Just In
বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রীর কোষ্ঠী মেলানো জরুরি কেন?
ভালবাসা হল সেই ছায়া, যা জীবনের চড়়া রোদ থেকে আমাদের বাঁচায়। শান্তি দেয়, আরাম দেয়। শুধু তাই নয়, হাজারো ঝড়-ঝাপ্টার মাঝেও এক টুকরো নিরাপদ আস্তানার সন্ধান তো সেই ভালবাসাই করে দেই। তবু হিন্দু বিবাহের প্রধান শর্ত হিসেবে ভালবাসার কোনও জায়গাই নেই। পরিবর্তে গুরুত্ব পয়েছে কোষ্ঠী মেলানোর মতো একটি প্রথা। কিন্তু কেন এমনটা হয়েছে? এর পিছনে আসল কারণটাই বা কী?
জন্মের সময় অনুসারে আমরা সকলেই কোনও না কোনও রাশীর জাতক-জাতিকা। শুধু তাই নয় জ্যোতিষ বিজ্ঞান অনুসারে আমাদের জীবনের ভাল-মন্দ সবই নির্ভর করে আমাদের রাশীর উপর। আর বিবাহ যেহেতু জন্ম এবং মৃত্যুর মাঝে জীবনের সব থেকে বড় "ইভেন্ট", তাই এটি কী করে বাদ যায় রাশী চক্রের প্রভাব থেকে! তাই তো বিদ্যানদের মতে যদি বিবাহ জীবন সুখের চান, তাহলে ভালবাসা আছে কি নেই, তা বিচার না করে প্রথমেই পাত্র-পাত্রীর কোষ্ঠী মিলছে কিনা তা দেখে নেওয়া উচিত। যদি মেলে তবেই বিয়ের বিষয় ভাবনা-চিন্তা শুরু করা উচিত, নচেৎ নয়!
আপাত দৃষ্টিতে এমন কথা শুনে রাগ হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু এই বক্তব্য যে একেবারেই ফেলনা নয়, তা বলাই বাহুল্য়। কারণ বিয়ের আগে কোষ্ঠী মিলিয়ে নেওয়ার প্রথা আজকের নই, বহু যুগ আগে থেকেই চলে আসছে এবং এর থেকে যে সুফল পাওয়া যায়নি, এমনও নয়। আপনার আশেপাশে একটু নজর ফিরিয়ে দেখুন, এমন অনেক স্বামী-স্ত্রীর খোঁজ পাবেন যাদের মধ্যে আপাত দৃষ্টিতে কোনও সমস্যা না থাকলেও তাদের বৈবাহিক জীবন একেবারেই সুখের স্বাদ পায় না। কারণ সেই একই। পাত্র-পাত্রীর মধ্য়ে গ্রহ-নক্ষত্রের মিলন না হলে হাজারো সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। তাই তো কোন গ্রহের সঙ্গে কোন নক্ষত্রের মিলন হয়, তা দেখে নেওয়াটা একান্ত প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সাধারণত ৩৬ টি গুণের মধ্যে পাত্র-পাত্রীর কতগুলি গুণ মিলছে, তা দেখা হয়। প্রসঙ্গত, যত বেশি সংখ্যক গুণের মিল হবে, বৈবাহিক জীবন তত ভাল হবে বলে মনে করে থাকেন জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞরা।
সান
সাইন
এবং
বিবাহ:
জ্যোতিষ
বিজ্ঞানে
মোট
১২
টি
রাশার
উল্লেখ
পাওয়া
যায়।
যাদের
মোট
৪
টি
ভাগে
ভাগ
করা
হয়ে
থাকে।
যেমন-
১.
আগুন:
মেষরাশী,
সিংহরাশী
এবং
ধনুরাশী।
২.
জল:
কর্কট,
বৃশ্চিকরাশী
এবং
মীনরাশী।
৩.
পৃথিবী:
বৃষরাশি,
কন্যারাশী,
মকররাশী।
৪.
বায়ু:
মিথুনরাশী,
তুলারাশী,
কুম্ভরাশী।
পুরান অনুসারে একই বিভাগের রাশীর জাতক-জাতিকার একে অপরের সঙ্গে খুব সুখে থাকে। তাই তো তাদের বৈবাহিক জীবন খুব সুন্দর হয়। কিন্তু কেউ যদি আলাদা কোনও বিভাগের রাশীর জাতক-জাতিকার সঙ্গে ঘর বাঁধেন তাহলেই বিপদ। সেই কারণেই তো জলকে আগুন অথবা বায়ুর সংস্পর্শে আনা চলবে না। যদিও বিষয়টি এঅতটাও সহজ নয়। এক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞ পাত্র-পাত্রী কোন বিভাগে রয়েছে তা বিবেচনা করার পাশাপাশি আরও ৭৮ টা আলাদা আলাদা বিষয় বিশ্লেষণ করে তবেই চুরান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।
কোষ্ঠীর
ভূমিকা:
পাত্র-পাত্রীর
কোষ্ঠী
বিচার
করার
সময়
সাধারণত
নক্ষত্রের
মিলন
হচ্ছে
কিনা,
মঙ্গলের
দশা
কেমন
রয়েছে
এমন
নানা
বিষয়
সহ
প্রায়
৩৬টি
দিক
বিবেচনা
করে
দেখা
হয়।
যদি
৩৬
টি
গুণের
মধ্যে
কম
করে
১৮
টা
গুণ
মিলে
যায়,
তাহলে
সেই
পাত্র
এবং
পাত্রীর
মধ্যে
বিবাহ
দেওয়া
যেতেই
পারে।
প্রসঙ্গত,
৩৬
টি
গুণ
মিলিয়ে
দেখার
প্রক্রিয়াটি
হল
কুষ্টি
বিচারের
একেবারে
পাথমিক
ধাপ।
গুণ
বিচারের
পর
আরও
কিছু
বিষয়ের
উপর
আলোকপাত
করা
হয়।
যেমন
পাত্র
পাত্রীর
মধ্যে
কেউ
মাঙ্গলিক
কিনা
তা
দেখা
হয়।
যদি
কেউ
একজন
মাঙ্গলিক
হন,
তাহলে
চিন্তার
বিষয়।
এর
পরের
ধাপে
বাকি
মহাদশাগুলি
বিচার
করা
হয়ে
থাকে।
এই
তিনটি
ধাপের
পরে
পাত্র-পাত্রীর
কোষ্ঠী
মিললে
তবেই
বিয়ের
সিদ্ধান্ত
নেওয়া
উচিত।
কোষ্ঠী
বিচারের
উপকারিতা:
গ্লোবালাইজেশানের
যুগে
হয়তো
কোষ্ঠী
বিচারকে
অনেকেই
ভিত্তিহীন
হিসেবে
বিচেচিত
করে
থাকেন।
কিন্তু
প্রাচীন
এই
বিদ্যার
গুণকে
বাস্তবিকই
অস্বীকার
করা
যায়
না।
কারণ
একথা
বহু
যুগ
আগেই
প্রমাণিত
হয়ে
গেছে
যে
কোনও
মানুষের
জীবনে
ভাল-মন্দ
যাই
ঘঠছে
না
কেন,
তার
সঙ্গে
গ্রহ-নক্ষত্রের
সরাসরি
যোগ
রয়েছে।
তাই
বিশ্বাস
করুন
বা
নাই
করুন
বিয়ের
আগে
কোষ্ঠী
বিচারের
প্রথাকে
একেবারে
অগ্রাহ্য
করা
মনে
হয়
উচিত
নয়,
তা
সে
আপনি
প্রেম
করেই
বিয়ে
করুন
কি
সম্বন্ধ
করে।