঠ করা যায়, তাহলে আরও বেশি মাত্রায় উপকার পাওয়া যায়।

৩. মিথুনরাশি:

৩. মিথুনরাশি:

বিশেষজ্ঞদের মতে এই রাশির জাকত-জাতিকাদের মায়ের যে অবতারের আরাধনা করা উচিত, তা হল "ব্রহ্মচারিণী"। এমনটা মানা হয়ে থাকে যে প্রতি শুক্রবার দেবীর আরাধনা করার সঙ্গে সঙ্গে মনে মনে মায়ের নাম কম করে ১০৮ বার উচ্ছারণ করতে হবে। এমনটা যদি প্রতি শুক্রবার করতে পারা যায়, তাহলে মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না।

৪. কর্কটরাশি:

৪. কর্কটরাশি:

ছোট ছোট বিষয়ে কি ভয় পেয়ে যান? সেই সঙ্গে সারাক্ষণ কোনও না কোনও চিন্তায় মন-মেজাজ বেজায় খিটখিটে হয়ে থাকে? তাহলে বন্ধু, প্রতি শুক্রবার মা দূর্গার শৈলপুত্রি অবতারের পুজো শুরু করুন। দেখবেন মনের জোর এতটা বেড়ে যাবে যে কোনও ধরনের ভয়েই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না। সেই সঙ্গে সুখে-শান্তিতে ভরে উঠবে জীবন।

৫. সিংহরাশি:

৫. সিংহরাশি:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতিদিন মা দূর্গার মন্ত্র জপ করার মধ্যে দিয়ে যদি "কুশমন্দ" রূপের আরাধনা করা যায়, তাহলে খারাপ শক্তি ঘেঁষতে পারে না। ফলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে কালো যাদুর প্রভাবে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও যায় কমে।

৬. কন্যারাশি:

৬. কন্যারাশি:

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে এই রাশির জাতক-জাতিকাদের লক্ষ্মী মন্ত্র জপ করতে করতে মা দুর্গার "ব্রহ্মচারী" রূপের আরাধনা করতে হবে। এমনটা নিয়মিত করতে পারলে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভের সম্ভাবনা বাড়তে শুরু করবে। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতি লাভের পথও প্রশস্ত হবে। তাই তো বলি বন্ধু অল্প সময়ে যদি অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে উঠতে চান, তাহলে মায়ের এই বিশেষ রূপের আরাধনা করতে ভুলবেন না যেন!

৭. তুলারাশি:

৭. তুলারাশি:

একের পর এক বাঁধা আসতে থাকার কারণে কি জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে? সেই সঙ্গে লেজুড় হয়েছে পরিবারিক অশান্তিও? তাহলে বন্ধু প্রতি শুক্রবার সকাল সকাল উঠে স্নান সেরে এক মনে "কালি চাল্লিসা" পাঠ করার মধ্যে দিয়ে দেবীর "মহাগৌরী" রূপের পুজো শুরু করুন। এমনটা নিয়মিত করতে থাকলে দেখবেন সব ধরনের সমস্যা নিমেষে কমে যাবে।

৮.বৃশ্চিকরাশি:

৮.বৃশ্চিকরাশি:

এই রাশির জাতক-জাতিকারা নিয়মিত স্কন্দ মাতার অরাধনা শুরু করুন। এমনটা করলে দেখবেন জীবন অনন্দে ভরে উঠবে। সেই সঙ্গে গৃহস্থের অন্দরে খারাপ শক্তির প্রভাব কমতে থাকার কারণে একদিকে যেমন রোগ-ব্যাধি দূরে পালাবে, তেমনি পরিবারের অন্দরে কোনও ধরনের কলহ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কাও হ্রাস পাবে।

৯. ধনুরাশি:

৯. ধনুরাশি:

শাস্ত্র মতে এই রাশির জাতক-জাতিকারা যদি ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে নিয়মিত মা চন্দ্রঘন্টার আরাধনা করতে পারেন, তাহলে যে কোনও ধরনের বাঁধা পেরিয়ে যেতে সময় লাগে না।

১০. মকররাশি:

১০. মকররাশি:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতিদিন নভর্না মন্ত্র পাঠ করার মধ্যে দিয়ে যদি "দেবী কালরাত্রি" এর আরাধনা করা যায়, তাহলে প্রতিপক্ষদের ক্ষতি করার ক্ষমতা যেমন কমে যায়, তেমনি ছোট-বড় নানাবিধ রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে। ফলে আয়ু বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।

১১. কুম্ভরাশি:

১১. কুম্ভরাশি:

মকররাশির জাতক-জাতিকাদের মতো কুম্ভরাশির অধিকারীদেরও নিয়মিত দেবী কালরাত্রির আরাধনা করতে হবে। কারণ এমনটা করলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যায় কমে।

১২. মীনরাশি:

১২. মীনরাশি:

শুক্রবার সকাল সকাল স্নান সেরে মা চন্দ্রঘন্টার মূর্তি বা ছবির সামনে ফুল নিবেদন করে যদি দেবীক অরাধনা করা যায়, তাহলে সব ধরনের ভয় দূর হয়। সেই সঙ্গে জীবন পথে চলতে চলতে সামনে আসা যে কোনও বাঁধার পাহাড় সরে যেতেও সময় লাগে না।

Read more about: ধর্ম
English summary

Durga Puja According to Your Zodiac Sign

Devotees worship the deity in his or her own way during Navratri. Whatsoever the method is, the ultimate aim to worship the Goddess is to please her and receive her blessings. But, if you perform the Pooja according to your respective 'Rashi', you will get extraordinary blessings of the deity. Along with this, you will be free from any kind of miseries and hard times. So let's know that worshipping which form of the deity in what manner will reap you maximum benefits and blessings.
Story first published: Thursday, June 21, 2018, 11:25 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion