Just In
Bhai Phonta: ভাইফোঁটায় চন্দন ও দইয়ের ফোঁটা কেন দেওয়া হয়? জেনে নিন আসল কারণ!
আজ ভাইফোঁটা। ভাই-বোনের মধুর সম্পর্ক উদযাপনের উৎসব। কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে অনুষ্ঠিত হয় ভাইফোঁটা। এই দিন বোনেরা ভাইদের কপালে ফোঁটা দিয়ে তাদের সুখ-শান্তি এবং দীর্ঘায়ুর জন্য প্রার্থনা করে, অন্যদিকে ভাইরাও বোনেদের প্রতি স্নেহ বর্ষণ করে। ভাইফোঁটা তাই সকল ভাইয়ের, সকল বোনের অনুষ্ঠান। পারিবারিকভাবে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
ভাইফোঁটার দিন বোনেরা ভাই বা দাদার কপালে চন্দন, কাজল ও দইয়ের ফোঁটা পরিয়ে তাঁদের মঙ্গল কামনা করে। কিন্তু জানেন কি কেন ভ্রাতৃদ্বিতীয়ায় চন্দন, দই ও কাজলের ফোঁটা দেওয়া হয়? আসুন জানা যাক...
ভাইফোঁটায় চন্দন, দই ও কাজলের ফোঁটা দেওয়ার কারণ
বিভিন্ন ঘরোয়া কাজে ও পুজো পার্বণে হাজার হাজার বছর ধরে চন্দনের ব্যবহার হয়ে আসছে। ভাইফোঁটায় ভাইয়ের কপালে চন্দনের ফোঁটা দেওয়া চলও বহুদিন ধরে প্রচলিত। কপালে চন্দনের ফোঁটা দিলে মাথা ঠান্ডা থাকে, ধৈর্য শক্তি বৃদ্ধি পায়, মন শান্ত থাকে এবং একাগ্রতা বাড়ে। হাজার হাজার বছর আগে মুনি ঋষিরা চন্দনের এই গুণাগুণ সম্পর্কে জানতে পারেন এবং তাঁদের হাত ধরেই চন্দনের তিলক দেওয়ার বিধি চালু হয়েছে।
চন্দনের এই অদ্ভুত গুণের জন্য ঈশ্বরের প্রতি মন নিবিষ্ট রাখতে পারা যায়। তাই সাধারণত মন্দির বা কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ভক্তদের কপালে চন্দনের তিলক দেওয়া হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন : কেন বাম হাতের কড়ে আঙুল দিয়ে ভাইফোঁটা দেওয়া হয়? জেনে নিন এর আসল কারণ
কেবলমাত্র চন্দনের মধ্যেই এই গুণাগুণ নেই, দইয়েরও এই একই গুণ রয়েছে। তাছাড়া, হিন্দুধর্মে দইকে শুভ বলে মনে করা হয়। যেকোনও শুভ কাজে দইয়ের ব্যবহার হয়ে থাকে। তাই ভাইফোঁটায় ভাইয়ের কপালে দই ও চন্দনের ফোঁটা দেওয়া হয়।
দই, চন্দন ছাড়াও ভাইফোঁটায় কাজলের ব্যবহারও হয়ে থাকে। বিশ্বাস করা হয় যে, কাজল নজর দোষ কাটায়। তাই, কুনজর থেকে দাদা বা ভাইকে রক্ষা করতে ভ্রাতৃদ্বিতীয়ায় কাজলের ফোঁটা দেওয়ার চল আছে।