Just In
- 4 hrs ago
মকর রাশিতে প্রবেশ করবে শুক্র, এই রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য শুভ হবে
- 5 hrs ago
পেঁপে পাতার রস বহু অসুখের মহৌষধ! জেনে নিন এর স্বাস্থ্য উপকারিতা
- 12 hrs ago
আজকের রাশিফল : ২৭ জানুয়ারি ২০২১
- 1 day ago
Republic Day 2021 : প্রজাতন্ত্র দিবসে এই প্রথমবার ফ্লাইপাস্ট প্যারেডের নেতৃত্বে মহিলা পাইলট স্বাতী রাঠোর
Don't Miss
পুজোর ঘরের ডেকরেশন ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে না করলে কিন্তু মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে!
ঠাকুর ঘর হল শক্তির আধার। তাই শাস্ত্রে উল্লেখিত নিয়মগুলি মেনে ঠাকুর ঘর যদি তৈরি করা না হয়, তাহলে গৃহস্থের অন্দরে খারাপ শক্তির প্রভাব বাড়াতে শুরু করে। ফলে নানা খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে। সেই সঙ্গে ব্যাড লাক রোজের সঙ্গী হওয়ায় কর্মক্ষেত্র থেকে পরিবারিক জীবন, সবক্ষেত্রেই ছোট-বড় নানা বাঁধা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
একই ঘটনা আপনার সঙ্গেও ঘটুক, এমনটা যদি না চান, তাহলে এই প্রবন্ধে চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন! কারণ এই লেখায় এমন কিছু নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা মেনে চললে উপকার তো পাবেনই, সেই সঙ্গে ভগবানের আশীর্বাদ থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কাও যাবে কম।
এখন প্রশ্ন হল ঠাকুর ঘর তৈরির সময় কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে?

১. প্রদীপ রাখার নিয়ম:
শাস্ত্র মতে ঠাকুর ঘরে প্রদীপ রাখতে হবে দক্ষিণ পূর্ব দিক করে। শুধু তাই নয়, ঠাকুরের ছবি বা মূর্তির সামনে রাখা প্রদীপ যেন সব সময় জ্বলতে থাকে এবং অবশ্যই আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, সেটি হল মাটিতে কোনও সময় যেন প্রদীপ রাখা না হয়। এমনটা করা বেজায় অশুভ!

২. ঠাকুরের মূর্তি বা ছবি:
বাস্তুশাস্ত্র মতে ঠাকুর ঘরে রাখা দেব-দেবীদের মূর্তি যেন কোনও সময় ২ ইঞ্চির কম এবং ৯ ইঞ্চির বেশি না হয়। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই নিয়মটি না মানলে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোনও খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে আরও একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, যেমন ধরুন ঠাকুরের ছবি যেন ভুলেও উত্তর বা দক্ষিণ দিকে মুখে করে না থাকে। কারণ এমনটা হওয়া একেবারেই উতিত নয়।

৩. মুখোমুখি নয়:
শাস্ত্র মতে ঠাকুরের মূর্তি যেন একে অপরের দিকে মুখ করে না থাকে। শুধু তাই নয়, একই ঠাকুরের দুটো ছবি বা মূর্তি রাখা চলবে না। কারণ এমনটা করা বেজায় অশুভ! প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। সেটি হল ঠাকুরের ছবি বা মূর্তি যেন দেওয়ালের সঙ্গে লেগে না থাকে, বরং দেওয়াল থেকে কিছুটা দূরে সর্বশক্তিমাকে স্থাপন করতে হবে।

৪. ঠাকুর ঘরের দরজা:
এক্ষেত্রে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে সেগুলি হল ঠাকুর ঘরের দরজা যেন লোহার না হয়। আর খেয়াল রাখতে হবে দরজাটি যেন অটোমেটিকলি বন্ধ না হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, বাড়ির এমন জায়গায় ঠাকুর ঘর তৈরি করতে হবে যাতে সারা দিন সেখানে আলো এবং হাওয়া-বাতাস খেলতে থাকে। এমনটা হলে দেবের স্থানে পজেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়তে থাকে। ফলে খারাপ কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।

৫. পুজোর সামগ্রি:
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে ঠাকুর ঘরে রাখা পুজোর সামগ্রি যেন দক্ষিণ-পূর্ব দিকে মুখ করে থাকে। আর যদি ঠাকুর ঘরে ঝরনার সোপিস রাখতে হয়, তাহলে সেটি রাখতে হবে উত্তর বা পূর্ব দিকে মুখ করে।

৬.ঠাকুর ঘরের রং:
বাস্তু বিশেষক্ষদের মতে আমাদের ঘরের প্রতিটি দেওয়ালের রং কোনও না কোনও ভাবে আমাদের ভাবনা-চিন্তা এবং জীবনকে প্রভাবিত করে থাকে। তাই তো বাস্তুশাস্ত্রে, কোন ঘরের রং কেমন হওয়া উচিত, সে বিষয় একাধিক নিয়মের উল্লেখ পাওয়া যায়। যেমন ধরুন ঠাকুর ঘরের দেওয়ালের রং সব সময় হলকা হলুদ, সাদা বা হলকা নীল রঙের হওয়া উচিত। আর মেঝে হওয়া উচিত সাদা মার্বেলের।

৭. যে যে বিষয়গুলি এড়িয়ে চলা মাস্ট:
যদি চান বাড়িতে সুখ-শান্তি বজায় থাকুক এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথ প্রশস্থ হোক, তাহলে ভুলেও শোয়ার ঘরে ঠাকুরের আসন পাতবেন না। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে আরও কতগুলি বিষয়। যেমন ধরুন- ঠাকুর ঘর যেন বাড়ির দক্ষিণ দিকে না হয়, ঠাকুর ঘরের উপরে বা নিচে যেন টয়লেট না থাকে, ঠাকুরের ঘরে রাখা কোনও ছবি বা মূর্তি যেন ভাঙা অবস্থায় না থাকে এবং অবশ্যই বাড়িতে যেন তুলসি গাছ রাখা হয়। এই নিয়মগুলি মেনে চললে দেখবেন সুখ-শান্তির ঝাঁপি কখনও খালি হবে না। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিও ঘটবে চোখে পরার মতো।

৮. ঠাকুর ঘরে গয়না নয়:
অনেকই ঠাকুরের মূর্তির নিচে গয়না এবং টাকা রেখে থাকেন। এমনটা করা একেবারেই উচিত নয়। কারণ শাস্ত্র মতে ঠাকুর হল বাড়ির সবথেকে পবিত্রতম জায়গা। সেখানে এইভাবে টাকা বা গয়না রাখলে পবিত্রতা ক্ষুন্ন হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই গৃহস্থের অন্দরে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে নেগেটিভ শক্তি। আর এমনটা হলে কী কী ঘটনা ঘটতে পারে, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না।