Just In
বাড়ির ঠাকুর ঘরে পুজো করা নারকেল রাখলে কী কী উপকার পাওয়া যায় জানা আছে?
হিন্দু শাস্ত্রে নারকেলকে বেজায় গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। তাই তো পুজো হোক, কী যে কোনও শুভ কাজ, নারকেল থাকা মাস্ট! কিন্তু একথা কারও জানা আছে কি যে বাড়িতে পুজো করা নারকেল রাখলে কী কী উপকার পাওয়া যায়।
হিন্দু শাস্ত্রে নারকেলকে বেজায় গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। তাই তো পুজো হোক, কী যে কোনও শুভ কাজ, নারকেল থাকা মাস্ট! কিন্তু একথা কারও জানা আছে কি যে বাড়িতে পুজো করা নারকেল রাখলে কী কী উপকার পাওয়া যায়। আসলে শাস্ত্র মতে এমনটা করলে নাকি একাধিক উপকার পাওয়া যায়। বিশেষত নানাবিধ অর্থনৈতিক সমস্যা মিটে যেতে সময় লাগে না। মেলে আরও অনেক উপকার, যেমন ধরুন...
১. কোর্ট কেসের ঝামেলা মিটে যায়:
কোনও মামলায় ফেঁসে আছেন নাকি? তাহলে বন্ধু যে দেবতাকে মানেন তার পুজো করে তাঁর সামনে একটা ছোট্ট নারকেল রেখে দিন। আর সেই নারকেলের উপর একটা লাল ফুল রাখুন। এরপর যেদিন কোর্টে যাবেন সেই লাল ফুলটা সঙ্গে রাখুন। এমনটা করলে দেখবেন কোর্ট কেসে আপনি জিতবেই জিতবেন!সেই সঙ্গে মামলা সংক্রান্ত বাকি সব ঝামেলাও দেখবেন ধীরে ধীরে মিটে যাবে।
২. খারাপ দৃষ্টির কারণে কোনও ক্ষতি হবে না:
মঙ্গলবার একটা নারকেলকে লাল কাপড়ে জড়িয়ে পরিবারের প্রতিটি সদস্যের চারিপাশে সাতবার ঘুরিয়ে সেটি যদি হনুমান জি-এর পায়ের কাছে বা ছবির সামনে রেখে দেওয়া যায়, তাহলে পরিবারের কারও উপর কখনও খারাপ দৃষ্টি পরার আশঙ্কা যায় কমে, সেই সঙ্গে খারাপ দৃষ্টির কারণে কোনও কুপ্রভাব পরার আশঙ্কাও যায় কমে। শুধু তাই নয়, গৃহস্থের অন্দরে উপস্থিত খারাপ শক্তিও দূরে পালায়। ফলে কোনও ধরনের খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে জীবনের প্রতিটি বাঁকে সফলতা স্বাদ মেলে।
৩. আটকে থাকা কাজ সম্পন্ন হয়:
জীবন পথে চলতে চলতে কি শুধুই বাঁধার সম্মুখিন হচ্ছেন? শত চেষ্টা করেও সাফল্য মিলছে না? তাহলে বন্ধু একটা নারকেল সারা রাত মাথার কাছে রেখে ঘুমান। পরদিন সকালে উঠে গণেশ দেবতার মন্দিরে গিয়ে সেই নারকেলটা দিয়ে দেবের আরাধনা করুন। এমনটা করলে দেখবেন সব ধরনের বাঁধার পাহাড় তো সরে যাবেই, সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতার স্বাদ পেতেও সময় লাগবে না। শুধু তাই নয়, অর্থনৈতিক উন্নতিও ঘটবে চোখে পরার মতো।
৪. অর্থনৈতিক সমস্যা মিটে যাবে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে, যে কোনও ধরনের অর্থনৈতিক সমস্যা মেটাতে নারকেলের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এক্ষেত্রে প্রতি মঙ্গলবার একটা নারকেল কিনে হনুমান জির মন্দিরে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে দেবের শরীরে লাগানো সিঁদুর নারকেলের গায়ে লাগিয়ে হনুমান জির সামনে বসে হানুমান চাল্লিশা পাঠ করতে হবে। এইভাবে পর পর ৮ সপ্তাহ দেবের আরাধনা করলে দেখবেন অর্থনৈতিক সমস্যা মিটে যেতে সময় লাগবে না। শুধু তাই নয়, মনের জোর এতটাই বেড়ে যাবে যে আগামী সময় যদি কোনও বাঁধা আসেও বা, তা পেরিয়ে যেতে দেখবেন কোনও অসুবিধাই হবে না। তাছাড়া এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি মঙ্গলবার নারকেল সহযোগে হনুমানজির পুজো করলে খারাপ শক্তির প্রভাব কেটে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে পরিবারে সুখ এবং সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে।
৫. ব্যবসায় উন্নতি ঘটে:
হিন্দু শাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক প্রাচীন বইয়ে এমনটা দাবি করা হয়েছে যে প্রতি বৃষ্পতিবার দেড় মিটার লম্বা একটা হলুদ কাপড় নিয়ে সেটি একটি নারকেলে জড়িয়ে সেই নারকেলটি বিষ্ণু দেবতার মন্দিরে গিয়ে ভেট চড়ালে ব্যবসায় উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, ব্যবসায় কোনও সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কাও যায় কমে। তাই তো বলি বন্ধু, যারা নানাবিধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তারা যদি এই নিয়মটি মেনে চলতে পারেন, তাহলে কিন্তু দারুন উপকার পেতে পারেন।
৬. যে কোনও ধরনের পারিবারিক সমস্যা মিটে যায়:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতিদিন মা দূর্গার সামনে একটি নারকেল, লাল কাপড়ে জড়িয়ে রেখে যদি লাল ফুল এবং ধূপ-ধুনো দিয়ে পুজো করা হয়, তাহলে যে কোনও ধরনের পারিবারিক সমস্যা মিটে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে মায়ের আশীর্বাদে বাড়িতে উপস্থিত নেগেটিভ শক্তিও দূরে পালায়, ফলে সুখ-শান্তির পরিবেশ পুনরায় বিগ্নিত হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।
৭. বড়লোক হয়ে ওটার স্বপ্ন পূরণ হয়:
আরও অনেকের মতোই আপনিও কি অল্প সময়ে বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখেন? তাহলে বন্ধু প্রতি শুক্রবার একটা নারকেল নিয়ে মা লক্ষীর আরাধনা করে নারকেলটি মায়ের ছবি বা মূর্তির সামনে রেখে দিন। কিছু সময় পরে নারকেলটি নিয়ে যেখানে টাকা রাখেন, সেখানে কিছু সময় রেখে দিন। এইভাবে প্রতি শক্রবার যদি মা লক্ষীর আরাধনা করতে পারেন, তাহলে দেখবেন অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে উঠতে সময় লাগবে না।
৮. শনির প্রকোপ ধীরে ধীরে কমে যাবে:
শনির সাড়ে সাতির ফাঁদে পরেছেন নাকি? তাহলে বন্ধু প্রতি শনিবার একটা নারকেলকে গঙ্গা জলে ধুয়ে শনি দেবের সামনে রেখে সর্বশক্তিমানের অরাধনা করুন। আর যদি সম্ভব হয়, তাহলে এই সময় শনি মন্ত্রও জপ করুন। দেখবেন গেবের বক্র দৃষ্টি সরে য়েতে সময় লাগবে না। প্রসঙ্গত, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি শনিবার এইভাবে শনি দেবের আরাধনা করলে শনির প্রকোপ কমে যেতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, যাদের জন্ম কুষ্টিতে শনি বেজায় দুর্বল, তারাও যদি এই নিয়মটি মেনে দেবের পুজো করতে পারেন, তাহলে কিন্তু দারুন ফল পাওয়া যায়।