Just In
এই ৫ টি সুফল পেতে প্রতি মঙ্গলবার সবারই পঞ্চমুখি হনুমান গায়েত্রী মন্ত্র জপ করা উচিত!
এমন বিশ্বাস রয়েছে যে বাড়িতে পঞ্চমুখি হনুমানজির ছবি বা মূর্তি রাখা খুব শুভ। কারণ তাঁকে একবার প্রসন্ন করতে পারলে যে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যেমন কমে।
হিন্দু শাস্ত্রে হনুমানজির যেকটা রূপের খোঁজ মেলে তার মধ্যে সবথেকে শক্তিশালী রূপ হল পঞ্চমুখি হনুমান। লঙ্কা রাজ রাবণের ভাই অহিরাবণকে বধ করতে এই রূপ ধারণ করেছিলেন অঞ্জনী পুত্র।
শ্রী রাম এবং তাঁর ভাই লক্ষণকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে অহিরাবণ তাঁদেরকে অপহরণ করে পাতালপুরিতে নিয়ে গিয়েছিলেন। পুরো ঘটনাটা এতটাই চুপিসারে ঘটিয়েছিলেন অহিরাবণ যে বানর সেনার কেউই একথা জেনেই উঠতে পারেননি যে রাম এবং লক্ষণ নিরুদ্দেশ। আর যখন জানতে পারা গেল তখন রাম এবং লক্ষণকে খোঁজার দায়িত্ব বর্তায় হনুমানজির উপর। এদিক-সেদিক খোঁজ করতে করতে অবশেষ হনুমাজি পাতাল দেশে পৌঁছে জানতে পারলেন শ্রী রাম এবং তাঁর অনুজ এখানেই বন্দি হয়ে রয়েছেন। কিন্তু অহিরাবণকে মারতে গেলে য়ে পাতাল পুরির পাঁচ কোণায় জ্বলতে থাকা পাঁচটি প্রদীপকে একসঙ্গে নেভাতে হবে। কিন্তু এমনটা কীভাবে সম্ভব?
একথা ভাবতে ভাবতেই শ্রী হনুমান সিদ্ধান্ত নেন পাঁচটি আলাদা আলাদা রূপ ধারণ করে এক সঙ্গে তিনি পাঁচটি প্রদীপ নিভিয়ে ফেলবেন। সেই মতো করলেনও তাই। জন্ম হল হনুমানজির পঞ্চমুখি রূপের। অবশেষে পাঁচটি বাতি নেভাতেই মারা গেলেন অহিরাবণ। উদ্ধার পেলেন শ্রী রাম এবং লক্ষণ।
এমন বিশ্বাস রয়েছে যে বাড়িতে পঞ্চমুখি হনুমানজির ছবি বা মূর্তি রাখা খুব শুভ। কারণ তাঁকে একবার প্রসন্ন করতে পারলে যে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি আরও অনেক উপকার পাওয়া যায়, যে সম্পর্কে এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
পঞ্চমুখি
হনুমানজিকে
খুশি
করা
যাবে
কীভাবে?
শাস্ত্র
মতে
বাড়িতে
দেবের
এই
বিশেষ
রূপের
মূর্তি
বা
ছবি
প্রতিষ্টা
করে
নিয়মিত
পুজো
করতে
হবে
এবং
প্রতি
মঙ্গলবার
নিয়ম
করে
১০৮
বার
পাঠ
করতে
হবে
পঞ্চমুখি
হনুমান
গায়েত্রী
মন্ত্র,
তাহলেই
দেখবেন
কেল্লা
ফতে!
এমনটা
বিশ্বাস
করা
হয়
যে
প্রতি
মঙ্গলবার
"ওম
অঞ্জনীয়া
ভিদমাহে
পঞ্চভক্তরায়া
ধিমাহে
তানো
হানুমাতে
প্রাচোদায়াত",
এই
শক্তিশালী
মন্ত্রটি
জপ
করলে
দেব
জাগ্রত
হয়ে
ওঠেন।
সেই
সঙ্গে
সারা
বাড়িতে
পজেটিভ
শক্তির
প্রভাব
এতটাই
বেড়ে
যায়
যে
নানাবিধ
সুফল
মেলার
সম্ভাবনা
যায়
বেড়ে।
যেমন
ধরুন...
১. কর্মক্ষেত্রে সফলতা লাভের সম্ভবনা বাড়ে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে শ্রদ্ধা সহকারে এক মনে হনুমানজির এই বিশেষ রূপের অরাধনা করলে দেব এতটাই প্রসন্ন হন যে তাঁর আশীর্বাদে অফিস সংক্রান্ত নানা ঝামেলা মিটে যেতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি একের পর এক সফলতা মেলে চোখের পলকে।
২. ভয় দূর হয়:
নানা কারণে কি সারাক্ষণ ভয়ে ভয়ে থাকেন? তাহলে আজ থেকেই পঞ্চমুখি হনুমানজির অরাধনা করতে ভুলবেন না যেন! কারণ এমনটা করলে আশেপাশে পজেটিভ শক্তির প্রভাব এতটা বেড়ে যায যে তার প্রভাবে খারাপ শক্তির মাত্রা তো কমেই, সেই সঙ্গে মনের জোর বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। আর একবার ভয় দূর হলে জীবনটা যে অনেক সহজ হয়ে ওঠে, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে...!
৩. ব্ল্যাক ম্যাজিকের প্রভাব কেটে যায়:
শুনতে একটু আজব লাগলেও আজও কিন্তু অনেকে কালো যাদু বা ব্ল্যাক ম্যাজিককে কাজে লাগিয়ে বহু মানুষের ক্ষতি করে থাকে। আর এমন প্রতিযোগিতাময় দুনিয়ায় ক্ষতি করার লোকের সংখ্যা যে নেহাতই কম নয়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই তো বলি বন্ধু, নিজেকে এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের নিরাপদে রাখতে পঞ্চমুখি হনুমানজির অরাধনা করতে ভুলবেন না যেন! কারণ শাস্ত্রে এমনটা দাবি করা হয়েছে যে পঞ্চমুখি হনুমানের অন্যতম "গারুদা", কালো যাদুর প্রভাবকে তো কমায়ই, সেই সঙ্গে আমাদের আশেপাশে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে কোনও ধরনের বিপদ বা দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
৪. সুখ-সমৃদ্ধি এবং অফুরন্ত অর্থের সন্ধান মেলে:
পঞ্চমুখি হনুমানজির পাঁচটি মুখমন্ডলের মধ্যে যে মুখটি উত্তর দিকে রয়েছে তা হল বরাহের মুখ। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নিয়মিত এক মনে হনুমানজির এই বিশেষ রূপের অরাধনা করলে বরাহের আশীর্বাদে পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া তো লাগেই, সেই সঙ্গে বায়ু পুত্রের আশীর্বাদে টাকা-পয়সা সংক্রান্ত নানা ঝামেলা মিটে যেতেও সময় লাগে না।
৫. বাবা-মা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়:
একেবারে ঠিক শুনেছেন পাঠক বন্ধু! প্রাচীন কালে লেখা একাধিক পুঁথি অনুসারে প্রতি মঙ্গলবার পঞ্চমুখি হনুমনাজির অরাধনা করলে তাঁর আশীর্বাদে বাবা-মা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু, হাজারো চেষ্টার পরেও যারা বাচ্চার মুখ দেখতে পাচ্ছেন না, তারা পঞ্চমুখি হনুমান গায়েত্রী মন্ত্র জপ করতে করতে হনুমানজির অরাধনা করতে ভুলবেন না যেন!