Just In
- 1 hr ago কাঠফাটা গরমে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করবে এই ফলগুলি!
- 2 hrs ago নতুন কাজে সাফল্য বৃষ ও কর্কটের, ৫ রাশির জন্য শুভ আজকের দিন, জানতে দেখুন রাশিফল
- 19 hrs ago অতিরিক্ত দই, বিস্কুট খাচ্ছেন? আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, সতর্ক থাকুন
- 20 hrs ago গরম থেকে বাঁচতে দেদার খাচ্ছেন ডাবের জল? ডেকে আনছেন না তো বড় বিপদ!
বসের মার আর বাড়ির ঝুটঝামেলার মাঝেও সুখে থাকতে চান কি? তাহলে বৃহস্পতিবার এই নিয়মগুলি মানতেই হবে!
শাস্ত্র মতে এই প্রবন্ধে আলোচিত নিয়মগুলি যদি প্রতি বৃহস্পতিবার মেনে চলা হয়, তাহলে বৃহস্পতি গ্রহের অবস্থান শক্তিশালী হতে শুরু করে, সেই সঙ্গে ভগবান বিষ্ণুও বেজায় সন্তুষ্ট হন।
দেব গুরু বৃহস্পতি হলেন বাকি গ্রহদের থেকে সবথেকে শক্তিশালী। তাই তো তাঁর স্থান ঠিক সূর্য দেবের পরেই। শুধু তাই নয়, জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে বৃহস্পতি দেব এতটাই শক্তিশালী যে কারও জন্ম কুষ্টিতে যদি দেবের অবস্থান দুর্বল হয়ে পরে, তাহলে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে। শুধু তাই নয়, কর্মক্ষেত্র থেকে সামাজিক জীবন, সবেতেই নানাবিধ বিপদের সম্মুখিন হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। আর যদি বৃহস্পতির অবস্থান শক্তিশালী হয়ে ওঠে, তাহলে তো কথাই নেই! কারণ সেক্ষেত্রে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি জ্ঞান এবং বুদ্ধির বিকাশ ঘটে চোখে পরার মতো। সেই সঙ্গে আরও নানা উপকার মেলে, যেমন ধরুন- বৈবাহিত জীবনে সুখ-শান্তি ফিরে আসে, বাবা-মা হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হয় না, কর্মক্ষেত্রে সম্মান বৃদ্ধি পায়, গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে এবং ছোট-বড় নানা রোগ দূরে পালানোর কারণে শরীর-স্বাস্থ্য়ও বেজায় চাঙ্গা হয়ে ওঠে। শুধু তাই নয়, পরিবারে সুখ এবং সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগতেও সময় লাগে না। ফলে বাড়িতে কোনও ধরনের ঝামেলা বা অশান্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনা যায় কমে। তাই তো বলি বন্ধু বাকি জীবনটা যদি আনন্দে কাটাতে চান, তাহলে এই লেখায় একবার চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন!
আসলে এই লেখায় বেশ কতগুলি নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। শাস্ত্র মতে এই নিয়মগুলি যদি প্রতি বৃহস্পতিবার মেনে চলা হয়, তাহলে বৃহস্পতি গ্রহের অবস্থান শক্তিশালী হতে শুরু করে, সেই সঙ্গে ভগবান বিষ্ণুও বেজায় সন্তুষ্ট হন। ফলে উপরে আলোচিত সুফলগুলি পেতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত,এক্ষেত্রে যে যে নিয়মগুলি মানে চলা জরুরি, সেগুলি হল...
১. সর্বশক্তিমানকে গাঁদা ফুলের মালা নিবেদন করতে হবে:
দেবগুরু বৃহস্পতিকে যদি কুষ্টির ঠিক ঘরে নিয়ে আসতে হয়, তাহলে লর্ড বিষ্ণুকে প্রসন্ন করতে হবে। আর এমনটা করবেন কীভাবে? কিছুই না, প্রতি বৃহস্পতিবার গাঁদা ফুল বা যে কোনও হলুদ রঙের ফুল কিনে এনে ভগবান বিষ্ণুর সামনে রেখে এক মনে তাঁর নাম জপ করুন। এমনটা করলেই দেখবেন কেল্লা ফতে! প্রসঙ্গত, লর্ড বিষ্ণুর আরাধনা করার সময় যদি "ওম নামো নারায়ণ", এই মন্ত্রটি পাঠ করতে পারেন, তাহলে আরও উপকার পাওয়া যায়।
২. কলা গাছের পুজো করা মাস্ট!
ভগবান বিষ্ণুকে চটজলদি প্রসন্ন করতে চান নাকি? তাহলে প্রতি বৃহস্পতিবার সকালে উঠে স্নান সেরে হলুদ রঙের জামা-কাপড় পরে কলা গাছের সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে দেবের পুজো করুন। সেই সঙ্গে পাঠ করুন বিষ্ণু মন্ত্র। এমনটা করলে দেখবেন দেবের আশীর্বাদ থেকে কখনও বঞ্চিত হবেন না। আর একবার সর্বশক্তিমানের আশীর্বাদ আপনার সঙ্গ নিলে জীবন বদলে যেতে যে সময় লাগবে না, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে!
৩. উপোস করলে সুফল মিলবে হাতে-নাতে!
শাস্ত্র মতে প্রতি বৃহস্পতিবার কলা গাছ এবং বিষ্ণু দেবের পুজো করার পর যদি সারা দিন না খেয়ে থাকা যায় এবং সন্ধ্যা বেলায় নিরামিষ খাবার খেয়ে উপোস ভাঙা যায়, তাহলে মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে পকেট ভর্তি টাকার মালিক হয়ে ওঠার স্বপ্নও দিনের আলো দেখে। প্রসঙ্গত, একান্তই যদি উপোস করতে না পারেন, তাহলে সারা দিন নিরামিষ খাবার খাওয়া চেষ্টা করবেন। আসলে এমনটা করলেও কিন্তু দারুন সুফল পাওয়া যায়।
৪. নুন খাওয়া চলবে না:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বৃহস্পতিবার নুন না খেলে ভগবান বিষ্ণু এবং লর্ড বৃহস্পতি খুব খুশি হন। ফলে নানাবিধ সুফল সময় লাগে না।
৫. হলুদ জামা-কাপড় পরতে হবে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে হলুদ রং ভগবান বিষ্ণুর খুব প্রিয়। তাই তো বৃহস্পতিবার এই রঙের জামা-কাপড় পরলে নেগেটিভ এনার্জি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। ফলে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ লাভ করায় দিনটা বেজায় আনন্দে কেটে যায়।
৬. কপালে হলুদের টিকা লাগাতে হবে:
ভগবান বিষ্ণুর পুজো করার পর অল্প পরিমাণে হলুদ নিয়ে তাতে পরিমাণ মতে জল মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর তা থেকে অল্প পরিমাণ নিয়ে কপালে ছোট্ট একটা তিলক কেটে নিন। এমনটা করলে শরীর যেমন ঠান্ডা থাকবে, তেমনি লর্ড বৃহস্পতিও প্রসন্ন হবেন। ফলে কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতা এবং পকেট ভর্তি টাকার মালিক হয়ে উঠতে দেখবেন সময় লাগবে না। সেই সঙ্গে পরিবারে সুখ এবং সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগবে। প্রসঙ্গত, বাড়িতে যদি জাফরান থাকে, তাহলে তাও জলে গুলে তিলক হিসেবে লাগাতে পারেন। এমনটা করলেও কিন্তু সমান উপকার পাওয়া যায়।
৭. খাবার বা অর্থ দান করলে সুফল মিলবে:
হিন্দু ধর্মের উপর লেখা একাধিক প্রাচীন গ্রন্থ অনুসারে সপ্তাহের এই বিশেষ দিনে যদি গরীব মানুষদের অর্থ, বস্ত্র এবং খাবার দান করা যায়, তাহলে দারুন সুফল মেলে। তাই ভগবান বিষ্ণু এবং লর্ড বৃহস্পতির আশীর্বাদ থেকে যদি বঞ্চিত হতে না চান, তাহলে নিয়ম করে দান-ধ্যান করতে ভুলবেন না যেন!
৮. দেবের পায়ে ডাল নিবেদন করতে হবে:
সপ্তাহের এই বিশেষ দিনে ভগবান বিষ্ণুর চরণে ডাল নিবেদন করা বেজায় শুভ লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত করা হয়ে থাকে। কারণ এমনটা করলে জীবন পথে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা নানাবিধ সমস্যার পাহাড় সরে যেতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, মনের ছোট থেকে চোটতর ইচ্ছা পূরণের সম্ভাবনাও যায় বেড়ে। প্রসঙ্গত, ডালের সঙ্গে যদি গুড় নিবেদন করতে পারেন, তাহলেও বেজায় উপকার মেলে। এখন প্রশ্ন হল যাদের বাড়ির সামনে বিষ্ণু মন্দির নেই, তার কী করবেন? সেক্ষেত্রে কলা গাছের সামনে চানা ডাল এবং গুঁড় নিবেদন করতে পারেন। কারণ এমনটা করলেও সমান উপকার পাওয়া যায়।
৯. সত্যনারায়ণ কথা:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি বৃহস্পতিবার সত্যনারায়ণ কথার আয়োজন করা বেজায় শুভ। কারণ শাস্ত্র মতে সপ্তাহের এই বিশেষ দিনে নারায়ণের আরাধনা করলে বৃহস্পতি দেব বেজায় প্রসন্ন হন। ফলে গুডলাক রোজের সঙ্গী হয়। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে চরম সফলার স্বাদ পাওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ে।
১০. হলুদ লাডডু এবং বৃহস্পতিবার:
অনেকে এমনটা বিশ্বাস করেন যে প্রতি বৃহস্পতিবার ভগবান শিবের পুজো করে দেবাদিদেবকে যদি হলুদ লাডডু নিবেদন করা যায়, তাহলে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। আর একবার এমনটা হলে জীবনের ছবিটা বদলে যেতে যে সময় লাগে না, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
১১. গরীব মানুষদের কলা দান করলে উপকার মিলবে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি বৃহস্পতিবার কলা দান করলে ভগবান বিষ্ণু যেমন সন্তুষ্ট হন, তেমনি লর্ড বৃহস্পতিও বেজায় প্রসন্ন হন। ফলে জন্ম কুষ্টিতে বৃহস্পতি গ্রহের অবস্থান শক্তিশালী হতে শুরু করে। আর এমনটা হলে নানাবিধ সুফল পেতে যে সময় লাগে না, তা কি বলার অপেক্ষা রাখে!