Just In
- 1 hr ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 1 hr ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 19 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 20 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
বাড়ি,গাড়ি এবং অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে উঠতে গনপতি উপনিষদে লেখা এই গণেশ মন্ত্রগুলি পাঠ করতেই হবে!
প্রতি বুধবার একমনে বাপ্পার আরাধনা করবেন তাদের উপর আজীবন গণেশ দেবের নেক দৃষ্টি থাকবে।
যে সব বই হিন্দু ধর্মের প্রাণ হিসেবে পরিচিত, তার অন্যতম হল গনপতি উপনিষদ। প্রাচীন কালে লেখা এই বইয়ে এমন উল্লেখ রয়েছে যে যারা প্রতি বুধবার একমনে বাপ্পার আরাধনা করবেন তাদের উপর আজীবন গণেশ দেবের নেক দৃষ্টি থাকবে। আর একবার দেবের আশীর্বাদ লাভ করলে জীবনের ছবিটা বদলে যেতে সে সময় লাগবে না, তা বলাই বাহুল্য।
আসলে
গনপতি
বাপ্পা
হলেন
সুখ
এবং
সমৃদ্ধির
দেবতা।
তাই
তো
তাঁকে
একবার
প্রসন্ন
করতে
পারলে
একদিকে
যেমন
অর্থনৈতিক
উন্নতি
ঘটতে
সময়
লাগে
না।
তেমনি
আরও
অনেক
উপকার
মেলে।
যেমন
ধরুন-
কর্মক্ষেত্রে
উন্নতি
লাভের
পথ
প্রশস্ত
হয়,
মনোযোগ
ক্ষমতার
বিকাশ
ঘটে,
টাকা-পয়সা
সংক্রান্ত
যে
কোনও
সমস্যা
মিটে
যেতে
সময়
লাগে
না,
পরিবারে
সুখ-শান্তি
বজায়
থাকে,
খারাপ
শক্তির
প্রভাব
কমতে
শুরু
করে,
রোগ-ব্যাধি
দূরে
পালায়
এবং
কোনও
ধরনের
বিপদ
ঘটার
আশঙ্কা
যায়
কমে।
তবে
এই
সব
উপকারগুলি
পেতে
প্রতি
বুধবার
দেবের
পুজোর
আয়োজন
করতে
হবে
এবং
সর্শক্তিমানের
আরাধনা
করার
সময়
মোদক,
সেই
সঙ্গে
ভঙ্গরায়
পাতা,
বেল
পাতা,
অর্জুন
গাছের
পাতা,তেজ
পাতা,
কেতকি
পাতা,
ওক
পাতা
নিবেদন
করে
পাঠ
করতে
হবে
বিশেষ
কিছু
মন্ত্র।
তাহলেই
দেখবেন
কেল্লাফতে!
আসলে
গণেশ
উপনিষদে
আলোচিত
এই
মন্ত্রগুলি
পাঠ
করলে
দেব
এতটাই
খুশি
হন
যে
নানাবিধ
সুফল
পেতে
সময়
লাগে
না।
তাই
তো
বলি
বন্ধু,
লক্ষ
জীবন
পেরিয়ে
পাওয়া
এই
মানব
জীবনকে
যদি
আনন্দে
ভরিয়ে
তুলতে
হয়,
তাহলে
এই
প্রবন্ধে
একবার
চোখ
রাখে
ভুলবেন
না
যেন!
প্রসঙ্গত, যে মন্ত্রগুলি পাঠ করলে গণেশ ঠাকুর বেজায় প্রসন্ন হন সেগুলি হল...
১. গণেশ মন্ত্র:
শাস্ত্র মতে প্রতিদিন এই মন্ত্রটি ১০৮ বার পাঠ করলে যে কোনও কাজে সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে চরম উন্নতি লাভের পথও প্রশস্ত হয়। প্রসঙ্গত, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে নতুন কোনও কাজ শুরু করার আগে যদি পাঠ করা যায়, তাহলে সেই কাজে সফলতা আসেই আসে। মন্ত্রটি হল-"ওম গাম গণপাতায়ে নমহ, শ্রী সিদ্ধি বিনায়ক নামো নমহ। অষ্ট বিনায়ক নামো নমহ গনপতি বাপ্পা মরিয়া।"
২. দুঃখ বিদারক গজানন মন্ত্র:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই গণেশ মন্ত্রটি পাঠ করতে করতে যদি দেবের পুজো করা যায়, তাহলে গৃহস্থের প্রতিটি কোণায় পজেটিভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। যার প্রভাবে যে কোনও দুঃখ দূর হয়। সেই সঙ্গে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে পরিবারে। শুধু তাই নয়, কোনও ধরনের মনোমালিন্য বা কলহ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, এই সব উপকারগুলি পেতে যে মন্ত্রটি পাঠ করতে হবে, সেটি হল- "আম গাজনানম ভুতজ্ঞানাধিসেবিতাম কপিত্থয়া জাম্বো ফলচারু ভক্ষনাম উমাসুতাম শোকবিনাশকারাকাম নামামী বিঘ্নেশ্বর পাদপঙ্কজাম আম"।
৩. বক্রতুন্ডা মন্ত্র:
"শ্রী বক্রতুন্ডা মহাকায়া সূর্যকোটি সমপ্রভা নির্বিগনম কুরু মে দেভা সর্ব কার্যশু সর্বদা", বক্রতুন্ডা মন্ত্র নামে পরিচিত এই শ্লোকটি প্রতি বুধবার পাঠ করার মধ্যে দিয়ে দেবের আরাধনা করলে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে মনের সব ইচ্ছা পূরণ তো হয়ই। সেই সঙ্গে চরম অর্থনৈতিক উন্নতির স্বাদ পেতেও সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু চটজলদি যদি বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ করতে হয়, তাহলে এই মন্ত্রটি ১০৮ বার পাঠ করতে ভুলবেন না যেন!
৪. গণেশ বিজ মন্ত্র:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতিদিন সকালে উঠে এক মনে এই মন্ত্রটি জপ করা শুরু করলে স্ট্রেস লেভেল তো কমেই, সেই সঙ্গে মানসিক অশান্তিও দূর হয়। সেই সঙ্গে মনোযোগ ক্ষমতারও উন্নতি ঘটে। ফলে জীবন তো আনন্দে ভরে ওঠেই, তার পাশাপাশি পড়াশোনা এবং কর্মক্ষেত্রে সফলতা লাভের পথও প্রশস্ত হয়। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল: "ওম গাম গনপতয়ে নমহ"।
৫. সৌভাগ্য মন্ত্র:
"আম শ্রীম গাম সৌভাগ্যয়া গানপাতায়ে ভারভার্ড সর্বজন্ম মেইন ভাসামান্য নমহ", এই মন্ত্রটিকেই সৌভাগ্যয়া মন্ত্র বলা হয়ে থাকে। শাস্ত্রে এমনটা দাবি করা হয়েছে যে এই মন্ত্রটি প্রতি বুধবার পাঠ করা শুরু করলে খারাপ সময় কেটে যায়। শুধু তাই নয়, গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে ছোট-বড় নানা রোগ সব দূরে পালায়। ফলে আয়ু বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।
৬. খারাপ দৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে:
"ওম ভিগ্ন নশন্যায়া নমহ", এই শক্তিশালী গণেশ মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করলে আটকে থাকা যে কোনও কাজ পুনারায় ঠিক মতো হতে শুরু করে দেয়। সেই সঙ্গে গৃহস্থের অন্দরে খারাপ শক্তির প্রভাব যেমন কমে, তেমনি কুদৃষ্টির কারণে কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। ফলে বাকি জীবনটা সুখে-শান্তিতে কেটে যাওযার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও বাড়ে।
এই মন্ত্রগুলি পাঠ করলে যে দারুন সব উপকার মেলে সে বিষয়ে তো কোন সন্দেব নেই। কিন্তু এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয়ও মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন! কী সেই সেই বিষয় তাই ভাবছেন নিশ্চয়? আসলে বন্ধু বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়িতে গণেশ দেবকে প্রতিষ্টিত করার সময় কতগুলি নিয়ম মেনে চলা একান্ত প্রয়োজন। না হলে কিন্তু কোনও উপকারই পাওয়া যায় না। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে যে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে, সেগুলি হল...
১.গনেশ মূর্তি রাখার স্থান:
বাপ্পার আশীর্বাদ লাভ করতে বাড়ির কোন স্থানে দেবের মূর্তি স্থাপন করতে হবে, সে সম্পর্কে বেশির ভাগই জানেন না। তাই তো দিনের পর দিন সমস্ত উপাচার মেনে সর্বশক্তিমানের আরাধনা করার পরেও তেমন কোনও ফল মেলে না। তাই এখন প্রশ্ন হল কোখায় রাখতে হবে দেবের মূর্তি বা ছবি? বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির পূর্বদিকে যদি গনেশ ঠাকুরর মূর্তি রাখা যায়, তাহলে সবথেকে বেশি সুফল মেলে। আর যদি এমনটা সম্ভব না হয়, তাহলে উত্তর দিকেও রাখতে পারেন দেবের ছবি বা মূর্তি।
২. বাপ্পা আসন নিয়েছেন:
বাড়ির ঠাকুর ঘরে গনেশ মূর্তি স্থাপন করার সময় একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, তা হল গনেশ ঠাকুর বসে রয়েছেন, এমন ছবি বা মূর্তি বাড়িতে রাখতে হবে। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে আসন গ্রহণ করে রয়েছেন এমন মূর্তি রাখলে গৃহস্থের প্রতিটি কোণায় পজেটিভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে নানাবিধ সুফল মিলতে সময় লাগে না।
৩. মোদক এবং বাহন:
গনেশ ঠাকুরের হাতে রয়েছে মোদক এবং পায়ের কাছে আসন নিয়েছে তার বাহন, এমন মূর্তি বাড়িতে রাখা উচিত। কারণ শাস্ত্র মতে এই ধরনের মূর্তি বাড়িতে রাখলে সুখ-শান্তি যেমন বজায় থাকে, তেমনি মানসিক শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
৪. সাদা গনেশ মাস্ট:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির ঠাকুর ঘরে সাদা গনেশ ঠাকুরের মূর্তি স্থাপন করলে পরিবারের অন্দরে কোনও সময় কোনও ধরনের কলহ বা অশান্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে পরিবারে সমৃদ্ধি ছোঁয়া লাগে। তাই এবার থেকে গনেশ ঠাকুরের মূর্তি কেনার ইচ্ছা হলে সাদা মার্বেলের গণেশ মূর্তি কিনতে ভুলবেন না যেন!
৫. গণেশ ঠাকুরের শুঁড়:
গনেশ ঠাকুরের যে মূর্তিটি বাড়িতে এনেছেন তার শুঁড় যেন ঠাকুরের বাঁহাতের দিকে বেঁকে থাকে। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে এমন মূর্তি বাড়িতে রাখলে সুখের ঝাঁপি কখনও খালি হয় না। সেই সঙ্গে নানাবিধ বিপদ ঘটার আশঙ্কাও কমে।