Just In
বাড়িতে দেবী লক্ষীর আগমণ ঘটাতে কী কী নিয়ম মেনে চলা উচিত জানা আছে?
আনন্দ এবং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হতে বাড়িতে মা লক্ষীর আগমণ ঘটা একান্ত প্রয়োজন। আর এমনটা কীভাবে সম্ভব?
মা লক্ষী হলেন সমৃদ্ধির দেবী। তাই তো গৃহস্থে মায়ের পায়ের ছাপ পরার প্রয়োজনকে কোনওভাবেই উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। আর একথা তো সবারই জানা আছে যে মায়ের একবার আগমণ ঘটলে অর্থনৈতিক উন্নতি তো ঘটেই। সেই সঙ্গে সুখ-শান্তির ঝাঁপি কখনও খালি হয় না। তাই তো আনন্দ এবং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হতে বাড়িতে মা লক্ষীর আগমণ ঘটা একান্ত প্রয়োজন। আর এমনটা কীভাবে সম্ভব?
এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ারই চেষ্টা করা হবে এই প্রবন্ধে। একাধিক প্রাচীন পুঁথি ঘেঁটে জানা যায় কতগুলি নিয়ম মেনে চললে মা দূর্গার তনয়ার আগমণ ঘটতে সময় লাগে না। আর এই নিয়মগুলি যে খুব কঠিন, তাও নয়! এই কারণেই তো এই প্রবন্ধে সেই সব সহজ নিয়মগুলির প্রসঙ্গ বিস্তারিত আলোচনা করা হল। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে যে যে নিয়মগুলি মেনে চলা জরুরি, সেগুলি হল...
১. ঠাকুর ঘরে কুবের দেবতার মূর্তি রাখতে হবে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে অর্থের দেবতা কুবেরের মূর্তি রাখলে দেবীর আগমণ ঘটতে সময় লাগে না। আর একবার মায়ের পায়ের ছাপ পরলে যে কোনও সমস্যা, তা অর্থনৈতিক হোক, কী জীবন সংক্রান্ত, তা মিটে যেতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, ঠাকুর ঘরের যে স্থানে কুবের দেবের ছবি বা মূর্তি রাখবেন, সেই জায়গাটা প্রতি দিন ভাল করে পরিষ্কার করতে ভুলবেন না যেন!
২. ছোট নারকেল:
একাধিক প্রাচীন গ্রন্থ অনুসারে ঠাকুর ঘরে ছোট একটা নারকেল রেখে তার পুজো শুরু করলে বাড়িতে মায়ের আগমণ ঘটে। আসলে এমন নারকেলকে হিন্দু শাস্ত্রে "শ্রী ফল" নামে ডাকা হয়ে থাকে। অর্থাৎ যে ফল মা লক্ষীর। তাই তো নিয়মিত নারকেলের পুজো করার অর্থ হল মায়ের পুজো করা।
৩. মার্কারি দিয়ে তৈরি মায়ের মূর্তির পুজো করতে হবে:
এমনটা মানা হয় যে বাড়িতে মার্কারি দিয়ে তৈরি দেবী লক্ষীর মূর্তি পুজো করলে সেই পরিবারে সমৃদ্ধি এবং সুখের আগমণ ঘটতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক অবস্থারও উন্নতি ঘটে। তাই আপনার জীবনে কখনও যদি কোনও অর্থনৈতির সমস্যা হয়, তাহলে মায়ের পুজো শুরু করতে ভুলবেন না যেন!এমনটা করলে দেখবেন বিপদের মেঘ কেটে যেতে সময় লাগবে না।
৪. ঠাকুর ঘরে কড়ি রাখা জরুরি:
এমনটা করার প্রয়োজন কেন? কারণ শাস্ত্র মতে সমুদ্রে তৈরি হয় কড়ি, আর দেবী লক্ষীরও আগমণ ঘটে সমুদ্র থেকে। তাই তো ঠাকুর ঘরে কড়ি রাখলে মা লক্ষীর প্রবেশ ঘটে গৃহস্থে। আর এমনটা হওয়া মাত্র সুখের সময় শুরু হতেও সময় লাগে না। তাই পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে সুখের হদিশ দিতে কড়ির সঙ্গ নিতে ভুলবেন না যেন!
৫. গণেশ এবং লক্ষী দেবীর রুপোর মূর্তি রাখতে হবে:
শাস্ত্র মতে বাড়িতে বা অফিসে রুপো দিয়ে তৈরি গণেশ এবং লক্ষী দেবীর মূর্তি রাখা এবং তার পুজো করা খুব শুভ। এমনটা যদি করতে পারেন, তাহলে যে কোনও চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে দেখবেন সময়ই লাগবে না।
৬. রুপোর পা:
রুপো দিয়ে তৈরি মা লক্ষীর পা ঠাকুর ঘরে রাখা খুব শুভ। কারণ এমনটা করলে মায়ের আগমণ ঘটতে সময় লাগে না।
৭. এক চক্ষু নারকেল:
খেয়াল করে দেখবেন কিছু নারকেলের শরীরে মানব চক্ষুর মতো ক্ষত থাকে। এমন নারকেল বাড়িতে এনে পুজো করা শুরু করলে দেবী লক্ষী খুব প্রসন্ন হন এবং সেই পরিবারের উপর সব সময় নিজের নেক দৃষ্টি রাখেন। আর মায়ের আশীর্বাদ একবার কেউ পেলে তাকে যে আর কখনও পিছনে ফিরে তাকাতে হয় না, সে কথা কি আর বলে দিতে হবে!