Just In
- 16 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 17 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 21 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 22 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
অফিস পলিটিক্সের মাঝেও চরম সফলতার স্বাদ পেতে চান? শুরু করুন রাম নাম জপ করা!
শাস্ত্র মতে ভগবান বিষ্ণুর অবতার শ্রী রামের নামের মধ্যে এত শক্তি রয়েছে যে নিয়মিত রাম নাম করলে জীবনে চলার পথে আসা যে কোনও বাঁধা সরে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে মনের সব ইচ্ছাও পূরণ হয়।
শাস্ত্র মতে ভগবান বিষ্ণুর অবতার শ্রী রামের নামের মধ্যে এত শক্তি রয়েছে যে নিয়মিত রাম নাম করলে জীবনে চলার পথে আসা যে কোনও বাঁধা সরে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে মনের সব ইচ্ছাও পূরণ হয়। তাই অফিস পলিটিক্স হোক কী খারুস বসের অত্যাচার, যে কোনও ধরনের প্রতিবন্ধকতার মাঝেও যদি সফলতার স্বাদ পেতে চান, তাহলে সারা দিন ধরে মনে মনে রাম নাম জপ করতে ভুলবেন না যেন!
আগামী কাল রাম নবমী। সেই সঙ্গে রবিবার। ছুটির দিন। তাই অফিস যাওয়া তাড়া তো থাকবে না। ফলে সকাল সকাল উঠে স্নান সেরে এক মনে শ্রী রামের নাম নেওয়া শুরু করুন। দেখবেন সুফল পাবেনই। প্রসঙ্গত, রাম নাম নেওয়া শুরু করলে দেহের অন্দরে থাকা সাতটি চক্র অ্যাকটিভেট হয়ে যায়। ফলে মনাসিক শক্তির বিকাশ তো ঘটেই, সেই সঙ্গে শরীরিক এবং আধ্যাত্মিক শক্তির বিকাশ ঘটার কারণে জীবনে সুখ-শান্তি তো ফিরে আসেই। সেই সঙ্গে সফলতাও রোজের সঙ্গী হয়। মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন...
১. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়:
আজকের যুগে সফল হতে গেলে বুদ্ধির ধার থাকা উচিত। আর বুদ্ধি তখনই বারে, যখন ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্যে করতে পারে এই মন্ত্র। শাস্ত্র মতে এক মনে রাম নাম জপ করলে মস্তিষ্কের অন্দরে কম্পন সৃষ্টি হয়, যার প্রভাবে ব্রেন পাওয়ার এতটাই বৃদ্ধি পায় যে শুধু বুদ্ধি নয়, সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগ ক্ষমতারও বিকাশ ঘটে। আর এই তিনটি ক্ষমতা যখন সর্বত্তম মাত্রায় পৌঁছায় তখন সফলতা বেশি দিন দূরে থাকতে পারে না।
২. নেগেটিভ এনার্জির প্রকোপ কমে:
শাস্ত্র মতে আমাদের আশেপাশে নেগেটিভ বা খারাপ শক্তির প্রভাব বাড়তে থাকলে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটতে শুরু করে। ফলে সুখের ঝাঁপি খালি হতে সময় লাগে না। তাই খারাপ শক্তিকে হারাতে নিয়মিত রাম নাম জপ করা উচিত। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতিদিন মনে মনে রামের নাম নিলে একদিকে যেমন মনের অন্দরে জায়গা করে নেওয়া খারাপ চিন্তা দূরে পালায়। তেমনি গৃহস্থের অন্দরেও নেগেটিভ শক্তির প্রভাব কমতে থাকে। ফলে খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা তো কমেই, সেই সঙ্গে সফলতার স্বাদ পেতেও সময় লাগে না। আর খারাপ চিন্তার হাত থেকে মুক্তি মিললে জীবনে শান্তি ফিরে আসে। এবার বুঝেছেন তো রাম নামের মধ্যে কত শক্তি রয়েছে।
৩. মানসিক অবসাদ এবং অ্যাংজাইটির হাত থেকে রক্ষা মেলে:
আজকের ডেটে চাকরি সংক্রান্ত চাপ তো আছেই সেই সঙ্গে আরও নানা কারণে মানসিক অবসাদ বা স্ট্রেসের খপ্পরে পরা মানুষের সংখ্যা নেহাতেই কম নয়। এমন পরিস্থিতিতে মানসিক শান্তির সন্ধান পেতে রাম নাম জপ করা শুরু করতে পারেন। দেখবেন দারুন উপকার পাবেন। শাস্ত্র মতে নিয়মিত রামের নাম নিলে মস্তিষ্কের অন্দরে ফিল গুড হরমোনের ক্ষরণ বাড়তে শুরু করে। যার প্রভাবে স্ট্রেস হরমোনের প্রভাব কমতে থাকে। ফলে মানসির অবসাদ তো কমেই, সেই সঙ্গে অ্যাংজাইটি এবং দুশ্চিন্তাও দূরে পালায়।
৪. সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বাড়ে:
বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে রাম নাম করার সময় শরীরের অন্দরে বিশেষ এক ধরনের কম্পন সৃষ্টি হয়, যার প্রভাবে সাবকনসাস মাইন্ডের কর্মক্ষমতা বাড়ে। সেই সঙ্গে এমন কিছু নার্ভের ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে, যে কারণে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে ক্রিয়েটিভিটিও বাড়তে থাকে। এই কারণেই তো যারা ক্রিয়েটিভ কাজকর্ম করে থাকেন, তাদের নিয়মিত রাম নাম নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
৫. রাগের মাত্রা কমে:
আপনি কি খুব রাগী? তাহলে বন্ধু আজ থেকেই রাম নাম জপ করা শুরু করুন। দেখবেন মন শান্ত হবে। ফলে রাগ কমতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে যে কোনও ধরনের ঝুট-ঝামেলায় জড়িয়ে পরার আশঙ্কাও হ্রাস পাবে। প্রসঙ্গত, রাগ হল সেই আগুন, যা যে কোনও সুন্দর কিছুকে ধ্বংস করে দেয়। তাই বড় ধরনের কোনও ক্ষতি হওয়ার আগে রাগকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসুন। না হলে কিন্তু...!
৬. দুঃখ কমে:
নিয়মিত রাম নাম জপ করলে দেহের অন্দরে এবং বাইরে এত মাত্রায় পজেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করে যে কোনও ধরনের দুঃখের বাতাবরণ থেকে বেরিয়ে আসতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে মনের জোড় বেড়ে যাওয়ার কারণে মানসিক যন্ত্রণাও কমতে শুরু করে।
৭. রোগ ভোগের আশঙ্কা কমে:
শুনতে আজব লাগলেও একথার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে নিয়মিত রাম নাম জপ করলে সারা শরীরে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়। ফলে দেহের প্রতিটি অংশে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছে যাওয়ার কারণে সার্বিকভাবে শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।