Just In
- 16 min ago কাঠফাটা গরমে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করবে এই ফলগুলি!
- 2 hrs ago নতুন কাজে সাফল্য বৃষ ও কর্কটের, ৫ রাশির জন্য শুভ আজকের দিন, জানতে দেখুন রাশিফল
- 18 hrs ago অতিরিক্ত দই, বিস্কুট খাচ্ছেন? আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, সতর্ক থাকুন
- 19 hrs ago গরম থেকে বাঁচতে দেদার খাচ্ছেন ডাবের জল? ডেকে আনছেন না তো বড় বিপদ!
গণেশ ঠাকুরের পঞ্চমুখি বিনায়ক রুপের অরাধনা করলে কী কী উপকার মিলতে পারে জানা আছে?
বাপ্পার প্রায় ৩৫ টি অবতার রয়েছে, যার অন্যতম এবং সবথেকে শক্তিশালী রূপ হল এই পঞ্চমুখি বিনায়ক অবতার।
বাপ্পার প্রায় ৩৫ টি অবতার রয়েছে, যার অন্যতম এবং সবথেকে শক্তিশালী রূপ হল এই পঞ্চমুখি বিনায়ক অবতার। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই বিশেষ রূপটির মূর্তি বা ছবি বাড়িতে প্রতিষ্টিত করে নিয়মিত মোদক সহকারে আরাধনা করলে সবর্শক্তিমান এতটাই প্রসন্ন হন যে নানাবিধ সুফল মিলতে শুরু করে, যে সম্পর্কে এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
"পঞ্চমুখ" কথার অর্থ হল পাঁচটি মুখ। আর দেবের এই এক একটা মুখ আমাদের এক একটি ইন্দ্রিয়ের প্রতীক, যাকে শাস্ত্রে "পঞ্চ কোষ" বলা হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, এই পাঁচটি কোষ হল যথাক্রমে- অনামায়া কোষ, প্রণমায়া কোষ, মনোমায়া কোষ, বিগ্মমায়া কোষ এবং আনন্দমায়া কোষ।
অনামায়া কোষ বলতে হিন্দু শাস্ত্রে আমাদের শরীরের বাইরের অংশটিকে বোঝানো হয়ে থাকে। যেখানে প্রণমায়া কোষ হল আমাদের দেহের অন্দরের শক্তি, যাকে শাস্ত্রে পজেটিভ এনার্জির হিসেবে বিবেচিত করা হয়েছে। মনোমায়া কোষ হল মানসিক শক্তি বা মেন্টাল বডি। বিগ্নময়া কোষ বলতে আমাদের সচেতনতাকে বোঝানো হয়ে থাকে। আর সব শেষে আনন্দমায়া কোষ হল স্পিরিচুয়াল পাওয়ার, যাকে অনেকে "কসমিক ব্লেস" বলেও অনেকে চিনে থাকেন। এখন প্রশ্ন হল এত শক্তির আধার হিসেবে পিরিচিত এই রূপের আরাধনা শুরু করলে কী কী উপকার মিলতে পারে? প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে দেবের আশীর্বাদে সাধারণ যে যে সুফলগুলি মেলে, সেগুলি হল...
১. কর্মজীবন সংক্রান্ত দুশ্চিন্তা দূর হয়:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে অফিস ডেস্কে পঞ্চমুকি গণেশ ঠাকুরকে জায়গা করে দিলে আশেপাশে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে যে তার প্রভাবে মানসিক অশান্তি যেমন দূর হয়, তেমনি প্রতিপক্ষদের নানাবিধ ক্ষতি করার আশঙ্কাও যায় কমে। ফলে স্ট্রেস লেভেল কমে যাওয়ার কারণে শরীর এবং মন চাঙ্গা হয়ে উঠতেও সময় লাগে না।
২. পরিবারিক অশান্তি সব মিটে যায়:
শাস্ত্র মতে বাড়ির পূর্ব দিকে পঞ্চমুখি গণেশ ঠাকুরকে প্রতিষ্টা করে নিয়মিত তাঁর আরাধনা করলে গৃহস্থের প্রতিটি কোণায় পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে গৃহস্থের অন্দরে জায়গা করে নেওয়া অশান্তি এবং কলহ মিটে যায় চোখের পলকে। তাই তো বলি বন্ধুরা, পরিবারের সবাইকে নিয়ে যদি সুখ-শান্তিতে এবং অনন্দে কাটাতে চান বাকি জীবনটা, তাহলে পঞ্চমুখি বিনায়েকের আরাধনা করতে ভুলবেন না যেন!
৩. যে কোনও বাঁধা কেটে যায়:
কর্মজীবন হোক কী দৈনন্দিন জীবন, নিয়মিত নানাবিধ বাঁধার সম্মুখিন তো আমাদের হতেই হয়। আর কোনও কোনও সময় এই বাঁধা এমন রূপ নেয় যে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠতে সময় লাগে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সুখ-শান্তি সব দূরে পালায়। এমন পরিস্থিতিতে সুখেক সন্ধান দিতে পারেন একমাত্র গণেশ ঠাকুর। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে পঞ্চমুখি বিনায়কের আরাধনা শুরু করলে দেবের আশীর্বাদে যে কোনও ধরনের বাঁধা কেটে যেতে সময় লাগে না। ফলে জীবন পথটা যে অনেকটাই সহজ হয়ে যায়, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে!
৪. মিরাকেল ঘটে চোখের সামনে:
আজকের একুশ শতকের যুব সমাজ হয়তো মিরাকেলে বিশ্বাস রাখেন না। কিন্তু একথা মানতেই হবে যে এখনও আমরা এমন উচ্চতায় পৌঁছে যায়নি যে দেবের শক্তিকে অমান্য করতে পারি। তাই তো বলি বন্ধু, চর্ম চক্ষে যদি মিরাকেল দেখতে চান, তাহলে আজই বাড়িতে পঞ্চমুখি গণেশ ঠাকুরের ছবি এনে রাখতে ভুলবেন না যেন। বিশ্বাস করুন এমনটা করলে সত্যি সত্যি চোখের সামনে এমন সব ঘটনা ঘটতে দেখতে পাবেন, যা বাস্তবিকই আপনার জীবনকে দেখবেন একেবারে বদলে দেবে।
৫. যে কোনও বিপদ কেটে যায় চোখের পলকে:
এবার থেকে যখনই কানও বিপদে পরবেন, তা ছোট হোক কী বড়, তখনই পঞ্চমুখি বিনায়কের নাম নেবেন, দেখবেন বিপদ কেটে যেতে সময় লাগবে না। আসলে দেবের অরাধনা করার সময় গৃহস্থের প্রতিটি কোণায় এত মাত্রায় পজেটিভ শক্তির বিকাশ ঘঠে যে খারাপ শক্তির প্রভাব কমে যেতে সময় লাগে না। আর এমনটা যখন হয়, তখন বিপদও দূরে থাকতে বাধ্য হয়।
৬. গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে:
"লাক", মাত্র দুটো অক্ষর। কিন্তু আমাদের প্রত্যেকের জীবনে এর প্রভাব কতটা, তা নিশ্চয় আর আলাদা করে বলে বোঝাতে হবে না। তাই তো বলি বন্ধু, গুডলাককে যদি নিজের সঙ্গী বানাতে হয়, তাহলে প্রতি বুধবার দেবের এই বিশেষ রূপের আরাধনা করতে ভুলবেন না যেন! কারণ এমনটা করলে গৃহস্তের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে গুড লাক সঙ্গ নিতে সময় লাগে না। আর এমনটা যখন হয়, তখন জীবনের ছবিটা যে নিমেষে বদলে যায়, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে!
৭. কর্মক্ষেত্রে পদন্নতি ঘটবে চোখে পরার মতো:
প্রতিদিন দিন দেবের পুজো করার পর সিঁদুরের সঙ্গে তেল মিশিয়ে তা রুপো বা সোনার কয়েনের উপর লাগিয়ে গণেশ ঠাকুরের সামনে রাখতে হবে। এমনটা করলে দেখবেন কর্মক্ষেত্রে পদন্নতি মিলতে সময় লাগবে না। শুধু তাই নয়, জীবনে চলার পথে সামনে আসা যে কোনও সমস্যা মিটে যাবে চোখের নিমেষে। প্রসঙ্গত, যারা মনের মতো চাকরির সন্ধান করছেন তারাও যদি এই নিয়মিত পঞ্চমুখি গণেয ঠাকুররে পুজো করেন, তাহলে মনের ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগবে না দেখবেন।
৮. যে কোনও নতুন কাজে সফলতা আসবে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে কোনও নতুন কাজ শুরু করার আগে যদি "ওম গাম গনপাতায়ে নমহঃ," এই মন্ত্রটিও পাঠ করতে করতে বাপ্পার এই বিশেষ রূপের আরাধনা করা যায়, তাহলে সেই কাজে সফলতা আসে চোখের পলকে।
৯. চরম অর্থনৈতির সমৃদ্ধির স্বাদ মিলবে :
অনেকের মতো আপনিও নিশ্চয় বড়লোক হতে চান? তাহলে প্রতি বুধবার সকাল সকাল উঠে স্নান সেরে হলুদ রঙের জামা পরে পঞ্চমুখি গণেশ ঠাকুরের ছবি বা মূর্তির সামনে একটা প্রাদীপ জ্বালাতে হবে। সঙ্গে তাঁর কপালে সিঁদুর লাগিয়ে "সিন্ধুরন শ্বভূম রক্তবিন্দু শুভদন কামদন চাউ সি সিন্ধুরন প্রতিঘরেয়তম ...", এই মন্ত্রটি জপ করতে হবে। এর পর বাক্রাতুন্ডা গণেশ মন্ত্র পাঠ করে শেষ করতে হবে পুজো। এইভাবে প্রতি বুধবার দেবের আরাধনা করলে দেখবেন অনেক অনেক টাকায় পকেট ভরে উঠতে সময় লাগবে না।
১০. স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার সম্পর্কের উন্নতি ঘটবে:
যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে পঞ্চমুখি গণেয ঠাকুরের পুজো করা শুরু করলে যে কোনও বাঁধার পাহাড় সরে যায়, আর সেই বাঁধা সম্পর্কের হতে পারে, হতে পারে অন্য কিছুরও। তাই তো বলি বন্ধু, ভালবাসার মানুষটির সঙ্গে যদি আনন্দে থাকতে চান, তাহলে প্রতি বুধবার বাক্রাতুন্ডা গণেশ মন্ত্রটি কম করে ১০৮ বার পাঠ করতে করতে করতে বাপ্পার আরাধনা করতে ভুলবেন না যেন!
১১. রোগ-ব্যাধি দূরে ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না:
শাস্ত্র মতে পঞ্চমুখি গণেশ ঠাকুরের কপালে সিঁদুর লাগিয়ে বাপ্পার আরাধনা করলে দেবের আশীর্বাদে গৃহস্থের অন্দরে এত মাত্রায় পজেটিভ শক্তির বিকাশ ঘটে যে শরীরে বাসা বেঁধে থাকা ছোট-বড় নানা রোগ ব্যাধি দূরে পালায়। সেই সঙ্গে হারিয়ে যাওয়া সুখ-শান্তিও ফিরে আসে।