Just In
- 1 hr ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 3 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
- 3 hrs ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
- 17 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
বেসনে ডোবানো মাছ ভাজা
বেসনে ডোবানো মাছ ভাজা, বা মাছের পাকোড়া বলি যাকে, তার একটা সহজ প্রণালী এটা।
বেসনে ডোবানো মাছ ভাজা, বা মাছের পাকোড়া বলি যাকে, তার একটা সহজ প্রণালী এটা। আপনার খাটনির পরিবর্তে যেটা তৈরী হবে, তা দারুণ সুস্বাদু! মাছের পাকোড়া সারা দেশেই বানানো হয়। তবে আজ যে প্রণালীটা এখানে শেখান হচ্ছে, সেটা অনেকটাই অমৃতসরের রাস্তার ধারের পদ্ধতি বলা যেতে পারে।
এই মাছের পাকোড়ার জনপ্রিয় নাম অমৃতসরি মাছ ভাজা। এটা বাইরে থেকে মুচমুচে, কিন্তু ভেতর থেকে নরম। এই রান্নাটি মূলত অমৃতসর, পাঞ্জাবের। এটা ওখানকার অধিবাসীদের কাছে খুব জনপ্রিয় এবং এটা রাস্তার মোড়ের যে কোন দোকানে পাবেন। এটা সাধারণত শিঙি অথবা মাগুর মাছ দিয়ে হয়, ইংরেজিতে যাকে বলে ক্যাটফিস। কিন্তু যদি আপনি এই মাছ না পান, তাহলে অন্য মাছ, যেমন কড, ট্রাউট, তেলাপিয়া বা স্যামন মাছ ব্যবহার করতেই পারেন। যে কোনও টাটকা মাছ, যাতে কাঁটা কম, অনায়াসে তা ব্যবহার করা যেতে পারে। টাটকা মাছে স্বাদ বেশি ভাল হয়। ক্যানে রাখা মাছও ব্যবহার করা যায়। তবে রকম মাছ ব্যবহার করার আগে শুধু মাছটা রাখার জন্য ব্যবহৃত সব রসগুলো ভাল করে বের করে নেবেন চেপে।
এই মাছ ভাজার আসল স্বাদ নির্ভর করে যে মিশ্রণে এটা ডুবিয়ে ম্যারিনেড করা হয়, সেটার ওপর। জোয়ান ও বেসন একটা আলাদা স্বাদ এনে দেয়। আরেকটা মজাদার সামগ্রী হল, ক্লাব সোডা - যার ফলে এটা মুচমুচে হয়। অনেকে এর বদলে বীয়ার ব্যবহার করেন। শুধু জলও ব্যবহার করা যায়, কিন্তু তাতে পদটা ওরকম মুচমুচে হবে না। এবার চলুন সরাসরি যাই রান্নাটার প্রস্তুতিতে।
উপাদান:
শিঙিমাছ অথবা মাগুর মাছ - ৫০০ গ্রাম
বেসন - ১ কাপ
ঘন দই - ১ কাপ
আদা-রসুন বাটা - ২ টেবিল চামচ
ক্লাব সোডা - ১/২ ক্যান
কমলা খাবারের রঙ - ইচ্ছে হলে
লেবু - ২
তেল - ৪ টেবিল চামচ
জোয়ান - ১ চা চামচ
চাট মশলা - ১ চা চামচ
নুন - স্বাদ অনুযায়ী
পদ্ধতি :
• একটা বাটিতে, দই, আদা-রসুন বাটা, খাবারে দেওয়ার রঙ এবং বেসন,
সবকটি ভাল করে মেশান।
• এই মিশ্রণে, জোয়ান, লাল লঙ্কা গুঁড়ো, চাট মশলা ও নুন মেশান।
• এবার এতে আস্তে আস্তে ক্লাব সোডা মেশান, মিশ্রণটি ঘন করার জন্য।
খেয়াল রাখবেন যেন মিশ্রণটা দলা পাকিয়ে না যায়। ক্লাব সোডার কাজ হল
ভাজাটাকে আর মুচমুচে করা। আপনি জল বা বীয়ারও দিতে পারেন।
• মাছটাকে পাতলা পাতলা করে কাটুন ও তারপর ওই মিশ্রণে ডোবান। দেখুন
যাতে মাছের গায়ে ভাল করে মিশ্রণটি মাখানো হয়।
• এবার একটা বাটি ঢাকা দিয়ে রাখুন বা প্লাস্টিকের ফিল্মে মুড়িয়ে
রাখুন। ফ্রীজে রাখুন যাতে ভাল করে ম্যারিনেড হয়।
• এবার গ্যাসে কড়াই বসিয়ে আগুনটা বাড়িয়ে দিন। এতে তেল দিয়ে গরম করুন,
যতক্ষণ না ধোঁয়া বেরোয়।
• এবার ফ্রীজ থেকে মাছটা বের করুন। এবার তেলে দুটো করে ছাড়ুন যতক্ষণ
না ভাল করে ভাজা হয়।। খেয়াল রাখবেন যেন তেল না ছিঁটে আসে গায়ে।
• এবার আগুনটা কমিয়ে দিয়ে মাঝারি গরম তেলে ভাজতে থাকুন।
• মাঝে মাঝে মাছটা উলটে দিন।
• মাছগুলো ততক্ষণ ভাজুন, যতক্ষণ না সোনালি রঙ ধরে। সাধারণত এটা হতে ২
মিনিট লাগে।
• এরকম ভাবেই বাকিগুলো ভাজুন।
• একটা থালায় এগুলো ভেজে রাখুন।
• এরপর ওপরে চাট মশলা ছড়িয়ে দিন ও লেবু কেটে সাজান।
•গরম গরম এই মাছ ভাজাগুলো এবার পরিবেশন করুন।
সাবস্ক্রাইব করুন বোল্ডস্কাই বাংলা | Subscribe to Bengali Boldsky.
সাবস্ক্রাইব করুন বোল্ডস্কাই বাংলা | Subscribe to Bengali Boldsky.