Just In
Devshayani Ekadashi 2021 : দেবশয়নী একাদশী থেকে শুরু চতুর্মাস, এই চার মাস কেন বন্ধ থাকে শুভ কাজ? জানুন কারণ
হিন্দু ধর্মে একাদশী তিথির গুরুত্ব অনেক। প্রতি মাসে দু'বার একাদশী তিথি আসে, একটি কৃষ্ণপক্ষ এবং অন্যটি শুক্লপক্ষে পড়ে। প্রতিটি একাদশীর বিশেষ নাম আছে এবং এর সাথে বিশেষ বিশ্বাসও জড়িত। সেরকমই, আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিকে দেবশয়নী একাদশী বলা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, এই দিন থেকে ভগবান বিষ্ণু ক্ষীর সাগরে বিশ্রামে যান। এই দিন থেকেই শুরু হয় চতুর্মাস। আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী থেকে কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথি পর্যন্ত চলে চতুর্মাস। এই সময়কালে বিবাহ ও যেকোনও মাঙ্গলিক আচার পালন অশুভ বলে বিবেচিত হয়। দেবশয়নী একাদশীর প্রায় চার মাস পর ভগবান বিষ্ণু দেব-প্রবোধিনী একাদশীর দিন নিদ্রা থেকে জাগ্রত হন।
প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এই চার মাস বিষ্ণু নিদ্রায় থাকার জন্য ধরণী ও সংসার রক্ষার দায়িত্ব ভার থাকে দেবাদিদেব মহাদেবের উপর। এবছর অর্থাৎ ২০২১ সালে দেবশয়নী একাদশী কবে পড়েছে এবং এর শুভ সময় কী, জেনে নিন। এছাড়াও, জেনে নিন এই দিনের বিশেষ তাৎপর্য।
২০২১ সালে দেবশয়নী একাদশী তিথি ও শুভ মুহুর্ত
এবছর দেবশয়নী একাদশী পড়েছে ২০ জুলাই, মঙ্গলবার।
একাদশীর তিথি শুরু : ১৯ জুলাই, রাত ০৯টা ৫৯ মিনিটে
একাদশী তিথি সমাপ্তি : ২০ জুলাই, সন্ধ্যা ০৭টা ১৭ মিনিটে
ব্রতভঙ্গের সময় : ২১ জুলাই, সকাল ০৫টা ০৩ থেকে সকাল ০৭টা ৪৩ পর্যন্ত
২০ জুলাই দেবশয়নী একাদশী থেকে ১৪ নভেম্বর দেবোত্থান একাদশী বা দেব-প্রবোধিনী একাদশী পর্যন্ত, চার মাস থাকবে এই বছরের চতুর্মাস।
দেবশয়নী একাদশী পূজা পদ্ধতি
যারা ব্রত পালন করবেন, তারা এই দিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান করুন। ঘর ও মন্দির পরিষ্কার করে, পুজোর জায়গায় প্রদীপ জ্বালান। গঙ্গার জল দিয়ে ভগবান বিষ্ণুর প্রতিমা বা ছবি অভিষেক করুন। ফুল ও তুলসী অর্পণ করুন। এরপর তাঁর পূজা করে আরতি করুন। একাদশীর দিন ভগবান বিষ্ণুর সাথে দেবী লক্ষ্মীর পূজা করলেও বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
সব বিপদ থেকে মুক্তি পেতে করুন বিপত্তারিণী ব্রত! জেনে নিন এই পুজোর মাহাত্ম্য
দেবশায়নী একাদশী গুরুত্ব
বিশ্বাস করা হয় যে, এই দিনে ব্রত করলে এবং নিষ্ঠাভরে ঈশ্বরের পূজা করলে জ্ঞানে-অজ্ঞানে করা পাপ থেকে মুক্তি মেলে। মনের সকল ইচ্ছা পূরণ হয়। একে মোক্ষ প্রাপ্তির উপায় বলে মনে করা হয়।
প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, যেহেতু চতুর্মাসে শ্রীহরি নিদ্রা অবস্থায় থাকেন, তাই কোনও শুভ অনুষ্ঠানে তিনি আশীর্বাদ করতে পারেন না। সেই কারণে এই সময়কালে বিবাহ, উপনয়ন, গৃহ প্রবেশ, নতুন যানবাহন বা বাড়ি কেনাকাটা এবং মুণ্ডণের মতো শুভ কাজ করা যায় না। এই সময়ভক্তি, তপস্যা, পবিত্র স্নান, ত্যাগ এবং দান করার জন্য উপযুক্ত।