For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

অশান্তিতে ভুগছেন? নিজেকে বদলে ভালো থাকুন

নিয়মিত সজাগ থেকে কিছু অভ্যাস তৈরি করতে পারলেই আপনি আপনার দেখার পদ্ধতি পাল্টে ফেলতে পারেন আর বেরিয়ে আসতে পারেন যে কোনও অবাঞ্ছিত ঘটনা থেকে।

|

অফিসে বাড়িতে সমস্যার জন্য অল্পেতেই মাথা গরম হয়ে যায়। কোনও আকস্মিক দুর্ঘটনা আপনাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করে দিয়েছে। অথবা বেশকিছু কারণে অপমানিত হতে হওয়ায় আপনি কিছুতেই ভুলতে পারছেন না সেসব কথা।‌ এসবই আসলে আপনার মনে ঘটে চলেছে আপনার গতে বাধা দৃষ্টিভঙ্গির কারণে। আপনার মানসিক দুর্বলতাও এর পিছনে আছে, দুর্বলতা তৈরি হয়েছে দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই। তাই এসব ঘটনার থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলতে হলে নিজের মনকে শান্ত রেখে কাজের মধ্যে ডুবে যেতে হলে প্রথমেই যা প্রয়োজন তা হল আপনার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। পদ্ধতিটা আহামরি কিছু না। নিয়মিত সজাগ থেকে কিছু অভ্যাস তৈরি করতে পারলেই আপনি আপনার দেখার পদ্ধতি পাল্টে ফেলতে পারেন আর বেরিয়ে আসতে পারেন যে কোনও অবাঞ্ছিত ঘটনা থেকে।

১। পজিটিভ ভাবতে চেষ্টা করুন

১। পজিটিভ ভাবতে চেষ্টা করুন

সবসময় চেষ্টা করুন আপনার চারপাশে বা আপনাকে নিয়ে ঘটে চলা ঘটনাগুলোতে প্রথমেই জড়িয়ে না পড়ে তা নিয়ে কিছু সময় ভাবতে, সবদিক বিচার করে সেই ঘটনা সম্পর্কে নিজের মনে সিদ্ধান্ত নিন ও জানান‌। কথায় বলে ভাবিয়া করিও কাজ , করিয়া ভাবিও না। না ভেবে মন্তব্য বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফল চিরকালই মারত্মক হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনাকে অযথা আরও বেশি জড়িয়ে পড়তে হতে পারে ঘটনার মধ্যে। ভাবার সময় সবটা বিচার করুন, নিজের মতো করে ভাবলে বা নিজের স্বার্থ দেখলে অনেক ক্ষেত্রেই কিন্তু পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে যা আপনার ক্ষতিকর।

২। ঘুরে দাড়ান

২। ঘুরে দাড়ান

জীবনের কোনও পরিস্থিতিতেই মুষড়ে পড়বেন না, কোনও দুর্ঘটনাতেই হেরে যাবেন না। জানবেন ভগবান এক পথ বন্ধ করলে আরেক পথ খুলে দেন। আপনার দায়িত্ব চোখ কান সজাগ রেখে সেই পথকে খুজে বার করা। জীবনে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে যদি ভেবে থাকেন আপনার পক্ষে উঠে দাঁড়ানো সম্ভব নয়, সেটাও কিন্তু ভুল ভাবছেন। যে কোনও ঘটনা আমাদের জীবনে ঘটে যাতে সেই ঘটনা থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি। আপনাকেও সেই একই শিক্ষা নিতে হবে। সেই শিক্ষাই আপনাকে উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করবে। তাই যে কোনও ঘটনা ভালো হোক বা খারাপ তাদের আপনার জীবনে ঘটতে দিন, তাদের মাধ্যমেই আপনার শিক্ষা পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে। আগুনে যত পুড়বেন ততই খাঁটি হয়ে উঠবে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি, ততই তাতে পরিবর্তন আসবে। নতুনভাবে দেখতে শিখবেন পৃথিবীকে।

৩। প্রতিক্রিয়াশীল হবেন না

৩। প্রতিক্রিয়াশীল হবেন না

সবক্ষেত্রে সবস্থানে আপনার মতামতের গুরুত্ব নাও থাকতে পারে। তাই চেষ্টা করুন যেখানে গুরুত্ব নেই সেখানে মতামত না জানানোর। আপনার মতামত যদি কোনও পরিবর্তন ঘটাতে না পারে তবে সেক্ষেত্রে তার কিন্তু কোনও দামই রইল না। যে কোনও সামাজিক সমস্যার ক্ষেত্রেই একই কথা খাটে। সমস্ত সামাজিক সমস্যায় মতামত দিয়ে অনেকেই অযথা তাতে জড়িয়ে পড়েন, এতে নিজের সময় যেমন নষ্ট হয়, তেমনই না ভাবার প্রবণতা বাড়ে। আর যত কম ভাববেন ততই দৃষ্টিভঙ্গি না পাল্টাবার সম্ভাবনা বেশি।

জীবনে এমন অনেক ঘটনাই ঘটে যেক্ষেত্রে হয়তো আপনি নিজেকে সাফল্যের শিখরে দেখতে পান, এতেও কিন্তু হতে পারে সমূহ ক্ষতি, পতনের ক্ষতি।‌ তাই চেষ্টা করুন জীবনের সাফল্যের মুহূর্তগুলো সীমিতভাবে উদযাপনের যাতে করে কখনওই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের সৃষ্টি না হয়। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস আমাদের দেখার চোখকে কাপড় পরিয়ে রাখে। দূরে সরিয়ে রাখে বাস্তবকে আর আমরা হোঁচট খাই ঠিক তখনই।

জীবনের সময়সীমার মধ্যে অনেকগুলো যুগ আমাদের পেরোতে হয় যুগ থেকে যুগান্তরে মানুষ পাল্টায় , পাল্টায় প্রযুক্তি ও পৃথিবীও। তাই পাল্টাতে হবে দেখার চোখও, দেখার পদ্ধতি না পাল্টালে অনেকসময়ই আপনি আসল সত্যকে উপলব্ধি করতে পারবেন না, অপেক্ষাকৃত লঘু ঘটনাগুলোয় নিজেকে জড়িয়ে ফেলে নষ্ট হয়ে যাবে জীবনের অনেকটা সময়। তাই দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন জরুরি। আর তা সম্ভব জীবনে সবরকম পরিস্থিতিকে স্বাগত জানানোর মাধ্যমেই।

English summary

Change The Way You Look At Things

when you search only for the good, then you life transforms into the amazing adventure it was designed to be.
Story first published: Friday, March 22, 2019, 10:10 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion