Just In
Don't Miss
সুস্থ শরীরের হদিশ পেতে চান নিশ্চয়? তাহলে জপ করা শুরু করুন এই মন্ত্রগুলি!
হিন্দু শাস্ত্রের দিকে নজর ফেরালে জানতে পারবেন এমন কিছু মন্ত্র সম্পর্কে, যা নিয়মিত পাঠ করলে শরীরের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে ছোট-বড় সব রোগ দূরে পালায়।
ছোট থেকে বড়, ৮ থেকে ৮০ সবাই চায় সুস্থভাবে বাঁচতে। কিন্তু তবু কী সবার সেই ইচ্ছা পূরণ হয়, মনে তো হয় না। আজকের কর্মব্যস্ত জীবন, তার উপর স্ট্রেস এবং অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে ৩০ এই শরীর ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। রোগের আগুনে জ্বলতে জ্বলতে সিংহভাগেরই জীবন বাতি নিভে যাচ্ছে ৫০ পেরতে না পেরতেই। এমন পরিস্থিতি দুটো কাজ করতে পারেন। এক, স্বাস্থ্যকর খাবার খান। সেই সঙ্গে নিয়মিত অল্প-বিস্তর শরীরচর্চা করে শরীরকে ভিতর এবং বাইরে থেকে এতটাই শক্তিশালী করে তুলুন যেন কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে না পারে। আর দুই...
দু নম্বর অপশানটার কথা মনে হয় কোনও দিন শোনেন নি আপনারা। কী সেই উপায়? হিন্দু শাস্ত্রের দিকে নজর ফেরালে জানতে পারবেন এমন কিছু মন্ত্র সম্পর্কে, যা নিয়মিত পাঠ করলে শরীরের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে ছোট-বড় সব রোগ দূরে পালায়। তাই তো এ দেশের যুবসমাজের সার্বিক কল্যাণের কথা ভেবে এই প্রবন্ধে সেই সব মন্ত্রগুলিকে তুলে ধরা হল, যা আপনাকে সুস্থ শরীরের সন্ধান দিতে পারে।
প্রসঙ্গত, মন্ত্রগুলি পাঠ করে যদি বাড়ির বাচ্চাদের মাথায় জল ছিটিয়ে দিতে পারেন, তাহলে কিন্তু তারাও মন্ত্র বলে সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। তাই আগামী প্রজন্মকে যদি সুস্থ-সবল বানাতে চান, তাহলে এই উপাদেশটা মেনে চলতে ভুলবেন না যেন!
এখন প্রশ্ন হল কী কী মন্ত্র শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করতে পারে?
১. রোগ নিরোধক মন্ত্র:
"ওম নম ভগবতে গুরুদয়া ভিয়ম কেশয়া সাভাস্তাস্যু সোয়াহা", এই মন্ত্রটি প্রতিদিন সকালে স্নান সেরে ১০১ বার পাঠ করলে উপকার মিলতে দেখবেন সময় লাগবে না। তবে মন্ত্রটি পাঠ করার সময় একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। তা হল এই সময় হাতে একটু জল নিতে ভুলবেন না। তারপর মন্ত্রটি পাঠ করা শেষ করে জলটা তিলকের মতো মাথায় লাগলে দেখবেন আরও বেশি উপকার পাবেন।
২. ওম মন্ত্র:
দা সাউন্ড অব ইউনিভার্স নামে খ্যাত এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে শুধু শরীরকে নয়, মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতেও ওম মন্ত্রের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই তো বন্ধু রোগমুক্ত শরীর পাওয়ার স্বপ্ন যদি পূরণ করতে চান, সেই সঙ্গে বাড়াতে চান ব্রেন পাওয়ারকেও, তাহলে দিনের কোনও নির্দিষ্ট সময় শান্ত মনে বসে এক মনে ওম মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, বাচ্চাদেরও যদি এই মন্ত্রটি পাঠ করাতে পারেন, তাহলে কিন্তু তাদেরও দারুন উপকার মেলে।
৩. বৃহস্পতি মন্ত্র:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে কোনওভাবে যদি ভগবান বৃহস্পতিকে সন্তুষ্ট করতে পারেন, তাহলে রোগ-ব্যাধির জ্বালা থেকে তো মুক্তি মেলেই। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথও প্রশস্ত হয়। শুধু তাই নয়, গৃহস্তের অন্দরে পজেটিভ শক্তির বিকাশ এত মাত্রায় ঘটে যে কোনও ধরনের খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে। এখন প্রশ্ন হল, কীভাবে প্রসন্ন করা যেতে পারে লর্ড বৃহস্পতিকে? এক্ষেত্রে প্রতি বৃহস্পতিবার "ওম সুচিরমর্করি বৃহস্পতিম অধভার্সু নমস্তুতে", এই মন্ত্রটি কম করে ২১ বার জপ করতে হবে। তাহলেই দেখবেন সুফল মিলতে শুরু করেছে।
৪. শিব মন্ত্র:
দেবাদিদেব হলেন সর্বশক্তিমান। তাই তো তাঁকে যদি একবার প্রসন্ন করতে পারেন, তাহলে যে শুধু রোগমুক্ত শরীরের অধিকারি হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হয়, তা নয়, সেই সঙ্গে মনের সব ইচ্ছা পূরণ হতেও সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভের সম্ভাবনাও যায় বেড়ে। তাই তো বলি বন্ধু এ জীবনে সুখে-শান্তিতে বাঁচতে যা কিছু পার্থিব জিনিসের প্রয়োজন পরে, তা যদি পেতে চান, তাহলে নিয়মিত "ওম নমঃ শিবায়", এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, শিব মন্ত্রটি জপ করার সময় আমাদের শরীরের প্রতিটি চক্র এত মাত্রায় অ্যাকটিভ হয়ে যায় যে রোগ দূরে পালাতে সময় লাগে না।
৫. মহর্ষি বশিষ্ট মন্ত্র:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নিয়মিত স্নান সেরে যদি বশিষ্ট মন্ত্রটি জপ করা যায়, তাহলে মন, মস্তিষ্ক এবং শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়তে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, মহর্ষির আশীর্বাদে গৃহস্তের অন্দরে শুভ শক্তির প্রভাব এত মাত্রায় বেড়ে যায় যে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে জীবন বদলে যেতে সময় লাগে না। তবে এই মন্ত্রটি কম করে ২১ বার পাঠ করতে হবে। তাহলেই দেখবেন জীবন একেবারে বদলে গেছে।