Just In
আপনার বাচ্চা টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কিনা বুঝবেন কীভাবে?
এই প্রবন্ধটি পড়ে জেনে নিন টাইপ-১ ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলি সম্পর্কে।
গত কয়েক বছরে নানা করণে বাচ্চা এবং অ্যাডোলোসেন্টদের মধ্য়ে বেড়েছে এই রোগের প্রকোপ। সচেতনতার অভাব যদি একটা কারণ হয়, তাহলে অন্য় কারণটি অবশ্য়ই লক্ষণ চিনতে না পারা। অনেক বাবা-মাই প্রথম দিকে বুঝতেই পারেন না তার বাচ্চা টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েছে। ফলে রোগ নিজের মতো করে বাড়তেই থাকে।
বাচ্চার প্য়াংক্রিয়াস যখন ঠিক মতো ইনসুলিন তৈরি করতে না পারে, তখনই দেখা দেয় টাইপ-১ ডায়াবেটিস। তাই তো এই রোগে আক্রান্ত হলে বাইরে থেকে ইনসুলিন দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। সেই কারণেই টাইপ-১ ডায়াবেটিসকে ইনসুলিন ডিপেনডেন্ট ডায়াবেটিস নামেও ডাকা হয়ে থাকে।
যখনই জানতে পারবেন আপনার বাচ্চা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েছে, তখন থেকেই তার সুগার মাপতে শুরু করবেন। সেই সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো নিয়ম মতো ইনসুলিন দেবেন এবং বাচ্চা যাতে ঠিক পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খায়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
এই রোগে আক্রান্ত হলে প্রথমেই যে লক্ষণ দেখা দেবে সেটি হল বাচ্চা অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়বে। সব সময়ই কেমন যেন ঝিমিয়ে থাকবে সে।
টাইপ-১ ডায়াবেটিস হলে আপনার বাচ্চা বারংবার সংক্রমণে আক্রান্ত হবে।
অনেক সময় এই রোগে আক্রান্ত বাচ্চারা চোখে কম দেখতে শুরু করে। কিছু ক্ষেত্রে দৃষ্টিশক্তি মারাত্মক ঝাপসা হয়ে যায়।
যদি দেখেন আপনার বাচ্চা খুব খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে অবসাদে ভুগতে শুরু করেছে তাহলে তৎক্ষণাৎ সাবধান হন। কারণ টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলেও কিন্তু এই ধরণের লক্ষণের বহিঃপ্রকাশ ঘটে থাকে।
পরিমাণ মতো খাবার খাওয়া সত্ত্বেও ওজন মারাত্মকভাবে কমে যাওয়াও ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে। এক্ষেত্রে অনেক অনেক খাবার খেলেও বাচ্চার ওজন বাড়তে চায় না।
টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে অনেক বাচ্চার আবার ক্ষিদে বেড়ে যায়। কিছু ক্ষেত্রে তো এমন অবস্থা হয় যে ক্ষিদে মেটাতে এরা যা হাতের কাছে পায় তাই খেয়ে ফেলে।
আপনার বাচ্চার কি জল তেষ্টা বেড়ে গেছে? সেই সঙ্গে বারংবার প্রস্রাব করার প্রবণতা দেখা দিয়েছে? তাহলে এখনই সাবধান হন। কারণ টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে সাধারণত এই ধরণের লক্ষণের বহিঃপ্রকাশ ঘটে থাকে।