Just In
- 1 hr ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 2 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 6 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 7 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
মন মেজাজ কি খুব খুটখিটে হয়ে গেছে? তাহলে এই মন্ত্রগুলি পাঠ করুন দেখবেন মানসিক শান্তি ফিরে আসবে!
এই প্রবন্ধে এমন কিছু শক্তিশালী মন্ত্রের সম্পর্কে আলোচনা কর হল, যা নিয়মিত পাঠ করলে মানসিক শান্তি তো ফিরে আসবেই। সেই সঙ্গে স্ট্রেস লেভেল কমে যেতেও সময় লাগবে না।
শারীরিক ক্লান্তি, আফিসের চাপ, স্ট্রেস এবং আরও নানা সব কারণে মন মেজাজ কখনও সখনও এতটাই বিগড়ে যায় যে ছোট ছোট বিষয়ে ঝগড়া-ঝাটি হতে থাকে। সেই সঙ্গে পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে মনোমালিন্য এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছায় যে সুখ-শান্তি দূরে পালাতে সময় লাগে না। ফলে অনেকেই এমন পরিস্থিতি থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসার সম্ভব, তা বুঝে উঠতে পারেন না। ফলে জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠতে সময় লাগে না।
তবে আর নয়! এবার থেকে দেখবেন এমন পরিস্থিতি আর মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে না। কারণ এই প্রবন্ধে এমন কিছু শক্তিশালী মন্ত্রের সম্পর্কে আলোচনা কর হল, যা নিয়মিত পাঠ করলে মানসিক শান্তি তো ফিরে আসবেই। সেই সঙ্গে স্ট্রেস লেভেল কমে যেতেও সময় লাগবে না। তবে এখানেই শেষ নয়, শাস্ত্র মতে এই মন্ত্রগুলি এতটাই ক্ষমতা ধারণ করে যে তার প্রভাবে জীবনটাই বদলে যাবে দেখবেন। ফলে গরীব হয়ে উঠবে বড়লোক আর দুখির ঝোলা ভরে যাবে অপার খুশিতে।
প্রসঙ্গত, সংস্কৃতে মন্ত্র শব্দটি এসেছে "মন" এবং "ত্রা" থেকে। এখানে মন মানে হল মস্তিষ্ক, আর ত্রা শব্দটির মানে হল মাধ্যম। অর্থাৎ যে মাধ্যমে মস্তিষ্ককে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তাই হল মন্ত্র। এই কারণেই তো শাস্ত্রে বলা হয় ঠিক ঠিক মতো মন্ত্রচ্চারণ করলে মস্তিষ্কের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে জীবনটা বদলে যেতে সময় লাগে না। তাই বলি বন্ধুরা, আপনার যদি অফুরন্ত আনন্দের পাশাপাশি তুমুল অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির স্বাদ পেতে চান, তাহলে এই প্রবন্ধে আলোচিত মন্ত্রগুলি পাঠ করতে ভুলবেন না যেন!
১. ওম সার্বেশাম সাবাস্তির ভবতু:
এই মন্ত্রটিকে ইউনিভার্সাল পিস মন্ত্র বলা হয়ে থাকে। কারণ নিয়মিত এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করলে মন এতটাই শান্ত হয়ে যায় যে কঠিন থেকে কঠিনতর পরিস্থিতিতেও দুশ্চিন্তা থাবা বসাতে পারে না। সেই সঙ্গে রাগের মাত্রাও কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত এই মন্ত্রটি জপ করলে ব্রেন পাওয়ারও মারাত্মক বৃদ্ধি পায়। ফলে স্মৃতিশক্তি, মনযোগ ক্ষমতা এবং বুদ্ধির বিকাশ ঘটতে সময় লাগে না। মন্ত্রটি হল: " ওম সার্বেশাম সাবাস্তির ভবতু"।
২. গায়েত্রী মন্ত্র:
ঋক বেদ অনুসারে এই মন্ত্রটি নিয়মিত জপ করলে মনের জোড় এতটাই বৃদ্ধি পায় যে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে স্ট্রেস লেভেলও কমতে শুরু করে। ফলে শারীরিক এবং মানসিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। শুধু তাই নয়, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে গায়েত্রী মন্ত্র এতটাই শক্তিশালী যে তার প্রভাবে গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির বিকাশ ঘটতে শুরু করে। ফলে কোনও ধরনের খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে গুডলাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল, "ওম ভুর ভুবাহ সোয়াহা, তাৎ সাভিতুর ভারেনইয়াম ভার্গো দেবাসিয়া ধিমাহে ধিও ইয়ো নাহ প্রাচোদায়াত"।
৩. শিব মন্ত্র:
শাস্ত্র মতে নিয়মিত সকালে উঠে স্নান সেরে যদি "ওম নম শিবায়", এই মন্ত্রটি জপ করতে পারেন, তাহলে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব কমতে শুরু করে। ফলে গৃহস্থের অন্দরে সুখ-শান্তির ছোঁয়া তো লাগেই, সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভের সম্ভাবনাও যায় বেড়ে। এখানেই শেষ নয়, নিয়মিত এই মন্ত্রটি জপ করলে মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন ধরুন- মন শান্ত হয়, মনের জোড় বাড়ে, স্ট্রেস লেভেল কমতে শুরু করে এবং ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।
৪. গণেশ মন্ত্র:
অনেকে বিশ্বাস করেন মানসিক শান্তি তখনই মেলে যখন অর্থনৈতিক কষ্ট দূর হয়। কথাটা যদিও ঠিক নয়। তবে তর্কের খাতিরে যদি সত্যি মেন নি। তাহলেও চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। কেন এমন কথা বলছি তাই ভাবছেন তো? আসলে বন্ধু এমন একটি মন্ত্রের সম্পর্কে আপনাদের জানাতে চলেছি, যা কম সময়ে আপনাকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির চূড়ায় নিয়ে যাবে। মন্ত্রটি হল "ওম গাম গানাপাতায়ে নমহঃ"। এই মন্ত্রটি নিয়মিত পাঠ করলে গণেশ দেবতা এতটাই প্রসন্ন হন যে সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে জীবন। ফলে জীবন সুন্দর হয়ে উঠতে সময় লাগে না।
তাহলে বন্ধু এবার থেকে যখনই দেখবেন মন-মেজাজ বেজায় তিক্ত হয়ে যাচ্ছে, তখন মনে মনে এই মন্ত্রগুলির কোনও একটি জপ করলে দেখবেন দারুন ফল পাবেন। আর যদি মনের মতো ফল পান, তাহলে এই লেখাটি বন্ধু-বান্ধব এবং পরিচিতদের মধ্যে শেয়ার করে বাকিদেরও অফুরন্ত আনন্দের পথ দেখাতে ভুলবেন না যেন!