For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

প্রতি শুক্রবার এক মনে ওম শ্রী দূর্গায় নমহ- এই মন্ত্রটি জপ করলে কী কী উপকার মিলতে পারে জানা আছে?

শুক্রবার হল মাতৃশক্তির অরাধনা করার দিন। এদিন মা দূর্গা, কালী, সরস্বতী অথবা মা লক্ষ্মীর পুজো করলে একাধিক উপকার পাওয়া যায়।

|

শাস্ত্র মতে শুক্রবার হল মাতৃশক্তির অরাধনা করার দিন। এদিন মা দূর্গা, কালী, সরস্বতী অথবা মা লক্ষ্মীর পুজো করলে একাধিক উপকার পাওয়া যায়। কিন্তু একই সঙ্গে এই সব দেবীর মন জয় করে করে যদি তুমুল সুফল ভোগ করতে চান, তাহলে মা দূর্গার ছবি বা মূর্তির সামনে বসে "ওম শ্রী দূর্গায় নমহ" এই মন্ত্রটি পাঠ করতে ভুলবেন না যেন। আসেল এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে পাঠ করা মাত্র মা দূর্গা তো প্রসন্ন হনই, সেই সঙ্গে মা কালী, সরস্বতী এবং লক্ষ্মী দেবীও বেজায় খুশি হন। ফলে জীবনের ছবিটা নানা রঙে রঙিয়ে উঠতে সময় লাগে না। বিশেষত টাকা-পয়সা সম্পর্কিত যে কোনও সমস্যা মিটে যায়, সেই সঙ্গে যে কোনও ধরনের বিপদের খপ্পরে পরার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। শুদু তাই নয়, মেলে আরও অনেক উপকার। যে সম্পর্কে এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

হিন্দু শাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক বই অনুসারে প্রতিটি মন্ত্রের বিশেষ কোনও শক্তি মজুত থাকে, যা মন্ত্রটি পাঠ করা মাত্র চরিপাশে ছড়িয়ে পরে এবং যার প্রভাবে দেব-দেবীরাও জাগ্রত হয়ে ওঠেন। ফলে সর্বশক্তিমানের আশীর্বাদে নানাবিধ সুফল মেলার পথ প্রশস্ত হয়। যেমনটা মা দূর্গার এই শক্তিশালী মন্ত্রটি পাঠ করলে হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, "ওম শ্রী দূর্গায় নমহ" মন্ত্রটি শুক্রবারের পাশাপাশি প্রতি দিন যদি করে ১০৮ বার পাঠ করা যায়, তাহলে সাধারণত যে যে উপকারগুলি পাওয়া যায়, সেগুলি হল...

১. শরীরের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:

১. শরীরের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:

খেয়াল করে দেখবেন মাঝে-মধ্যেই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এতটাই ক্লান্ত লাগে যে মনে হয় সারা দিনটা কাটানো বেজায় কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। আসলে এমনটা হয় আমাদের আশেপাশে উপস্থিত খারাপ শক্তির প্রভাবে। শুধু তাই নয়, অনেক সময় মাত্রাতিরিক্তি স্ট্রেসের কারণেও শরীর ভাঙতে শুরু করে। আর এমনটা যখন হয়, তখন ক্লান্তি বোধ এত মাত্রায় ঘিরে ধরে যে শরীর একেবারই চলতে চায় না। প্রসঙ্গত, এমন পরিস্থিতিতে যদি এই দূর্গা মন্ত্রটি জপ করা যায়, তাহলে শারীরিক ক্ষমতা তো বৃদ্ধি পায়ই, সেই সঙ্গে স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমতেও সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, এই মন্ত্র বলে মস্তিষ্কের ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।

২. পরিবারে সুখ-শান্তির পরিবেশ বজায় থাকে:

২. পরিবারে সুখ-শান্তির পরিবেশ বজায় থাকে:

নানা কারণে কি মানসিক শান্তি দূরে পালিয়েছে? তাহলে বন্ধু প্রতিদিন এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করুন। দেখবেন হারিয়ে যাওয়া সুখ-শান্তি ফিরে আসবেই। সেই সঙ্গে যে কোনও সমস্যা এবং কলহ মিটে যেতেও সময় লাগবে না। আসলে এই দূর্গা মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে পাঠ করা মাত্র গৃহস্তের প্রতিটি কোণায় পজেটিভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে সুখের ঝাঁপি পুনরায় ভরে উঠতে সময় লাগে না।

৩. বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হয়:

৩. বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হয়:

৩০ পেরতে না পেরতেই কি অনেক অনেক টাকার মালির হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ করতে চান? তাহলে প্রতিদিন ১০৮ বার এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেই পাবেন! যদি প্রশ্ন করেন, মন্ত্র পাঠের সঙ্গে বড়লোক হয়ে ওঠার কী সম্পর্ক, তাহলে জানিয়ে রাখি বন্ধু এই মন্ত্রটি পাঠ করা মাত্র গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়, সেই সঙ্গে মা লক্ষ্মী এতটাই প্রসন্ন হন যে গৃহস্থে তাঁর প্রবেশ ঘটে। আর যে বাড়িতে মা বিরাজমান হন, সেই পরিবারের প্রতিটি সদস্যের অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে যে সময় লাগে না, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে।

৪. যে কোনও সমস্যা মিটে যায় চোখের পলকে:

৪. যে কোনও সমস্যা মিটে যায় চোখের পলকে:

যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে প্রতি শুক্রবার এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করলে মা দূর্গার আশীর্বাদ লাভ হয়। ফলে ছোট-বড় সব ধরনের সমস্যা মিটে যায় চোখের পলকে। ফলে জীবন আনন্দে ভরে উঠতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে মা কালীর আশীর্বাদে খারাপ শক্তিও দূরে পালায়। ফলে নেগেটিভ শক্তির প্রভাবে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কাও কমে যায়। আর কারও উপর যখন মা দূর্গা, কালী, সরস্বতী এবং মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ থাকে, তখন যে তার কোনও বিষয় নিয়েই চিন্তা থাকে না, তা তো বলাই বাহুল্য!

৫. বুদ্ধির বিকাশ ঘটে:

৫. বুদ্ধির বিকাশ ঘটে:

যেমনটা সবারই জানা আছে মা সরস্বতী হলেন জ্ঞান এবং বুদ্ধির দেবী। তাই তো শুক্রবার করে এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করলে মা সরস্বতীর আশীর্বাদে জ্ঞান এবং বুদ্ধি, সেই সঙ্গে মনোযোগ ক্ষমতারও উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু, আপনার পরিবারের ছোট সদস্যরা পড়াশোনায় উন্নতি করুক, এমনটা যদি চান, তাহলে তাঁদের এই মন্ত্রটি জপ করার পরামর্শ দিন। দেখবেন উন্নতি হবেই হবে!

৬. সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে:

৬. সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে:

অনেকেই হয়তো জানেন না, মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হলে শুধু পকেট ভরে ওঠে না। সেই সঙ্গে সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। আর যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে এই দূর্গা মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করলে মা লক্ষ্মী বেজায় খুশি হন। তাই তো প্রতি শুক্রবার এই মন্ত্রটি পাঠ করলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতেও সময় লাগে না।

৭. রোগ-ব্যাধি দূরে পালায়:

৭. রোগ-ব্যাধি দূরে পালায়:

এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে পাঠ করা মাত্র শরীর এবং মস্তিষ্কের অন্দরে শক্তির বিকাশ ঘটে, যার প্রভাবে শরীর এতটাই চাঙ্গা হয়ে ওঠে যে চোট-বড় সবহ রোগই দূরে পালায়। ফলে আয়ু বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।

৮. যে কোনও কাজে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে:

৮. যে কোনও কাজে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে:

এমন বিশ্বাস রয়েছে যে কোনও নতুন কাজ শুরু করার আগে যদি এক মনে এই মন্ত্রটি পাঠ করা যায়, তাহলে মাতৃশক্তির এতটাই জাগ্রত হয়ে ওঠে যে সেই কাজে সফলতা লাভের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। শুধু তাই নয় সামগ্রিকভাবে কর্মক্ষেত্রে চরম উন্নতি লাভের পথও প্রশস্ত হয়।

৯. গ্রহ দোষ কেটে যায়:

৯. গ্রহ দোষ কেটে যায়:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি শুক্রবার মা দুর্গার ছবির সামনে বসে এক মনে এই মন্ত্রটি জপ করলে গ্রহ দোষ কেটে যেতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি খারাপ স্বপ্ন আসার আশঙ্কাও কমে। শুধু তাই নয়, এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে, যে কোনও ধরনের ভয় দূর হয় চোখের পলকে। শুধু তাই নয়, আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।

১০. মনের জোর বারে:

১০. মনের জোর বারে:

আজ এক মনে এই দূর্গা মন্ত্রটি জপ করলে মা দুর্গা, কালি, সরস্বতী এবং লক্ষ্মীর দেবী এতটাই প্রসন্ন হন যে তাদের আশীর্বাদে মনের জোর এতটাই বেড়ে যায় যে ভয় দূর হয়। সেই সঙ্গে স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমতেও সময় লাগে না। আর মন যখন একবার শক্তিশালী হয়ে ওঠে, তখন যে কোনও বিপদ কাটিয়ে এগিয়ে যেতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও বাড়ে। ফলে জীবন সব দিক থেকেই সুন্দর হয়ে ওঠে।

১১. মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূর হয়:

১১. মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূর হয়:

শাস্ত্রে এমনটা বলা হয়েছে যে প্রতি শুক্রবার মায়ের যে কোনও রূপের অরাধনা করারা পাশাপাশি এই মন্ত্রটি জপ করলে দেবী এতটাই প্রসন্ন হন যে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে মনের অন্দরে জমতে থাকা ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। আর এমনটা যখন হয়, তখন জীবনের সামগ্রিক ছবিটাই যে বদলে যায়, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে!

Read more about: ধর্ম
English summary

chanting Om Sri Durgaya Namah mantra benefits on friday

This mantra is of Goddess Durga the combined form of the powers of Lakshmi, Saraswati and kali. By enchanting this mantra all the physical, mental, economic problems are solved.
Story first published: Friday, September 7, 2018, 11:29 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion