Just In
- 4 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 5 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 9 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 10 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
দুশ্চিন্তার কারণে কি মনে হচ্ছে বুকে যেন পাথর বসে আছে? তাহলে চিন্তামুক্ত হতে পাঠ করুন এই মন্ত্রগুলি!
এই প্রবন্ধে এমন কিছু শক্তিশালী মন্ত্র সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা নিয়মিত পাঠ করলে মনের সব চিন্তা তো দূর হবেই, সেই সঙ্গে অ্যাংজাইটি এবং স্ট্রেসর মাত্রাও কমতে শুরু করবে।
মন্ত্র হল সেই শক্তি যাতে কাজে লাগিয়ে যে কোনও সমস্যার সমাধান মিলতে পারে। কিন্তু দুঃখের বিষয় অনেকেই সে সম্পর্কে খোঁজ রাখেন না। তাই তো এই প্রবন্ধে এমন কিছু শক্তিশালী মন্ত্র সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা নিয়মিত পাঠ করলে মনের সব চিন্তা তো দূর হবেই, সেই সঙ্গে অ্যাংজাইটি এবং স্ট্রেসর মাত্রাও কমতে শুরু করবে। আর এমন হলে অনন্দের ঝাঁপি যে নিমেষে ভরে উঠবে, সে কথা কি আর বলার অপেক্ষা রেখে!
তাহলে আর অপেক্ষা করছেন কেন! অপার শান্তি এবং আনন্দের সন্ধান পেতে এখনি চোখ রাখুন এই প্রবন্ধে। এমনটা করলে দেখবেন জীবনটা বদলে যেতে সময় লাগবে না। প্রসঙ্গত, যে যে মন্ত্রগুলি এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, সেগুলি হল...
১. শ্রী গণেশ মন্ত্র:
শাস্ত্র মতে নিয়মিত সকালে স্নান সেরে এই মন্ত্রটি জপ করলে সমস্যা ছোট হোক কি বড়, তা মিটে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে অ্যাংজাইটি এবং ডিপ্রেশনের মতো রোগের প্রকোপও হ্রাস পায়। ফলে সুখে-শান্তিতে ভরে ওঠে জীবন। প্রসঙ্গত, এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে প্রতিদিন পাঠ করলে কর্মক্ষেত্রে যেমন পদন্নতির সম্ভাবনা বাড়ে, তেমনি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথও প্রশস্ত হয়। তাই তো বলি বন্ধু, অপার সুখ এবং সমৃদ্ধির সন্ধান পেতে যদি চান, তাহলে গণেশ দেবের আরাধনা করতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল: "ওম গাম গনপতয়ে নমহঃ"।
২. হনুমান মন্ত্র:
ভয় এবং দুশ্চিন্তা দূর করতে এই মন্ত্রটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, এই মন্ত্র বলে মনের জোড় এতটা বেড়ে যায় যে, যে কোনও ধরনের বাঁধার পাহাড় সরে যেতে সময় লাগে না। তাই বন্ধু মানসিক চিন্তাকে জোড়া গোল যদি দিনে চান, তাহলে "ওম হানুমতে নমহঃ", এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, এই মন্ত্রটি নিয়মিত ১০৮ বার জপ করলে আরও কিছু উপকার পাওযা যায়। যেমন ধরুন- গৃহস্থের অন্দরে খারাপ শক্তির প্রবেশ ঘটতে পারে না। সেই সঙ্গে কুদৃষ্টির কারণে খারাপ কিছু হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। আর প্রতি মঙ্গলবার হনুমান জির পুজো করার পাশাপাশি যদি এই মন্ত্রটি জপ করতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই! সেক্ষেত্রে মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণের সম্ভবনা বৃদ্ধি পায়।
৩. দূর্গা মন্ত্র:
ছেলে-মেয়ে চিন্তায় আছে আর মা সাহায্য করবে না, তা কি কখনও হতে পারে! তাই তো শাস্ত্রে বলে বিপদে পরলেই মনে মনে "ওম সর্ব স্বরূপা সার্বেশা, সর্ব শক্তি সমঃভিতা, ভায়ে ভয়েস্ত্রহী নো দেবী, দূর্গা দেবী নমস্তুতে", এই মন্ত্রটি জপ করলে দুশ্চিন্তা কেটে যেতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, গৃহস্থে পজেটিভ শক্তির প্রভাব এতটা বেড়ে যায় যে সুখ-শান্তির ঝাঁপি খালি হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে গুড লাক রোজের সঙ্গী হওয়ার কারণে জীবন আনন্দে ভরে উঠতে সময় লাগে না।
৪. শিবা মন্ত্র:
দেবাদিদেব হলেন সর্বশক্তির আধার। তাই তো একবার যদি ভগবান শিবকে প্রসন্ন করতে পারেন, তাহলেই কেল্লাফতে! কারণ এমনটা হলে যে শুধু দুশ্চিন্তা দূর হয়, তা নয়, সেই সঙ্গে মনের সব ইচ্ছা পূরণ হতেও সময় লাগে না। সেই সঙ্গে গৃহস্থে জায়গা করে নেওয়া খারাপ শক্তিও দূরে পালায়। ফলে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। শুধু তাই নয়, অর্থনৈতিক উন্নতিও ঘটে চোখে পরার মতো। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল: "ওম ত্রয়ম্বকম ইজামাহে সুগন্ধিম পুষ্টি বার্ধানাম উর্বারুকামিভা বন্ধনাথ মৃত্য়ুমুকশিয়া মামরিতাৎ"।
৫. বিষ্ণ মন্ত্র:
ভগবান শিবের মতোই ভগবান বিষ্ণুও হলেন এই পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা। তাই তো শাস্ত্রে বলে নিয়মিত ভগবান বিষ্ণু বা তার কোনও অবতারের পুজো করা হলে জীবন সুন্দর হয়ে উঠতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে সমস্ত ধরনের দুশ্চিন্তাও দূর হয়। তাই বন্ধু কোনও কারণে যদি বেজায় চিন্তিত থাকেন এবং মনে হয় মনটা কেমন যেন কাটা মুরগির মতো ছটফট করছে, তাহলে এই বিষ্ণু মন্ত্রটি পাঠ করতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল: "ওম ওহরজিত্যায়া নমহঃ"। এই মন্ত্রটির অর্থ হল, হে ভগবান বিষ্ণ আমি আপনার সামনে মাথা নত করছি। আপনি আমায় আশীর্বাদ করুন যাতে সব বাঁধা দূর হয় এবং মন চিন্তা মুক্তি হতে পারে।
৬. শান্তি মন্ত্র:
জীবন যে সব সময় সুখের হবে এমন কোনও গ্যারান্টি নেই। শ্বাস চলছে মানে সমস্যা তো আসবেই। তাই এমন পরিস্থিতিতে ভেঙে পরলে চলবে না। বরং মনকে শান্ত করে ভাবতে হবে কীভাবে সমস্যার সমাধান বের হতে পারে। আর কোনও কারণে যদি সমাধান খুঁজে না পান, তাহলেও কোনও চিন্তা নেই! কারণ যে কোনও ধরনের দুশ্চিন্তা দূর করতে এই মন্ত্রটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। শাস্ত্র মতে "ওম শান্তি ওম", এই মন্ত্রটি এক মনে পাঠ করলে মন এবং মস্তিষ্ক এতটাই শান্ত হয় যে অ্যাংজাইটির প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে মানসিক অবসাদ বা ডিপ্রেশনের মতো সমস্যাও দূর হয়। ফলে সুখ-শান্তিতে ভরে ওঠে জীবন।