Just In
- 16 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 17 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 20 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 22 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
শনির দোষ থাকলে প্রতি সোমবার শিবের পিপলাদ অবতারের পুজো করা উচিত কেন জানা আছে?
শাস্ত্র মতে নিয়মিত পিপলাদ অবতারের আরাধনা করলে শুধু যে শনির দোষ কেটে যায়, এমন নয়। সেই সঙ্গে আরও হরেক উপকার মেলে। যেমন ধরুন...
দেবাদিদেব নানা অবতারে নানা সময় এসে আমাদের উদ্ধার করেছেন। তিনি আমাদের রক্ষাকর্তা। এ জীবন এবং এই প্রাণের মুক্তির পথ দেখান তো উনিই। কারণ দেবাদিদেবের থেকে শক্তিশালী আর কে আছেন বলুন। তাই তো একবার সর্বশক্তিমানের মন জয় করে নিতে পারলে সেই তুমুল শক্তি আপনার উপকার করতে লেগে যায়। ফলে একের পর এক সুফল পেতে সময়ই লাগে না। যেমন দেবের "পিপলাদ" অবসারের কথাই ধরুন না। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি সোমবার ফুল-মালা এবং প্রসাদ সহযোগে যদি শিব ঠাকুরের এই বিশেষ রূপটির আরাধনা করা হয়, তাহলে শনি গ্রহের কু-প্রভাব পরার আশঙ্কা আর থাকে না বললেই চলে। সেই সঙ্গে সর্বশক্তিমানের আশীর্বাদে শনির সাড়ে সাতির প্রভাবও সময়ের আগেই কেটে যায়। ফলে নানাবিধ দুঃখে জ্বলে জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠার আশঙ্কা যায় কমে। এই কারণেই বলছি পাঠক বন্ধুরা, যাদের কুষ্টিতে শনির দোষ রয়েছে, তারা তো পিপলাদ অবতারের পুজো করা মাস্ট! তবে সেই সঙ্গে আমার-আপনারও প্রতি সপ্তাহে দেবাদিবের এই বিশেষ রূপের আরাধনা করা উচিত। কিন্তু কেন?
শাস্ত্র মতে নিয়মিত পিপলাদ অবতারের আরাধনা করলে শুধু যে শনির দোষ কেটে যায়, এমন নয়। সেই সঙ্গে আরও হরেক উপকার মেলে। যেমন ধরুন...
১. গ্রহ দোষ সব কেটে যায়:
এমন বিশ্বাস রয়েছে যে ঘি, মধু এবং বেলপাতা সহকারে প্রথমে দেবকে স্নান করিয়ে তারপর এক মনে শিবের নাম নিলে দেব এতটাই প্রসন্ন হন যে গ্রহ দোষ কেটে যেতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, জন্মকুষ্টি খেয়াল করে দেখলে জানতে পারবেন আমাদের সবারই কম-বেশি গ্রহদোষ থাকে। আর এই কারণে জীবনের নানা সময় নানা সমস্যায় পরতে হয়। কিন্তু মনে বিশ্বাস নিয়ে যদি প্রতি সোমবার শিব ঠাকুরের পিপলাদ রূপের অরাধনা করতে পারেন, তাহলে এমন সব গ্রহ দোষ কেটে যেতে দেখবেন যেমন সময় লাগবে না, তেমনি গ্রহদের খারাপ প্রভবে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও যাবে কমে।
২. ধন-সম্পদের ছোঁয়া লাগে জীবনে:
শাস্ত্রে বলে লক্ষ জন্ম পেরিয়ে পাওয়া যায় এই মানব জীবন। আর এই এক জীবনে একটু টাকার মুখ দেখতে কে না চায় বলুন...! সেই দলে যদি আপনিও থাকেন, তাহলে দেবাদিদেবের শরণাপন্ন হতে দেরি করবেন না যেন! কারণ প্রতি সোমবার "ওম নম শিবায়", এই মন্ত্রটি ১০৮ বার জপতে জপতে পিপলাদ অবতারের পুজো করলে আমাদের আশেপাশে উপস্থিত খারাপ শক্তির প্রভাব কেটে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে ভাগ্যও সহায় হয়ে ওঠে। ফলে এমন সব সুযোগ আসতে শুরু করে যে অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে উঠতে সময় লাগে না।
৩. মনের মতো জীবনসঙ্গীর খোঁজ মেলে:
এমন বিশ্বাস রয়েছে যে আদর্শ পুরুষের সন্ধান মেলে তখনই, যখন দেবাদিদেব প্রসন্ন করা যায়। তাই তো যারা বিবাহযোগ্য, তারা যদি প্রতি সোমবার দেবের পিপলাদ রূপের অথবা অন্য যে কোনও অবতারের অরাধনা করেন, তাহলে নাকি দেবের আশীর্বাদে মনের মতো জীবনসঙ্গী পাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, বৈবাহিক জীবনে কোনও ধরনের সমস্যা বা কলহ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কাও যায় কমে।
৪. শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে:
আজকের দিনে কমবয়সিদের মধ্যে হার্টের রোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মতো মারণ রোগের প্রকোপ বাড়ছে, তাতে পিপলাদ অবতারের পুজো করার প্রয়োজন যে বেড়েছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই! কিন্তু শিব ঠাকুরের পুজোর সঙ্গে শরীরের ভাল-মন্দের কি সম্পর্ক? আসলে বন্ধু, নিয়মিত দেবের পুজো করলে গৃহস্থের প্রতিটি কোণায় পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে শরীর এবং মন বেজায় চাঙ্গা হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে শরীরে উপস্থিত প্রতিটি ছোট-বড় রোগ দূরে পালাতে বাধ্য হয়।
৫. অকাল মৃত্যুর আশঙ্কা কমে:
এমন বিশ্বাস রয়েছে যে নিয়ম করে "ওম নম শিবায়" এবং "মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র" পাঠ করতে করতে দেবাদিদেবের পিপলাদ রূপের পুজো করলে কোনও ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি অকাল মৃত্যু ঘটার সম্ভাবনাও যায় কমে। তাই তো বলি বন্ধু বকি জীবনটা যদি সুখ-শান্তিতে এবং নিরাপদে কাটাতে হয়, তাহলে দেবের শরণাপন্ন হতে দেরি করবেন না যেন!
৬. অফুরন্ত সুখ-শান্তির সন্ধান মেলে:
শাস্ত্র মতে প্রতি সোমবার উপোস করে শিব ঠাকুরের এই বিশেষ রূপের অরাধনা করলে সর্বশক্তিমান এতটাই প্রসন্ন হন যে খারাপ সময় কেটে যেতে সময় লাগে না। ফলে সুখ-শান্তিতে ভরে ওঠে জীবন। শুধু তাই নয়, শিব ঠাকুরের আশীর্বাদে মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতেও সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে উপোস করে এক মনে পিপলাদ অবতারের আরাধনা করলে "জ্যোতির্লিঙ্গ" দর্শনের সমান উপকার মেলে।
৭. স্বামীর আয়ু বাড়ে:
এমন বিশ্বাস রয়েছে যে পর পর চারটে সোমবার বিবাহিত মহিলারা যদি উপোস করে শিব ঠাকুরের পুজোর আয়োজন করতে পারেন, তাহলে স্বামীর আয়ু তো বৃদ্ধি পায়ই। সেই সঙ্গে স্বামীর কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে।
দেবের এই বিশেষ রূপের পুজো করার নিয়ম:
এক্ষেত্রে সোমবার সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে পরিষ্কার জামা-কাপড় পরে প্রথমে শিবের এই বিশেষ রূপের ছবি বা মূর্তি ধুয়ে ফেলতে হবে। তারপর মধু, দুধ, চিনি এবং দই একসঙ্গে মিশিয়ে অভিষেক পুজোর আয়োজন করতে হবে। এরপর বেলপাতা এবং ফুল নিবেদন করে দেবের সারা শরীরে চন্দনের পেস্ট লাগিয়ে দিচতে হবে। এর পরের ধাপে যে কোনও শিব মন্ত্র জপ করতে করতে দেবের নাম নিতে হবে। সব শেষে অঞ্জলি দিয়ে শেষ করতে হবে পুজো। তবে তার আগে দেবকে প্রসাদ নিবেদন করতে ভুলবেন না যেন। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে আরেকটা বিষয় মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন। তা হল শিব ঠাকুরর পিপলাদ রূপের আরাধনা করতে হবে উপোস করে। একমাত্র সন্ধ্যার পরেই উপোস ভাঙতে পারবেন। তবে একেবারে না খেয়ে উপোস করা যদি সম্ভব না হয়, তাহলে মাঝে মাঝে দুধ এবং ফল খেতে পারেন।