Just In
রোগমুক্ত শরীর এবং অনেক টাকার মালিক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে ব্রহ্মা মন্ত্র পাঠ করতেই হবে!
অল্প সময়ে কীভাবে সফলতার স্বাদ পাওয়া যায়, সেই সঙ্গে হয়ে ওঠা যায় প্রচুর টাকার মালিক, তাই ভাবছেন নিশ্চয়!
অল্প সময়ে কীভাবে সফলতার স্বাদ পাওয়া যায়, সেই সঙ্গে হয়ে ওঠা যায় প্রচুর টাকার মালিক, তাই ভাবছেন নিশ্চয়! কোনও চিন্তা নেই। আজ এই প্রবন্ধে এমন একটি মন্ত্রের সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা নিয়মিত পাঠ করলে শুধু বড়লোক হয়ে উঠবেন না, সেই সঙ্গে নানাবিধ রোগভোগের আশঙ্কাও হ্রাস পাবে।
কোন মন্ত্রের সম্পর্কে কথা বলছি, তাই ভাবছেন নিশ্চয়! হিন্দু ধর্মের উপর লেখা বেশ কিছু প্রাচীন পুঁথি ঘেঁটে জানা গেছে ভগবান ব্রহ্মার মন্ত্র নিয়মিত পাঠ করলে জীবন বদলে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে সুখের ঝাঁপি খালি হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। তাই মনের সব ইচ্ছা যদি চটজলদি পূরণ করতে চান, তাহলে এই প্রবন্ধটি পড়তে ভুলবেন না যেন!
প্রসঙ্গত, এই মন্ত্রটি এবং তার গুণাগুণ সম্পর্কে আলোচনা করার আগে ব্রহ্মা মন্ত্রকে কেন সবথেকে শক্তিশালী মন্ত্র হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে, সে বিষয়ে জেনে নেওয়াটা প্রয়োজন। শাস্ত্র মতে নিয়মিত এক মনে এই মন্ত্রটি পাঠ করলে মনোবল বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে মনযোগ ক্ষমতা এতটা বেড়ে যায় যে চটজলদি সফলতার স্বাদ পেতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, এই মন্ত্রবলে অফুরন্ত খুশি এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি লাভের স্বপ্নও পূরণ হয়। তবে এখানেই শেষ নয়, বেশ কিছু ধর্মিও বই অনুসারে এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করলে মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন...
১. অফুরন্ত অর্থের মালিক হয়ে ওঠা যায়:
শুনতে আজব লাগলেও একথার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে নিয়মিত এই মন্ত্রটি পাঠ করলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি লাভের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে সফলতার স্বাদ পেতেও সময় লাগে না। আর কর্মজীবনে সফল হতে শুরু করলে জীবনে আনন্দের ঘাটতি যে কখনও হয় না, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে।
২. রোগভোগের আশঙ্কা কমে:
খেয়াল করে দেখবেন শরীর যখন অসুস্থ হয়ে পরে তখন মন মেজাজ এতটা খারাপ হয়ে যায় যে আনন্দ দূরে পালাতে শুরু করে। তাই কেবল অফুরন্ত অর্থই যে আমাদের আনন্দের একমাত্র উৎস, এমনটা ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। তাই দীর্ঘমেয়াদি খুশির সন্ধান যদি পেতে চান, তাহলে শরীরকে কীভাবে রোগমুক্ত রাখা যায়, সে বিষয়ে ভাবতে হবে। আর একাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে এই মন্ত্র। শাস্ত্র মতে নিয়মিত ব্রহ্মা মন্ত্র জপ করলে শরীররে অন্দরে পজেটিভ শক্তির বিকাশ এত মাত্রায় ঘটে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।
৩. মনের সব ইচ্ছা পূরণ হয়:
গুপি গাইন-বাঘা বাইনের মতো আমাদেরও মনের সব ইচ্ছাও যদি এক তালিতেই পূরণ হত, তাহলে কত ভালই না হত বলুন! কিন্তু এমনটা হয় কোথায়! তবে আর চিন্তা নেই! এবার থেকে আপনার মনের সব ইচ্ছাও পূরণ হবে এবং তা হবে বেজায় চটজলদি। কীভাবে এমনটা সম্ভব, তাই ভাবছেন নিশ্চয়? আসলে ব্রহ্মা মন্ত্রের মধ্যে এত শক্তি রয়েছে যে নিয়মিত এই মন্ত্রটি পাঠ করলে আমাদের আশেপাশে পজেটিভ শক্তির মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যার প্রভাবে মনের সব ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না।
৪. ভয়ের থেকে মুক্তি মেলে:
গবেষণায় দেখা গেছে প্রায় ৯০ শতাংশই মানুষই এমন কিছু নিয়ে ভয় বা চিন্তায় থাকেন যার কোনও বাস্তব ভিত্তিই নেই। যেমন ধরুন অনেকেই অফিসে ভাল রকম পরিশ্রম করে কাজ করলেও চাকরি হারিয়ে ফেলার ভয় মনে নিয়ে বেঁচে থাকেন। আর এই ভয়ের চোটে একদিকে যেমন শরীর ভাঙতে শুরু করে, তেমনি আনন্দও দূরে পালায়। একই রকম অবস্থা যদি আপনারও হয়ে থাকে, তাহলে আজ থেকেই ব্রহ্মা মন্ত্র জপ করা শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন। কারণ এই মন্ত্র বলে ভয় দূর হতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটিওর মাত্রাও কমবে।
৫. রাগ কমবে:
সিদ্ধ পুরুষেরা বলেন রাগ হল সেই আগুন, যা আমাদের জীবনকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে শেষ করে দেয়। তাই জীবনে সফলতা এবং আনন্দের স্বাদ পেতে মাথাটাকে ঠান্ডা রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। আর কীভাবে করবেন এমনটা? এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে এই মন্ত্র। আসলে ব্রহ্মা মন্ত্রটি জপ করলে মন শান্ত হয়। সেই সঙ্গে রাগও কমতে শুরু করে।
৬. নেগেটিভ শক্তির হাত থেকে রক্ষা করে:
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির অন্দরে নেগেটিভ শক্তির প্রকোপ বাড়তে থাকলে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে সুখ-শান্তিও দূরে পালায়। এমনটা যাতে আপনার সঙ্গে না ঘটে, তা সুনিশ্চিত করতে নিয়মিত ব্রহ্মা মন্ত্র জপ করা উচিত। আসলে এমনটা করলে গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির প্রভাব এতটা বৃদ্ধি পায় যে, নেগেটিভ শক্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।
৭. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়:
আধুনিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে যার ব্রেন পাওয়ার যত বেশি, সে তত বেশি সফল। কারণ কর্মক্ষেত্রে সফল হতে বুদ্ধি এবং মনোযোগ ক্ষমতার উন্নতি ঘটাটা একান্ত প্রয়োজন। আর ব্রেন পাওয়ার বাড়লে তার সঙ্গে মনোযোগ এবং বুদ্ধিও বাড়তে শুরু করে। ফলে সফলতা রোজের সঙ্গী হয়। এখন প্রশ্ন হল ব্রেন পাওয়ার বাড়ানো যায় কীভাব? নিয়মিত এক মনে ব্রহ্মা মন্ত্র জপ করা শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেই পাবেন!
ব্রহ্মা মন্ত্র পাঠ করার নিয়ম:
এই মন্ত্রটি এক মিনিটে ৩৬-৬২ বার পাঠ করতে হবে। এইভাবে মোট ১০৮ বার যদি ব্রহ্মা মন্ত্রটি জপ করা যায়, তাহলে সুফল মিলতে সময় লাগে না। এক্ষেত্র একটি বিষয় মাথায় রাখটা একান্ত প্রয়োজন, তা হল এই মন্ত্রটি জপ করার আগে স্নান সেরে নিতে ভুলবেন না। প্রসঙ্গত, শাস্ত্র মতে সকাল এবং বিকাল বেলা ব্রহ্মা মন্ত্র পাঠ করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
মন্ত্রতি হল...
"ওম ইম হ্রিম শ্রিম ক্লিম সোয়াহা সাৎ চিদ একাম ব্রহ্মা।"