Just In
বাড়িতে মা লক্ষীর পাদুকা রাখলে কী কী উপকার মিলতে পারে জানা আছে?
এই প্রবন্ধে মা লক্ষ্মীর পাদুকা বাড়িতে রাখলে কী কী উপকার মিলতে পারে, সে বিষয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করা হবে।
খেয়াল করে দেখবেন অনেকে বাড়ির ঠাকুর ঘরে মা লক্ষ্মী পাদুকা রেখে থাকেন এবং প্রতিদিন পুজো করেন। কিন্তু মজার বিষয় কি জানেন, অনেককে দেখে আরো অনেকে লক্ষ্মী পাদুকার পুজো তো করেন, কিন্তু অনেকেই জানেনে না যে এই বিশেষ পুজোটি করলে কী কী উপকার মিলতে পারে। তাই তো এই প্রবন্ধে মা লক্ষ্মীর পাদুকা বাড়িতে রাখলে কী কী উপকার মিলতে পারে, সে বিষয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করা হবে।
পুরান মতে সমুদ্র মন্থন হওয়ার সময় সমুদ্র গর্ভ থেকে ১৪ টি অমূল্য জিনিস উঠে এসেছিল, যা দেব এবং অসুরদের মধ্যে সমানভাগে ভাগ করে দেওয়াছিল। কিন্তু যখন মা লক্ষ্মীর আবির্ভাব ঘটল, তখন মায়ের হাতে ছিল পদ্মের মালা এবং তার বেশ ছিল নব বধূর মতো এবং সবার সম্মতি মতে মা লক্ষ্মীর সে সময় বিবাহ সম্পন্ন হল সর্বশক্তিমান ভগবান বিষ্ণুর সঙ্গে এবং তারপর থেকেই কোজাগরি পূর্ণিমা এবং দিওয়ালির দিন শুরু হল মায়ের আরাধন। প্রসঙ্গত, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে কারও গৃহস্থে যখন মায়ের আবির্ভাব ঘটে, তখন সারা বাড়িতে মায়ের পায়ের ছাপ পরে এবং তার প্রভাবে একের পর এক সুফল মিলতে শুরু করে, যে সম্পর্কে এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
এখন প্রশ্ন হল গৃহস্থে মায়ের আগমণ ঘঠবে কীভাবে? শাস্ত্র মতে বাড়ির ঠাকুর ঘরে ভগবান বিষ্ণুকে প্রতিষ্টিত করে যদি সেখানে মায়ের পাদুকা এবং ছবি রাখতে পারেন, তাহলে বাড়ির অন্দরে মায়ের প্রবেশ ঘটতে সময় লাগে না। আর এমনটা যখন হয়, তখন...
১. মনের যে কোনও ইচ্ছা পূরণ হয়:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে গৃহস্থে মায়ের আগমণ ঘটলে চারিপাশে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, যে কোনও লক্ষ পূরণ হতেও সময় লাগে না। সেই লক্ষ কর্মক্ষেত্র সম্পর্কিত হতে পারে, হতে পারে পারিবারিক জীবন বা অর্থনৈতির বিষয় সংক্রান্তও।
২.সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে:
বাড়িতে মায়ের পাদুকা রাখলে পরিবারে সুখ এবং সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগতে সময় লাগে না। ফলে একদিকে যেমন যে কোনও সমস্যা কমে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে পরিবারের অন্দরে সুখের ঘড়া শুকিয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। তাই তো বলি বন্ধু বাকি জীবনটা যদি সুখে-শান্তিতে এবং আনন্দে কাটাতে হয়, তাহলে মায়ের পাদুকা এনে রাখতে ভুলবেন না যেন!
৩. রোগ-ব্যাধি দূরে পালায়:
শাস্ত্র মতে মায়ের আশীর্বাদ যখন কারও উপর পরে তখন শুধুমাত্র মন আনন্দে ভরে ওঠে না, সেই সঙ্গে শরীরের অন্দরে বাসা বেঁধে থাকা ছোট-বড় সব রোগই দূরে পালায়। ফলে রোগমুক্ত শরীরের স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না। তাহলে বন্ধু এবার নিশ্চয় বুঝতে পরেছেন যে বাড়িতে মায়ের পাদুকা রাখার প্রয়োজন কতটা।
৪. অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হয়:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে গৃহস্থের অন্দরে মায়ের পায়ের ছাপ পরলে যে কোনও ধরনের অর্থনৈতিক সমস্যা মিটে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে অনেকে অনেক টাকায় পকেট ভরে ওঠে। ফলে অল্প সময়ে বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হয় চোখের পলকে।
৫. গৃহস্থের পরিবেশে পবিত্রতার ছোঁয়া লাগে:
বাড়িতে মায়ের পুজো শুরু করলে গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করে, যার প্রভাবে বাড়ির পরিবেশে পবিত্রতার ছোঁয়া লাগে, আর এমনটা হওয়া মাত্র মায়ের যেমন আগমণ ঘটে, তেমনি পিছু পিছু ধন দেবতা কুবেরেরও পায়ের ছাপ পরে গৃহস্থের অন্দরে। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে মা লক্ষ্মী যেখানে থাকেন, সেখানে ধন দেবতাও থাকেন। আর একবার কুবেরের আশীর্বাদ লাভ করলে জীবন বদলে যেতে যেমন সময লাগে না, তেমনি সারা জীবনে কখনও অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখিন হওয়ার আশঙ্কাও কমে।
৬. পড়াশোনায় উন্নতি ঘটে:
শাস্ত্র মতে প্রতিদিন মায়ের পাদুকার পুজো করলে বাচ্চাদের মনোযোগ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। ফলে পড়াশোনায় উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে পরিবারের বাকি সদস্যদের কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভের পথও প্রশস্ত হয়। প্রসঙ্গত, যারা ব্যবসা করেন, তারা যদি তাদের অফিসে মায়ের পাদুক রাখতে পারেন, তাহলে ব্যবসায় উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না।
৭. ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশঙ্কা কমে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে মায়ের পাদুকা এনে রাখলে জীবনের প্রতিটি বাঁকে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা যায় বেড়ে। আর বেশিরভাগ সিদ্ধান্ত যখন ঠিক হয়, তখন জীবনের ছবিটা বদলে যেতে যে সময় লাগে না, তা কী আর বলার অপেক্ষা রাখে।