Just In
- 2 hrs ago
আজকের রাশিফল : ২১ জানুয়ারি ২০২১
- 11 hrs ago
ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করুন কর্পূর ও মুলতানি মাটির ফেস প্যাক, দেখুন কীভাবে বানাবেন
- 15 hrs ago
খেলতে খেলতে চোট লেগেছে? এই পদ্ধতি প্রয়োগে নিমেষেই কমবে ব্যথা!
- 18 hrs ago
বুধ প্রবেশ করতে চলেছে কুম্ভ রাশিতে, জানুন এটি ১২টি রাশির উপর কেমন প্রভাব ফেলবে
Don't Miss
ভাইফোঁটা ২০২০ : কেন পালন করা হয় ভাইফোঁটা? জানুন ফোঁটা দেওয়ার দিন ও শুভ সময়
হিন্দুদের আরেকটি উৎসব হল ভাইফোঁটা। প্রতিবছর কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবের ভ্রাতৃদ্বিতীয়া নামেও পরিচিত। এই বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে ১৬ নভেম্বর, সোমবার ভাইফোঁটা উদযাপিত হবে। গোটা দেশ জুড়েই পালিত হয় এই উৎসব। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই উৎসব বিভিন্ন নামে পরিচিত। হিন্দিভাষীদের কাছে 'ভাইদুজ', বাঙালিদের 'ভাইফোঁটা', মহারাষ্ট্রে 'ভৌ বিজ' , দক্ষিণ ভারতে 'যমদ্বিতীয়া' আবার নেপাল ও পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলে এই উৎসব 'ভাইটিকা' নামে পরিচিত।
এটি ভাই-বোনের অটুট বন্ধনের উৎসব। সারাবছর ধরে এই দিনটার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে ভাই-বোনেরা। পুরো বছরে হয়ে আসা রাগ-অভিমান, দুঃখ-কষ্ট, ঝগড়া, খুনসুটি, সেই ভাইয়ের মঙ্গল কামনার জন্য কপালে ফোঁটা দেওয়ার অপেক্ষায় থাকে বোনেরা। পশ্চিমবঙ্গে ভাইফোঁটা একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠান হলেও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে পালিত হয়।

২০২০ সালে ভাইফোঁটার তারিখ এবং শুভ সময়
২০২০ সালে ভাইফোঁটা উদযাপিত হবে ১৬ নভেম্বর, সোমবার।
ভাইফোঁটা অপরাণ্হ সময় - বেলা ১২টা ২৮ মিনিট থেকে দুপুর ২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত
দ্বিতীয়া তিথি শুরু - ১৬ নভেম্বর, সকাল ৭টা ০৬ মিনিটে
দ্বিতীয়া তিথি শেষ - ১৭ নভেম্বর, ভোর ০৩টা ৫৬ মিনিটে

ভাইফোঁটা উদযাপন করার পদ্ধতি
ভাইফোঁটার দিন বোন বা দিদিরা তাদের দাদা বা ভাইদের কপালে কনিষ্ঠা আঙুল দিয়ে দই বা চন্দনের ফোঁটা দেয় এবং ছড়া কেটে বলে -
"ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা।
যমুনা দিল যমকে ফোঁটা, আমি দিয়ে আমার ভাইকে ফোঁটা।"
এই শ্লোক বাক্যের মাধ্যমে বোনেরা তার ভাইদের কপালে তিনবার ফোঁটা দেয়। এরপর বোন তার ভাইয়ের মাথায় ধান এবং দুর্বা ঘাসের শীষ রাখে। এই সময় শঙ্খ বাজানো এবং উলুধ্বনি দেওয়া হয়। এরপর দিদি তার ভাইকে আশীর্বাদ করে এবং বোন ভাইকে প্রণাম করে আর ভাই বোনকে আশীর্বাদ করে থাকে। এইভাবে বোনেরা ভাইয়ের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে। তারপর ভাইকে মিষ্টি খাওয়ায়। ভাই-বোনের মধ্যে উপহার আদান-প্রদান হয়। তবে ভাইফোঁটার নিয়ম পরিবারের রীতিনীতিভেদে পরিবর্তিত হয়ে থাকে।

ভাইফোঁটার পৌরাণিক কাহিনী
এই উৎসবের আরও একটি নাম হল যমদ্বিতীয়া। কথিত আছে, এই দিন মৃত্যুর দেবতা যম তাঁর বোন যমুনার হাতে ফোঁটা নিয়েছিলেন। আশীর্বাদ স্বরূপ যম তার বোনকে বরদান করে বলেছিলেন, বোনের কাছ থেকে যারাই ফোঁটা নেবে তাদের নরক যাত্রা থেকে মুক্তি লাভ হবে।
ভাইফোঁটার আরেকটি কাহিনী হল, নরকাসুর নামে এক দৈত্যকে বধ করার পর যখন কৃষ্ণ তাঁর বোন সুভদ্রার কাছে আসেন, তখন সুভদ্রা তার কপালে ফোঁটা দিয়ে তাঁকে মিষ্টি খেতে দেন। সেই থেকে ভাইফোঁটা উৎসবের প্রচলন হয়।