Just In
- 24 hrs ago কেন ভারতীয়দের মধ্যে ওবেসিটির হার বাড়ছে, কী তথ্য উঠে এল গবেষণা থেকে, জানুন
- 1 day ago কবে পড়েছে ফাল্গুন পূর্ণিমা, আর্থিক সঙ্কট কেটে সুখের মুখ দেখবেন কোন রাশির ব্যক্তিরা?
- 1 day ago চাকরি থেকে ব্যবসায় সফলতা পেতে চাইছেন, হোলিকা দহনের দিন করুন এই প্রতিকারগুলি
- 2 day ago শনিদেবের কৃপা পান কারা, অর্থ সঞ্চয় করে রাখতে পটু এই রাশির ব্যক্তিরা
কি কারণে শিশুদের ডিহাইড্রেশন হয়?
শিশুদের মধ্যে তরলের অভাব একটি গুরুতর এবং সাম্ভাব্য মারাত্মক রোগ। এটি তখন হয় যখন, অত্যধিক পরিমাণ তরল শরীর থেকে হারিয়ে যায় এবং পুনরায় খুব তাড়াতাড়ি সেই ঘাটতির পূরণ হয়ে ওঠে না। প্রাপ্তবয়স্ক এবং বড়ো বাচ্চাদের তুলনায়, শিশু ও ছোট বাচ্চারাই ডিহাইড্রেশনের প্রতি বেশি সংবেদনশীল হয়ে থাকে।
মানবদেহের ৯৬ শতাংশেরও বেশি পরিমান জল, আর এই তরলের মাত্রা উপযুক্ত সুস্বাস্থ্য ও শারীরিক ক্রিয়াকলাপ বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয়। আমরা এটি জল, অন্যান্য তরল পান করে ও খাবার খেয়েও করে থাকি।
শিশুদের মধ্যে ডিহাইড্রেশনের সাধারণ কারণগুলি হল, হতে পারে তা রোটাভাইরাসের মতো কোন ভাইরাল ইনফেকশন অথবা হতে পারে কলি বা সালমোনেলার মতো ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন দ্বারা বারবার অসুস্থ হয়ে পরা।
যখনই কোন শিশু অসুস্থ হয়ে পরে, তখনই তাদের খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়, যার ফল হয় তরল না পান করা। অসুস্থতার আনুষঙ্গ হিসাবে ডাইরিয়া ও বমিও থাকে, যা শরীর থেকে প্রয়োজনীয় বডি-ফ্লুইডের অপচয় করিয়ে দেয়। শরীর থেকে যদি অতিরিক্ত জল হারিয়ে যায় এবং একই হারে তার পরিপূরণ না হয়, তবে এর পরিনাম হয় ডিহাইড্রেশন।
শিশুদের মধ্যে ডিহাইড্রেশনের অন্য কারণগুলির মধ্যে পরজীবী (parasites) এবং অত্যাধিক তাপও অন্তর্ভূক্ত। শিশু ও বাচ্চারা খুব তাড়াতাড়ি ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়তে পারে এবং তাদের খাওয়া ও তরল পান করার অভ্যাসের প্রতি ভালভাবে নজর রাখতে হবে।
শিশুরা যদি চার থেকে পাঁচ ঘন্টা পর্যন্ত কিছুই না খেয়ে বা তরল পান করে না থাকে, তারা ডিহাইড্রেশনের শিকার হয়ে পড়তে পারে। এটা নির্দিষ্ট ভাবে বিশেষ প্রয়োজন যখন তারা দীর্ঘক্ষণ রৌদ্রে থাকছে বা একই সময়ের জন্য তারা অত্যন্ত সক্রিয় রয়েছে।
ডিহাইড্রেশন এড়িয়ে যাওয়ার সবথেকে ভাল উপায় প্রতিদিন জল পান করা। জুসের সাথে সাথে অন্যান্য তরলও, শরীরে তরলের মাত্রা পরিপূরণ করতে সাহায্য করে কিন্তু বিশুদ্ধ, পরিষ্কার জল পান করাই সবথেকে বেশি কার্যকর। কোন বাচ্চা বা ছোট শিশু যদি ডিহাইড্রেটেড হয়ে পরে তবে তার তাৎক্ষনিক চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
ডিহাইড্রেশনে ভোগা শিশুদের চিকিৎসা করতে প্রায়শই, মৌখিক ইলেক্ট্রোলাইট পাউডার (oral electrolyte powder), জলে মিশিয়ে দেওয়া হয়। এতে তরল, চিনি ও ক্যামিক্যালস রয়েছে যা তাদের দেহের সামঞ্জস্যতা ফিরিয়ে আনে।