Just In
- 1 hr ago
সিল্কি এবং ঘন চুল পেতে ডায়েটে এই ভিটামিনগুলি অন্তর্ভুক্ত করুন
- 4 hrs ago
রান্নাঘরে থাকা এই জিনিসগুলিই নতুন মায়ের বুকের দুধ উৎপাদনে সাহায্য করবে!
- 9 hrs ago
মকর রাশিতে প্রবেশ করবে শুক্র, এই রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য শুভ হবে
- 9 hrs ago
পেঁপে পাতার রস বহু অসুখের মহৌষধ! জেনে নিন এর স্বাস্থ্য উপকারিতা
Don't Miss
ধুর ছাই আর ভাল লাগছে না! এমন চিন্তা মনে এলেই এই মন্ত্রগুলি পাঠ করুন দেখবেন উপকার পাবেন!
দৌড় ঝাপ করতে করতে মাঝে মাঝে মন এবং শরীর এত মাত্রায় ক্লান্ত হয়ে যায় যে মনে হয় সব ছেড়ে-ছুড়ে দিয়ে পালাই। কিন্তু তখই মনে পরে যায় বাড়ির ই এম আই, রোজের খরচ এবং বুড়ো বাবা-মার কথা। অমনি যেন এক অদৃশ্য শিকল পরে যায় পায়ে। তখন শত চেষ্টা করেও সেই শিকল ভেঙে মনকে স্বাধীন করতে পারা আর সম্ভব হয়ে ওঠে না। ফলে ক্লান্তিকে সঙ্গী করেই খিটখিটে মনে সারা শরীরটা শবের মতো বহন করে চালিয়ে যেতে রোজনামচার জীবন।
এমন পরিস্থিতির শিকার কম-বেশি আমরা সকলেই। কিন্তু দুঃখের বিষয় কি জানেন এমন জঘন্য পরিস্থিতির থেকে বেরিয়ে আসার উপায় আমাদের হতের কাছেই রয়েছে, কিন্তু সেই উপায় সম্পর্কে কারওই জানা নেই। তাই তো এই প্রবন্ধটি লেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া।
এখন প্রশ্ন হল, মন এবং শরীর যখন ভিতর এবং বাইরে থেকে ঝাঁঝরা হয়ে যায়, তখন কী করণীয়? এই সময় কানে হেডফোন লাগিয়ে ধীমে লয়ের কোনও গান প্লে করে এই প্রবন্ধে আলোচিত মন্ত্রগুলি পাঠ করা শুরু করুন। দেখবেন কয়েক দিনের মধ্যে মন তো শান্ত হবেই, সেই সঙ্গে শরীরের কান্তিও দূর হবে। ফলে নতুন উদ্যমে জীবন যুদ্ধে সামিল হতে পারবেন। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে এই মন্ত্রগুলির শক্তিতে যে শুধুমাত্র শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়ে, তেমন নয়, সেই সঙ্গে স্ট্রেস লেভেলও কমতে শুরু করে। ফলে মানসিক চাপের কারণে কোনও ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা যায় কমে।
তাহলে আর অপেক্ষা কেন বন্ধু, চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সব শক্তিশালী মন্ত্রগুলি সম্পর্কে, যা আমাদের জীবন বদলে দিতে পারে।

১.ওম শান্তি ওম:
একথা তো সবারই জানা আছে যে "ওম" মন্ত্র হল সেই মন্ত্র, যাকে ঠিক ঠিক উপায়ে কাজে লাগালে স্ট্রেস লেভেল তো কমেই, সেই সঙ্গে চঞ্চল মন বাগে এসে যায়। শুধু তাই নয়, ধীরে ধীরে শরীরের কর্মক্ষমতাও বাড়তে শুরু করে। ফলে ছোট-বড় কোনও রোগ যেমন ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না, তেমনি মন এত মাত্রায় চাঙ্গা হয়ে ওঠে যে দুঃখ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। আর মন যখন খুশিতে ভরে ওঠে, তখন সেই খুশি মনের সংস্পর্শে এসে আরও অনেকের মন আনন্দে ভরে ওঠে। ফলে জীবনে আনন্দের ঘাটতি দেখা দেওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।

২. অন্তর্যামী পুরখ বিধাতে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নিয়মিত এই মন্ত্রটি নিয়মিত জপ করা শুরু করলে মনের হারিয়ে যাওয়া শান্তি তো ফিরে আসেই। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের ক্ষমতাও বাড়তে শুরু করে। ফলে ধীরে ধীরে স্মৃতিশক্তির উন্নতি তো ঘটেই, সেই সঙ্গে বুদ্ধির ধারও বাড়ে। ফলে কর্মজীবনে চটজলদি উন্নতি লাভের পথ প্রশস্ত হয়, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক নিরাপত্তার স্বপ্নও পূরণ হয়। প্রসঙ্গত, পুরো মন্ত্রটি হল- "অন্তর্যামী পুরখ বিধাতে শ্রদ্ধা মানকি পুরে, নানক দাস সুখ মো কা, ও কার সান্তান কী দূরে!"

৩. সর্বেশম সাভাস্তির ভবতু:
শান্তি। আজকের দিনে এই শব্দটির খোঁজে সবাই তো রয়েছে, কিন্তু কীভাবে মিলতে পারে এর খোঁজ, সে সম্পর্কে কারওই জানা নেই। তাই তো দৌড়াতে দৌড়াতে শরীর ও মন ক্লান্ত হয়ে গেলেও জীবনের এই ফাঁদ থেকে বেরনো কারও পক্ষেই সম্ভব হয়ে ওঠে না। কিন্তু প্রতিদিন যদি এই মন্ত্রটি জপ করতে পারেন, তাহলে দেখবেন ক্লান্তি কখনও শরীরকে ছুঁতে পারবে না। সেই সঙ্গে মনের সব ইচ্ছাও একে একে দেখবেন পূরণ হবে। কেন এমনটা সম্ভব হবে জানেন? আসলে এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করলে গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যার প্রভাবে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। আর ভাগ্য যখন সঙ্গে থাকে, তখন স্বপ্ন পূরণ হতে যে সময় লাগে না, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই!

৪. তান মান শান্তি:
"তান মন শান্তি হোয়ে আধিকায়ে রোগ কাতায় সুখ সাভি জায়ে"। এই মন্ত্রটি প্রতিদিন জপ করলে মন এবং মস্তিষ্কের হারিয়ে যাওয়া শান্তি তো ফিরে আসেই, সেই সঙ্গে শরীরের অন্দরে শক্তি এত মাত্রায় বেড়ে যায় যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে অনিদ্রার মতো সমস্যা কমতেও সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে অল্প সময়ে মস্তিষ্কের ক্ষমতাকে অনেকটা বাড়িয়ে দিতে পারে। আর যেমনটা অনেকেরই জানা আছে যে ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পেলে জীবনের অনেক বাঁধাই সরে যেতে সময় লাগে না।

৫. লোকা সামাস্তা সুখিনো ভবতু:
আমাদের ছোট্ট মনটা যখন বেজায় খিটখিটে হয় যায়, তখন কোনও কিছুই মনে ধরে না। এমনকী পছন্দের মানুষেরাও তখন অপছন্দের লিস্টে জায়গা করে নেয়। এমন পরিস্থিতিতে মনের শান্তিতে পুনরায় খুঁজে পাওয়া দূরের কোনও বস্তু হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু যদি বিশ্বাস করে এই মন্ত্রটি পাঠ করা যায়, তাহলে কিন্তু কখনও এমন পরিস্থিতির সম্মুখিন হতে হবে না। শুধু তাই নয়, এমন আনন্দের সন্ধান পাবেন, যার খোঁজ এতদিন পর্যন্ত যে পাননি, সে কথা হলফ করে বলতে পারি। এখানেই শেষ নয়, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্ত্রটির শক্তিবলে জীবন পথে চলতে চলতে সামনে আসা যে কোনও বাঁধার পাহাড় সরে যেতে সময় লাগবে না। তাই তো বলি বন্ধু বাকি জীবনটা যদি শান্ত মনে অফুরন্ত আনন্দের সন্ধান পেতে চান, তাহলে এই মন্ত্রটিকে রোজের সঙ্গী বানাতে ভুলবেন না যেন!

৬. গায়ত্রী মন্ত্র:
"ওম ভুর ভুবহ সোওয়াহা, তাৎ সাভিতুর ভারেনিয়াম, ভার্গো দেবাসায়া ধিমাহে, ধিয়ো ইয়ো নাহ প্রাচোদায়াৎ", এই মন্ত্রটি পাঠ করা মাত্র জীবনের ছবিটা বদলে যেতে শুরু করে। এর মানে মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে দুঃখের জাল থেকে মুক্তি মেলে চোখের পলকে। আর জীবনে যখন দুঃখের কামড় থাকে না, থাকে না কোনও দুশ্চিন্তা, তখন এই মানব জীবনটা আনন্দে ভরে উঠতে যে সময় লাগে না, তা বলাই বাহুল্য!