Just In
- 11 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 12 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 15 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 17 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
এই ফুলগুলি দিয়ে এই দেব-দেবীদের পুজো করা উচিত কেন জানা আছে?
সেই মহাভারতের সময় থেকেই দেব-দেবীদের পুজোর সময় ফুল নিবেদন করার প্রথা চলে আসছে।
সেই মহাভারতের সময় থেকেই দেব-দেবীদের পুজোর সময় ফুল নিবেদন করার প্রথা চলে আসছে। কারণ এই মহাকাব্যে এমনটা লেখা রয়েছে যে মনে বিশ্বাস এবং ভক্তি নিয়ে কেউ যদি কোনও দেব-দেবীকে ফুল নিবেদন করেন, তাহলে সর্বশক্তিমানের আশীর্বাদে জীবনের যে কোনও কষ্ট কমে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে দেব-দেবীদের আশীর্বাদে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগবে জীবনে। তবে এত কিছু উপকার পেতে গেলে প্রথমে জেনে নিতে হবে আপনি কোন দেব-দেবীর পুজো করতে চান এবং তাঁর পছন্দের ফুল কী! কারণ পছন্দের ফুল নিবেদন করে সর্বশক্তিমানের আরাধনা করলে তবেই না নানাবিধ উপকার মেলার সম্ভাবনা বাড়বে!
এত দূর পড়ার পর নিশ্চয় জানতে ইচ্ছা করছে দেব-দেবীদের পছন্দের ফল সম্পর্কে? তাহলে আর অপেক্ষা কেন বন্ধু, চলুন হিন্দু শাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক প্রাচীন পুঁথির পাতা উল্টে জেনে নেওয়ার চেষ্টা চালানো যাক সেই সব ফুলগুলির সম্পর্কে, যা আপনাদে মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণের পথকে প্রশস্ত করবে...
১. ধুতরো ফুল:
বামন পূরাণ অনুসারে সমুদ্র মন্থনের সময় সমুদ্র গর্ভ থেকে উঠা আসা বিষ পান করার পর দেবদিদেবের বুক থেকে জন্ম নিয়েছিল ধুতরো ফুল। তাই তো সেই থেকেই এমনটা বিশ্বাস চলে আসছে যে ধুতরো ফুল নিবেদন করে শিব ঠাকুরের আরাধনা করলে দেবাদিদেব এতটাই প্রসন্ন হন যে ভক্তের মনের সব ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, প্রতি সোমবার এই ফুলটি নিবেদন করে শিব ঠাকুরের পুজো করলে আরও নানাবিধ উপকার মেলে। যেমন ধরুন- টাকা-পয়সা সংক্রান্ত নানাবিধ ঝামেলা মিটে যায়, রাগের মাত্রা কমে, রোগ-ব্যাধি দূরে পালায় এবং পরিবারের অন্দরে খারাপ শক্তির প্রভাব কমতে শুরু করে।
২. রক্ত জবা:
কালী ঠাকুরের পুজোর সময় জবা ফুল নিবেদনের প্রথা আজকের নয়। কিন্তু কেন মায়ের পুজোর সময় এই বিশেষ ফুলটি নিবেদন করা হয়, সে সম্পর্কে জানা আছে? নানাবিধ প্রাচীন বই অনুসারে জবা ফুলের পাপড়ি অনেকরটা মা কালীর জিহ্বার মতো দেখতে। সেই সঙ্গে লাল রংটা মা কালীর শক্তির প্রতীকও বটে। তাই তো মাতৃশক্তির অরাধনা করার সময় এই ফুলটি নিবেদন করলে দেবী এতটাই প্রসন্ন হন যে দেবীর আশীর্বাদে খারাপ শক্তির প্রভাব কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে আরও কিছু উপকার মেলে। যেমন ধরুন- কালো যাদুর কারণে কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না, অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে, বাস্তু দোষ কেটে যায় এবং মায়ের আশীর্বাদে খারাপ সময় কেটে যেতে সময় লাগে না।
৩. জুঁই ফুল:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে অপূর্ব সুন্দর এই ফলটির মূল স্বর্গে গিয়ে ষে। হয়েছে। শুধু তাই নয়, শাস্ত্রে এমনটা উল্লেখ পাওয়া যায় যে সমুদ্র মন্থনের সময় এই গাছটির জন্ম নেওয়ার পর দেবরাজ ইন্দ্র সেই গাছটি এনে স্বর্গে স্থাপন করেছিলেন। তারপর থেকেই এই ফুলটি নিবেদন করে দেবতারা ভগবান বিষ্ণু এবং মা লক্ষ্মীর অরাধনা শুরু করেছিলেন। প্রসঙ্গত, শাস্ত্র মতে এই ফুলটি নিবেদন করে প্রতি বৃহস্পতিবার ভগবান বিষ্ণু এবং মা লক্ষ্মীর অরাধনা করলে নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়। যেমন ধরুন- পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় থাকে, টাকা-পয়সা সংক্রান্ত নানা ঝামেলা মিটে যায়, খারাপ সময় কেটে যেকে সময় লাগে না, বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হয়, কোনও ধরনের বিপদ বা দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় কমে এবং বৃহস্পতি গ্রহের খারাপ প্রভাব কেটে যাওয়ার কারণে কর্মক্ষেত্রে চরম উন্নতি লাভের পথ প্রশস্ত হয়। তাই তো বলি বন্ধু, এতসব উপকার পাওয়ার যদি ইচ্ছা থাকে, তাহলে জুঁই ফুল নিবেদন করে বিষ্ণু দেব এবং তাঁর স্ত্রীর পুজো করতে ভুলবেন না যেন!
৪. পদ্ম ফুল:
মা লক্ষ্মী তাঁর আসন পেতেছেন পদ্মফুলের উপর। কারণ এই ফুলটি দেবীর বেজায় পছন্দের। তাই তো এমনটা বিশ্বাস কা হয় যে এই ফুলটি নিবেদন করে যদি মা লক্ষ্মীর অরাধনা করা হয়, তাহলে দেবী এতটাই প্রসন্ন হন যে গৃহস্থে প্রবেশ ঘটে মায়ের। আর যে বাড়িতে ধন দেবী স্বয়ং নিজের আসন পাতেন, সেই পরিবারের প্রতিটি সদস্যের অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে যেমন সময় লাগে না, তেমন দেবীর আশীর্বাদে মনের মতো চাকরি পাওয়ার স্বপ্নও পূরণ হয়। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে অল্প সময়ের মধ্যেই চরম সফলতা লাভের সম্ভাবনাও যায় বেড়ে। প্রসঙ্গত, শাস্ত্র মতে দিওয়ালি এবং লক্ষ্মী পুজোর সময় পদ্ম ফুল নিবেদন করে মায়ের অরাধনা করলে এবং দেবীর সামনে পদ্ম বীজের মালা রাখলে নাকি আরও দ্রুত উপকার মেলে।
৫. গাঁদা ফুল:
যে কোনও লাল ফুলই গণেশ ঠাকুরের বেজায় পছন্দের। কিন্তু শাস্ত্র বলে কমলা রঙের গাঁদা ফুল বাপ্পার সবথেকে বেশি পছন্দের। তাই তো এই ফুলটি নিবেদন করে প্রতি বুধবার দেবের অরাধনা করলে গণেশ দেব এতটাই প্রসন্ন হন যে তাঁর আশীর্বাদ মিলতে সময় লাগে না। আর এমনটা যখন হয়, তখন পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া তো লাগেই, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে চোখে পরার মতো। তবে এখানেই শেষ নয়, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে গণেশ দেবের মন জয় করতে পারলে যে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি কর্মক্ষেত্রে উন্নতির পথও প্রশস্ত হয়।
৬. পলাশ:
যে কোনও সাদা ফুলের পাশাপাশি মা সরস্বতীর পলাশ ফুল খুব পছন্দের। তাই তো এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি শুক্রবার যদি পলাশ ফুল নিবেদন করে বিদ্যা দেবীর অরাধনা করা হয়, তাহলে মা এতটাই প্রসন্ন হন যে তাঁর আশীর্বাদে বাচ্চাদের পড়াশোনায় উন্নতির পথ তো প্রশস্ত হয়ই, সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে চটজলজদি উন্নতির সম্ভাবনাও বাড়ে। তাই তো বলি বন্ধু, পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করার স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি যদি চাকরিতে একের পর এক প্রমোশন পেতে চান, তাহলে পলাশ ফুল নিদেবন করে মা সরস্বতীর পুজো করতে ভুলবেন না যেন!