Just In
- 41 min ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
- 16 hrs ago অসহ্য গরমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ঘরেই বানান ডিটক্স ওয়াটার
- 17 hrs ago গরমে ট্যানিংয়ের সমস্যা? আর নয়, ব্যবহার করুন এই ঘরোয়া প্যাকগুলি
- 20 hrs ago ভ্যাপসা গরমে আপনাকে তৃপ্তি দেবে এক গ্লাস গোলাপ শরবত!
অবিবাহিত মহিলাদের ভুলেও হনুমানজির মন্দিরে যাওয়া উচিত নয় কেন জানেন?
হিন্দু ধর্মের উপর লেখা একাধিক বই অনুসারে হনুমানজি ছিলেন ব্রহ্মচারী। অর্থাৎ জীবনকালে তিনি বিবাহ করেননি। তাই পাছে চার পবিত্রতা নষ্ট হয়, এই কারণেই হনুমানজির মন্দিরে অবিবাহিত মহিলাদের যেতে মান করা হয়।
হিন্দু ধর্মের উপর লেখা একাধিক বই অনুসারে হনুমানজি ছিলেন ব্রহ্মচারী। অর্থাৎ জীবনকালে তিনি বিবাহ করেননি। তাই পাছে চার পবিত্রতা নষ্ট হয়, এই কারণেই হনুমানজির মন্দিরে অবিবাহিত মহিলাদের যেতে মান করা হয়। তবে ইচ্ছা হলে বিবাহ পূর্বে মহিলারা হনুমান চল্লিশা পাঠ করতেই পারেন। শাস্ত্র মতে প্রতি মঙ্গলবার হনুমান চল্লিশা পাঠ করলে বায়ু পুত্রের আশীর্বাদ তো মেলেই, সেই সঙ্গে আরও একাধিক উপকার পাওয়া যায়, যে সম্পর্কে এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
বিপরীত
মত:
পুরানে
অনুসারে
হনুমানজি
যেহেতু
ব্রহ্মচারী
ছিলেন,
তাই
অনেকেই
এমনটা
বিশ্বাস
করেন
যে
মারুথির
মন্দিরে
বিবাহ
পূর্বে
মেয়েরা
প্রবেশ
করলে
তার
ব্রহ্মচর্যে
দাগ
পরতে
পারে।
তাই
তো
এমন
নিয়মকে
সামনে
আনা
হয়েছে।
তবে
এর
বিপরীত
মতেরও
সন্ধান
পাওয়া
যায়।
যেখানে
এমনটা
বিশ্বাস
করা
হয়
যে
অবিবাহিত
মেয়েরা
মন্দিরে
এসে
আর
বাকি
পাঁচ
জনের
মতো
দেবের
আরাধনা
করতেই
পারেন,
কিন্তু
ভুলেও
দেবের
মূর্তি
ছোঁয়া
যাবে
না।
কিন্তু
বাকি
পুজো
সম্পর্কিত
যে
কোনও
কাজেই
অংশ
গ্রহন
করা
চলতে
পারে।
হনুমান
চল্লিশার
শক্তি:
হনুমানজিকে
ছোঁয়া
যাবে,
কী
যাবে
না
সেই
বিতর্কে
না
পারে
অবিবাহিত
মহিলারা
যদি
প্রতিদিন,
বিশেষত
মঙ্গলবার
হনুমান
চল্লিশা
পাঠ
করতে
পারেন,
তাহলে
কিন্তু
দারুন
সব
উপকার
পেতে
পারেন,
যেমন
ধরুন...
১. যে কোন বাঁধার পাহাড় সরে যাবে:
কথায় বলে জীবনে যত বাঁধা আসে, তত মানুষ দিসেবে আমাদের উন্নতি ঘটে। কিন্তু কখনও সখনও এমন বাঁধা আসে যে সে সময় কী করা উচিত, তা ভেবে পাওয়া যায় না। এমন পরিস্থিতিতে হনুমান চল্লিশা পাঠ করলে বাঁধার পাহাড় সরতে সময়ই লাগে না। তাই বলি বন্ধু , কোনও সমস্যায় যদি বহুদিন ধরে ফেঁসে থাকেন, তাহলে আজ থেকেই হনুমান চল্লিশা পড়া শুরু করুন। দেখবেন হাতে-নাতে ফল পাবেন।
২. খারাপ শক্তির কারণে কোনও ক্ষতি হবে না:
একথা অনেকেই বিশ্বাস করেন যে আমাদের চারপাশে ঘোরাফেরা করা আত্মা বা নেগেটিভ এনার্জি নানাভাবে আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা চালিয়ে যায়। এমন ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে নিয়মিত হনুমান চল্লিশা পড়া উচিত। কারণ হনুমানের ভয়ে যে কোনও ধরনের নেগেটিভ শক্তি দূরে থাকতে বাধ্য হয়। শুধু তাই নয়, আমাদের বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়-স্বজনদের খারাপ দৃষ্টি থেকে বাঁচতেও হনুমান চল্লিশা সাহায্য করে থাকে। এবার বুঝতে পরেছেন তো দৈনন্দিন জীবনের টানাপোড়েনের মাঝেও সুখে থাকতে হনুমানজির সঙ্গ নেওয়ার প্রয়োজন কতটা!
৩. গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে উঠবে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি মঙ্গলবার হনুমান চল্লিশা পাঠ করা শুরু করলে খারাপ ভাগ্যের প্রকোপ কাটতে শুরু করে। ফলে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। আর এমনটা যখন হয়, তখন চরম সাফল্যের স্বাদ পেতে সময় লাগে না!
৪. মনের জোর বাড়বে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি মঙ্গলবার যদি হনুমান চল্লিশা পাঠ করা যায়, তাহলে মনের অন্দরে লুকিয়ে থাকা ভয় কাটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে মনের জোর এতটা বেড়ে যায় যে কোনও বাঁধা পেরতেই সময় লাগে না। ফলে চলার পথটা বেজায় সহজ হয়ে যায় বৈকি।
৫. স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমবে:
পরিসংখ্যানের দিকে নজর ফেরালে দেখতে পাবেন আজকের ডেটে যে যে মারণ রোগের প্রকোপ চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পয়েছে, সেই সবকটি রোগের সঙ্গেই স্ট্রেসের সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই সুস্থভাবে যদি বাঁচতে চান, তাহলে স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদকে বাগে আনতেই হবে। আর এই কাজটি করবেন কীভাবে? খুব সহজ! নিয়মিত হনুমান চল্লিশা পাঠ করা শুরু করুন। দেখবেন স্ট্রেস লেভেল তো কমবেই, সেই সঙ্গে মনও খুশিতে ভরে উঠবে।
৬. বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হবে:
হনুমান জি তাঁর ভক্তদের বেজায় ভালবাসেন। তাই তো নিয়মিত হনুমান চল্লিশা পাঠ করলে অথবা হনুমান চল্লিশা শুনলে যে কোনও ধরনের অর্থনৈতিক কষ্ট কমে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে পরিবারে সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধির আগমণ ঘটে। প্রসঙ্গত, অনেকেই আমাদের উপর খারাপ দৃষ্টি দিয়ে থাকেন। এই কু-দৃষ্টির প্রভাব কাটতে সময় লাগে না যদি নিয়মিত হানুমান চল্লিশা পাঠ করা যায় তো। শুধু তাই নয়, জীবনের যে কোনও বাঁকে কেনও ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়।
৭. সাড়ে সাতির প্রকোপ কমবে নিমেষে:
একথা তো সবারই জানা আছে যে শনির মহাদশা চললে জীবনে কোনও কিছুই ঠিক মতো চলে না। একের পর এক বাঁধায় দুর্বিসহ হয়ে ওঠে জীবন। এমন পরিস্থিতিতে সুখের সন্ধান দিতে পারে একমাত্র হনুমানজি। বিশেষজ্ঞরা বলেন নিয়মিত হনুমান চল্লিশা পড়া শুরু করলে শনির দশা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে নানাবিধ বাঁধার জাল থেকেও মুক্তির সন্ধান মেলে।
৮. মনের সব ইচ্ছা পূরণ হবে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি মঙ্গলবার হনুমান জি-এর পুজো করার পাশাপাশি হনুমান চল্লিশা পাঠ করলে মনের ছোট তেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, নিয়মিত দেবের আরাধনা করলে মনের মতো চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ে।
৯. খারাপ কর্মের ফল থেকে মুক্তি মিলবে:
যেমন কর্ম, তেমন ফল! লোকেরা ভাল করবেন তো আপনার সঙ্গেও ভাল হবে, আর যদি খারাপ করেন, তাহলে শাস্তির জন্যও প্রস্থুত থাকতে হবে। কিন্তু নিজের ভুল বুঝে খারাপ কর্মের ফল থেকে যদি নিস্তার পেতে চান, তাহলে নিয়মিত রাত্রে বেলা ভাল করে হাত-পা ধুয়ে হনুমান চল্লিশার প্রথম ধাপটা কম করে ৮ বার পড়া শুরু করুন। নিয়মিত এমনটা করলে দেখবেন আপনার কোনও ক্ষতি হবে না। সেই সঙ্গে মুক্তি মিলবে পাপের জাল থেকেও।
১০. মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে:
শাস্ত্র মতে হনুমান জি-এর পুজো করা শুরু করলে ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে বুদ্ধির বিকাশ ঘটতেও সময় লাগে না। আর বুদ্ধির ধার বাড়তে শুরু করলে চাকরি হোক কী ব্যবসা, যে কোনও ক্ষেত্রেই সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। প্রসঙ্গত, একই সুফল মেলে হনুমান চল্লিশা পাঠ করলেও।