Just In
- 13 hrs ago রোদে বের হলেই মাথা যন্ত্রণা কাবু করে? মাইগ্রেন নয় তো!
- 13 hrs ago শুধু ফ্যাশন নয়, প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে পরুন সানগ্লাস!
- 16 hrs ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 19 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
প্রতি শুক্রবার ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে সবারই তারা মায়ের পুজো করা উচিত কেন জানা আছে?
মায়ের আশীর্বাদে একাধিক অ্যাস্ট্রোলজিকাল প্রবেলম দূর হয়।
শাস্ত্র মতে শুক্রবার হল মাতৃশক্তির অরাধনা করার দিন। আর এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এদিন মাতৃশক্তির সবথেকে শক্তিশালী রূপ, তারা মায়ের অরাধনা করার পাশাপাশি তারা মান্ত্র জপ করলে গৃহস্থের প্রতিটি কোণায় পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা থাকে না বললেই চলে। সেই সঙ্গে মায়ের আশীর্বাদে একাধিক অ্যাস্ট্রোলজিকাল প্রবলেম মেটে এবং অন্যান্য অনেক উপকার পাওয়া যায়। তাই তো বলি বন্ধু, মা তারার আশীর্বাদে জীবনের প্রতিটা দিন অফুরন্ত অনন্দে ভরে উঠুক, এমনটা যদি চান, তাহলে এই লেখাটি পড়তে ভুলবেন না যেন!
পাচীন পুঁথি অনুসারে মাতৃশক্তির মা তারা রূপের আর্বিভাব ঘটেছিল সমুদ্র মন্থনের সময়। সমুদ্র গর্ভ থেকে উঠে আসা বিষ পান করে মহাদেব অচৈতন্য হয়ে পরেছিলেন। সে সময় মা পার্বতী, তারা মায়ের রূপে সেখানে আর্বিভূত হয়ে দেবাদিদেবকে দুধ পান করানো মাত্র জ্ঞান ফিরে আসে শিব ঠাকুরের। সেই থেকেই মায়ের এই বিশেষ রূপের অরাধনা করা হয়ে আসছে। প্রসঙ্গত, যারা তন্ত্র সাধনা করে থাকেন তাদের মতে মা তাঁর নিজ ভক্তদের খুব ভালোবাসেন। তাই তো মন থেকে তাঁর নাম নিলে মনের ছোট থেকে ছোটতর সব ইচ্ছা পূরণ হতে যেমন সময় লাগে না, সেই সঙ্গে আরও একাধিক উপকার পাওয়া যায়। যেমন ধরুন...
১. সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে পরিবারে:
প্রতি শুক্রবার জবা ফুল নিবেদন করে এক মনে মায়ের পুজো করলে সারা বাড়িতে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে বাস্তু দোষ কেটে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে সুখের ঝাঁপিও ভরে ওঠে। শুধু তাই নয়, সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়াও লাগে পরিবারে। ফলে কোনও প্রিয় জনেদের সঙ্গে কোনও ধরনের ঝামেলা বা কলহে জড়িয়ে পরার আশঙ্কা যায় কমে। এবার বুঝেছেন তো তারা মায়ের আরাধনা করার প্রয়োজন কতটা।
২. ব্যবসায় উন্নতি হয়:
যারা কোনও না কোনও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, তারা নিয়মিত মা তারার আরাধনা করতে ভুলবেন না যেন! কারণ এমনটা করলে দেবী এতটাই প্রসন্ন হন যে তাঁর আশীর্বাদে ব্যবসায় চরম উন্নতি লাভের পথ প্রশস্ত হতে সময় লাগে নায। সেই সঙ্গে চাকরি ক্ষেত্রেও পদন্নতির সম্ভাবনা যায় বেড়ে। তাই তো বলি বন্ধু, কর্মক্ষেত্রে চটজলদি উন্নতির স্বাদ যদি পেতে চান, তাহলে মা তারার শরণাপন্ন হতে দেরি করবেন না যেন!
৩. সামাজিক সম্মান বৃদ্ধি পায়:
পুরান অনুসারে এক মনে মায়ের শক্তি রূপের অরাধনা করার পাশাপাশি এক মনে ১০০৮ বার তারা মন্ত্র জপ করলে দেবী বেজায় প্রসন্ন হন। ফলে মায়ের দয়ায় নানাবিধ উপকার তো পাওয়া যায়ই, সেই সঙ্গে সামাজিক সম্মানও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।
৪. প্রতিপক্ষদের নিকেশ ঘটে:
নানা কারণে একাধিক লোক কি আপনার ক্ষতি করতে চায়? তাহলে অবশ্যই তারা মায়ের অরাধনা করতে ভুলবেন না যেন! কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে মা তাঁর ভক্তদের উপর সারাক্ষণ নজর রাখেন। ফলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যেমন থাকে না, তেমনি প্রতিপক্ষ বা যারা আপনার ক্ষতি করতে চায়, তাদের নিকেশ ঘটতেও সময় লাগে না। তাই তো বলি পাঠক বন্ধু, নিজেকে এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের যদি বাকি জীবন নিরাপদে রাখতে চান, তাহলে মা তারার অরাধানা করতে ভুলবেন না যেন!
৫. বৃহস্পতি গ্রহের দোষ কেটে যায়:
জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে নিয়মিত মা তারার অরাধনা করলে ধীরে ধীরে বৃহস্পতি গ্রহের খারাপ প্রভাব কেটে যেতে শুরু করে। ফলে এমন গ্রহ দোষের কারণে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আর থাকে না বললেই চলে। প্রসঙ্গত, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে জন্ম কুষ্টিতে বৃহস্পতি গ্রহের অবস্থান বিগড়ে গেলে অর্থনৈতিক সমস্যা তো দেখা দেয়ই, সেই সঙ্গে পারিবারিক জীবনেও নানা অশান্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। ফলে মানসিক শান্তির বারোটা বাজে যায়।
৬. হঠাৎ করে খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা কমে:
শাস্ত্র মতে নিয়মিত মায়ের আরাধনা করলে একদিকে যেমন অকাল মৃত্যুর সম্ভবনা কমে, তেমনি আশেপাশে খারাপ শক্তির প্রভাব কমে যাওয়ার কারণে কোনও ধরেনর বিপদ ঘটার আশঙ্কাও আর থাকে না।
৭. অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কমে:
একবার যদি মায়ের নেক নজর আপনার উপর পরে, তাহলে টাকা-পয়সা সংক্রান্ত নানা ঝামেলা মিটে যেতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি মায়ের আশীর্বাদে অল্প সময়েই অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে ওঠার স্বপ্নও পূরণ হয়। তাই তো বলি বন্ধু, ৩০ পেরতে না পেরতেই যদি অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে উঠতে চান, তাহলে প্রতি শুক্রবার মা তারার আরাধনা করতে ভুলবেন না যেন!
৮. ভূত-প্রেতেরা দূরে থাকে:
শুনতে হয়তো আজব লাগতে পারে, কিন্তু একথা অনেকেই বিশ্বাস করেন যে মা তারার অরাধনা করলে গৃহস্থের অন্দরে খারাপ শক্তির প্রবেশ যেমন আটকে যায়, তেমনি ভূত-প্রেতেরাও ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। আর যেমনটা আপনাদের সকলেই জানা আছে যে খারাপ শক্তির প্রভাব যত কমে, ততই মঙ্গল।
৯. পিতৃ দোষ কেটে যায়:
কারও জন্ম কুষ্টিতে পিতৃ দোষের যোগ থাকলে কিন্তু চিন্তার বিষয়। কারণ পিতৃ দোষ চলাকালীন একের পর এক সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। বিশেষত টাকা-পয়সা সংক্রান্ত নানা ঝামেলা তো লেজুড় হয়ই, সেই সঙ্গে চাকরি ক্ষেত্রে সমস্যা এবং পরিবারিক অশান্তিও দেখা দেয়। ফলে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠতে সময় লাগে না। এই কারণেই তো বলি বন্ধু, যাদের জন্ম কুষ্টিতে পিতৃ দোষের যোগ রয়েছে, তারা দয়া করে তারা মায়ের আরাধনা করতে ভুলবেন না যেন! কারণ এমন বিশ্বাস রয়েছে যে নিয়মিত মায়ের আরাধনা করলে পিতৃ দোষ কেটে যেতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি শনির কুপ্রভাবও কমে চোখে পরার মতো।
তারা মা মন্ত্র:
মায়ের পুজো করার পর দেবীর ছবি বা মূর্তির সামনে বসে এক মনে "ওম হ্রিং শ্রিং হাম ফট", এই মন্ত্রটি ১০০৮ বার পাঠ করতে হবে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে একটা কথা জেনে রাখা উচিত যে শুক্রবারের পাশাপাশি যদি প্রতিদিন এই মন্ত্রটি জপ করা যায়, তাহলে আরও দ্রুত ফল মেলার সম্ভাবনা যায় বেড়ে।